এন আই এফের শিক্ষার্থীদের আকর্ষণীয় ফ্যাশন প্রদর্শনী

**********

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: ১৮৮১, ২৬ ফেব্রুয়ারি। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির ছাদে অভিনীত হতে চলেছে রবীন্দ্রনাথের বাল্মীকি প্রতিভার। সবাই উৎসুক। এই উৎসুকতা শুধু অভিনয়ের জন্য নয়, সকলের গভীর কৌতূহল রবীন্দ্রনাথ কিভাবে হবেন বাল্মীকি।কি হবে তাঁর পরিচ্ছদ। মঞ্চে এলেন রবিকবি। পরণে তাঁর পরিচিত সেই আলখাল্লা। মুখে সেই দাড়ি। পিঠ বেয়ে নেমে এসেছে চুল। আলখাল্লা তো ইরানের সুফি সম্প্রদায়ের পোশাক। সেই পোশাকে বাল্মীকি। একটুও ছন্দপতন মনে হয়নি। আসলে ফ্যাশন ও স্টাইল সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের বৌদ্ধিক চেতনা এতটাই পরিণত ছিল যে টার্ট বহিঃপ্রকাশ ঘটে বাল্মীকি প্রতিভার চরিত্র চিত্রণে। শেষের কবিতায় রবীন্দ্রনাথ লিখলেন স্টাইল হল মুখশ্রী, ফ্যাশন হল মুখোশ। স্টাইল হোক বা ফ্যাশন বাঙালিকে প্রথম চেনালেন রবীন্দ্রনাথ। এরপর বয়স বেড়েছে বয়সের। বাঙালি সংস্কৃতি চেতনার এক অপার্থিব উচ্চতায় পৌঁছে যে দেশের যেটা শৈল্পিক সেটাকেই বেছে নিয়েছে আপন করে। ৬০ এর দশকের শেষ থেকে বলিউডের সিনেমাকস্টিউমকে গুরুত্ব দিতে শুরু করে। ঠাকুরবাড়ির মেয়েত শর্মিলা পড়লেন সুইমিং কস্টিউম। চমকে ওঠে রক্ষনশীল বাঙালির এক অংশ। কিন্তু বাঙালির এক বড় অংশ হল সাহসী । বৈপ্লবিক পদক্ষেপ তার।

সম্প্রতি কলকাতার সল্টলেকে এন আই এফ গ্লোবাল ফ্যাশন শিক্ষার প্রথমসারির শিক্ষায়তন আয়োজন করে এক ফ্যাশন প্রদর্শনীর। যেখানে শিক্ষার্থীরা তাঁদের শৈল্পিক সৃষ্টির প্রদর্শন করেন। ছিল নিউ ইয়র্ক ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন সংস্থার মেন্টর ইমা কেনেডি ও লন্ডন স্কুল অফ ট্রেন্ডসের কার্ল পাজ এসেছিলেন তাঁদের অভিজ্ঞ্যতা ও টিপস দিতে। এই দুই মেন্টরের পরমার্শ ও টিপস্ নিয়ে সংস্থার ছাত্রছাত্রীরা এক নতুন দিশা লাভ করেন। সংস্থার প্রধান জয় সেনগুপ্ত বলেন, আমাদের কলেজে বিদেশের দুই ফ্যাশন বিশেষজ্ঞ এসে বিশ্বের ছবিটা বুঝিয়ের দিচ্ছেন শিক্ষার্থীদের। এখনকার ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যত সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখেন। ওদের উৎসাহ ও প্রেরণা ওদের অনেক এগিয়ে রাখছে।আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক অঞ্চলের ছেলেমেয়েদের স্বপ্ন সফল করতেও অমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *