
***
দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: আমেরিকার একটি জনপ্রিয় খাবার ডোনাট। যা আসলে বহিরাগত। ডাচ অভিবাসীরা মার্কিন দেশে অলিকোয়েক নামে ময়দার বল আকৃতির একটি পিঠে সদৃশ খাদ্যবস্তু মার্কিন দেশে নিয়ে আসে যা ফল ও বাদামে ভরপুর। আমেরিকার এক লেখক, ওয়াশিংটন আরভিং ১৮০৯ সালে খাদ্যবস্তুটির মার্কিন নামকরণ করেন । ১৯ শতকের শুরুতে ক্যাপ্টেন হ্যানসন গ্রেগরি এই গোলাকার খাদ্যবস্তুটির মাঝ বরাবর একটি অংশ ছিদ্র করেন, যাতে ময়দার মিষ্টি পাউরুটির মত অংশ কাঁচা না থাকে । সঠিক ভাবে ভাজা যায়।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় রেডক্রস ও স্যালভেশন আর্মির স্বেচ্ছাসেবকরা মার্কিন সৈন্যদের ডোনাট বিলি করে জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে তোলে।১৯২০ সালে ডোনাট মেকিং মেশিন আবিষ্কার ।১৯৫০ এ ডানকিন ডোনাট নামে ডোনাট তৈরির ব্র্যান্ড সংস্থা ডোনাট তৈরি ও বিপণন শুরু করে আমেরিকায়।।এখন তো মার্কিন দেশের আইকনিক খাদ্য ডোনাট।

আই টি কর্মী হিসেবে বঙ্গ তনয়া অন্তরা চক্রবর্তী গিয়েছিলেন আমেরিকায়। তাঁর প্রিয় ছিল এই ডোনাট। স্বামীর কর্মসূত্রে ফিরে আসতে হয় কলকাতায়। সঙ্গে আমেরিকার স্মৃতি আর ডোনাট তৈরি করে নিজস্ব ব্যবসায়িক ব্র্যান্ড গড়ে তোলার স্বপ্ন। তাঁর কথায়, কলকাতায় কেক প্যাটিসের হাজার আয়োজন। কিন্তু সঠিক পদ্ধতিতে তৈরি সুস্বাদু ডোনাট পাওয়া মুশকিল। দুবছর আগে সেই স্বপ্ন সাকার হলো দ্যাট ডোনাট ফ্যাক্টরি পথ চলতে শুরু করায়। এখন নিজস্ব দুটি আউটলেট। একটি সাউথ সিটির কাছে। অন্যটি গলফগ্রিন অঞ্চলে। অনলাইন অর্ডারে দিনদিন চাহিদা বাড়ছে। ইচ্ছে আছে দ্রুত শাখা সম্প্রসারণে। চলতি বছরে ক্রিসমাস মরশুমে প্লাম কেকের জনপ্রিয়তা ও চাহিদা মনে রেখে প্লাম কেক বিপণনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সেই উপলক্ষে গড়িয়ার ফ্যাক্টরিতে সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয় কেক মিক্সিং অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য। সাংবাদিকদের একাংশ এক বিরল অভিজ্ঞতার সাক্ষী হলেন । হাজারও কিসিমের ড্রাই ফ্রুটস আর ড্রাই সিডস মাখা হলো হুইস্কি ও রামের যুগল ধারায়। এই জারকে ভেজানো বস্তুগুলি থাকবে কিছুদিন। তারপর প্লাম কেকে মেশানো হবে। প্লাম কেক খ্রীষ্ট ধর্মের এক ঐতিহ্যের কেক, যা বড়দিনের মূল বৈশিষ্ট্যের অন্যতম। কেকপ্রেমীরা এবছর দ্যাট ডোনাট ফ্যাক্টরির প্লাম কেক চেখে দেখতে পারেন।দামে ও মানে এটি সেরার সেরা কি না পরখ করতে বলব।
