ভেজালের জালে,প্রশাসন উদাসীন, বিদেশে এভারেস্ট , এম ডি এইচ মশলা নিষিদ্ধ

সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়:

পর্ব ২

প্রথম পর্বে বলেছি, মশলা ও টুথপেস্টের ভেজালের জালে বন্দী আমরা। সিঙ্গাপুর আর হংকংয়ে ভারতীয় মশলা কোম্পানির ভেজালের দায়ে রফতানি বন্ধ দেশের প্রশাসনের আইএক গাল মাছি। এখন তো অভিযোগ আরও আসছে। ইউরোপীয় খাদ্য নিরাপত্তা বিভাগ জানিয়েছে,২০২০ র সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ এর এপ্রিল পর্যন্ত ভারত থেকে রফতানি করা অন্তত ৫২৭ টি খাদ্যপণ্যে বিষ মিলেছে। বেশিরভাগ বাদাম, তিলভেষজ পদার্থ, মশলা ডায়েট ফুড। আফ্রিকায় রফতানি করা কাশির সিরাপে ক্ষতিকর রাসায়নিক মেলার খবর তো অনেকদিন আগেই জানা গেছে। ভেবে দেখার দরকার বিদেশে যে পণ্য রফতানি হয় সেগুলি নাকি দেশের সেরা পণ্য। সেই পণ্যেই যদি ভেজাল, তাহলে দেশের মানুষ যে পণ্য কিনে খাচ্ছেন সেটি কোন পর্যায়ের ভেজাল ভাবলে শিউরে উঠতে হয়। ভোট আসে যায়। জামার রং পাল্টায়। কে অসহায়তার মধ্যে ভোটার গতকাল যেখানে ছিল আজও সেখানে আছে।

এবার সারাদিনের আমাদের ব্যবহারিক জীবনে আসি।দাঁত মেজে এবার একটু চায়ে চুমুক দেবেন। চিনের আবিষ্কার চা এদেশে মানুষকে অভ্যস্ত করার জন্য বিনে পয়সায় খাওয়ানো হয়। রক্ষণশীল হিন্দু পরিবারে চা পান ছিল পাপের। রসিক আঁতেল মহল চা’কে ভালবেসে নাম দেয় কৃষ্ণপর্ণী। পর্ণী মানে পাতা। চা পাতার রং কালো। তাই কৃষ্ণ।অল্পদিনেই ব্রিটিশ অনুগত ভারতীয় চা পানে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। সামর্থ অনুযায়ী দাম আর গুণগত মানে পার্থক্য। দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশ হিসেবে রাজ্যের দার্জিলিং চা খ্যাতি পেয়েছে বিশ্বজুড়ে। একসময় বাংলার চা ছিল সবার সেরা। কিন্তু অতি মুনাফার জন্য একশ্রেণীর অসৎ ব্যবসায়ীর ভেজাল মেশানোর জন্য সবচেয়ে বড় রফতানির দেশ রাশিয়া বাংলার চা কেনা বন্ধ করে দেয়। এখন ভারত দ্বিতীয় দ্বিতীয় বৃহত্তম কালো চা উৎপাদন করে।৯০টিরও বেশি দেশে চা রফতানি হয়। চেয়ে মেশানো হয় রং করা ডালের ভুষি। লোহার গুঁড়ো ও বন্য গাছের শুকনো পাতার গুঁড়ো। ভারতীয় চা পর্ষদ তাইওয়ান থেকে নিষিদ্ধ কীটনাশক ধরতে এক যন্ত্র আনিয়েছে। বিষ ধরা পড়লে বাগান মালিকের জেল জরিমানা তো হবেই বাগানের রেজিস্ট্রেশনও বাতিল হতে পারে।

চায়ে অনেকে দুধ মিশিয়ে খান। বাচ্ছাদেরও দুধ প্রধান খাদ্য। দুধের ভেজাল বলতে আগে জল বোঝাত। অনেক সময় দূষিত জল মেশানো হয়। এখন তো দুধে অ্যারারুট ডিটারজেন্ট , ইউরিয়া, ভাতের মাড়। ল্যাক্টোমিটার দুধের গ্লাসে রাখলে রিডিং ২৬ ডিগ্রির কম হবে। আবার এই যন্ত্র অকেজো করে দেওয়া যায় জল বাদে অন্য কিছু মেলালে। সেক্ষেত্রে দুধে আয়োডিন বা টিঞ্চার আয়োডিন মেশালে সাদা দুধ নীল হলেই বুঝতে হবে দুধে আছে ভেজাল। এখন তো গরুকে হরমোন ইনজেকশন দিয়ে দুধ বাড়ানো হচ্ছে । হরমোনটির নাম অক্সিটোসিন। পশু হাসপাতাল ছাড়া বাইরে বিক্রি হওয়ার কথা নয়। চোরাপথে চিন, মায়নামার, বাংলাদেশথেকে আসছে হরমোনের শিশি। বাংলার ঘুটিয়ারি শরীফ, বারুইপুর, বসিরহাট ও দমদমে। ড্রাগ কন্ট্রোলের কর্তাদের বক্তব্য, আগে দুধ বাড়ানোর জন্য গরুকে শতমুলী খাওয়ানো হত।এখন তিনগুণ দুধ বাড়াতে অক্সিটোসিন হরমোন ইনজেকশন দেওয়া হচ্ছে।

চায়ের বদলে আপনি কফিতে আসক্ত । সেখানেও রেহাই নেই। কফিতে মেশানো হচ্ছে তেঁতুল বিচির গুঁড়ো। পোড়া পাউরুটির গুঁড়ো। চা বা কফির সঙ্গে দুটো বিস্কিট । বিস্কিটে মেশানো হচ্ছে ট্রান্সফ্যাট অ্যাসিড। যা দীর্ঘদিন ধরে খেলে স্থুলত্ব , হার্টের অসুখ, হাইপারলিপিডেমিয়া , ব্রেস্ট বাকোলন ক্যান্সার হতে পারে। যদি পাঁউরুটি খান সেখানেও বিপদ। পাঁউরুটিতে মেশানো হচ্ছে পটাসিয়াম ব্রোমেট ও পটাসিয়াম আয়োডিন। যা কিনা ক্যান্সারে আক্রান্ত করতে পারে। পাঁউরুটি তে একটু মাখন বা জেলি মাখাবেন নিশ্চয়ই। মাখন জ্যাম জেলিতে টেক্সচার বজায় রাখতে যেসব কেমিক্যাল মেশানো হয় তাকে বলে টেক্সচার এনহ্যানসিং ইনগ্রিডিয়েন্টস। যেমন ডাই সোডিয়াম অর্থোসালফেট, মোনো ডাই গ্লিসারাইড সোডিয়াম অ্যালগিনেট পেকটিন । শরীরে যা বিষক্রিয়া ঘটায়। বান রুটি জ্যাম জেলি বিস্কিট আইসক্রিম মিষ্টি, নরম পানীয়, চকোলেট জুস বা ডায়েট ফুডে অ্যাসপারটেন, সোডিয়াম সাইক্লামেট অ্যাসেসালফেম জাতীয় কৃত্রিম চিনি ব্যবহৃত হয়। প্রয়োগবিধিতে তারতম্য ঘটলে শরীরে রোগ দানা বাঁধবেই। এইসব কৃত্রিম চিনি বেকারী ছাড়াও মিষ্টির দোকানে ব্যাবহার করে। চিনির থেকে সস্তা হয় এই কেমিক্যাল। ব্যবসায়ীদের হয় মুনাফা, গ্রাহকদের জন্য থাকে দৃষ্টিহীনতা, মাইগ্রেন,ব্রেন টিউমার, পারকিনসন্স বা লিউকোমিয়া। চিনি ছেড়ে মধু ? সেখানেও কয়েকবছর আগে পতঞ্জলি সহ দেশের নামীদামী ব্র্যান্ডের মধুতে ভেজাল মিলেছে। টোস্ট পাঁউরুটিতে কিংবা ডিম সেদ্ধতে গোলমরিচের গুঁড়ো দেবেন? ডাক্তার বলেছেন গোলমরিচ হার্টের জন্য ভালো। কিন্তু গোটা গোলমরিচে পাকা পেঁপের বিচি মেশানো হয়। হার্টের ভালো হওয়া দূরের কথা, ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বাঙালির ভাষা যেমন মিষ্টি , পাড়ায় পাড়ায় তেমন মিষ্টির দোকান। সেখানে তবকের নামে অ্যালমুনিয়াম ফয়েল দেওয়া হয়।রূপ তবক দেবে কোথা থেকে।? মিষ্টিতে কজন আসল খাবারের রং দেয় সে গ্যারেন্টি কে দেবে?

ডিমের কথাই যখন উঠল তখন বলে রাখি সস্তায় পেলেও ফাটা ডিম কিনবেন না। আমাদের দেশে পোল্ট্রি ফার্মেপরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা আশা করা বৃথা। মুরগির মল প্রধান দূষিত পদার্থ। খোসায় থাকে দশ হাজার ছিদ্র। এই ছিদ্রে ব্যাকটেরিয়া ঢুকে যায়। তাই উচিৎ সাবান জলে ডিম ধুয়ে ফ্রিজে রাখা। এছাড়াও মুরগির খাবারে অত্যধিক হরমোন ও কীটনাশক ব্যবহার হয়। এখন নকল চালিয়ে পাশাপাশি নকল ডিমের খবর মিলছে ! মূলত চিনে তৈরি হচ্ছে নকল ডিম। তামিলনাড়ু আর কেরলের সীমান্তবর্তী জেলা ইডুক্কী হচ্ছে নকল ডিমের আমদানির প্রবেশ পথ। আমেরিকার বিজ্ঞান পত্রিকা দ্য ইন্টারনেট জার্নাল অব টক্সোকোলজি জানিয়েছে খাদ্যগুণ বিহীন এই কেমিক্যাল ডিম রাসায়নিক উপাদান ক্যালসিয়াম কার্বনেট, বেসিন, জিলেটিন ও স্টার্চ দিয়ে তৈরি এই ডিম যেমন স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি করে তেমন কিডনির কাজ নষ্ট করে। ডিম ছেড়ে মাছের বাজার যাওয়া যাক। ৮০ শতাংশ আজকের বাঙালি মাছ চেনেন না। আড় মাছ বলে গছিয়ে দেয় প্যাঙাশ মাছ।ইলিশ মাছের জায়গায় বার্মার ফুলিশ মাছ ধরিয়ে দেওয়া হয়।দেশী সরল পুঁটি মাছের নামে জাপানি হাইব্রিড পুঁটি বিক্রি হয়। এতো লোক ঠকানো।কিন্তু দামি চিংড়ি যখন সস্তায় মেলে দেখতে হবে চিংড়ির ঘাড়ে ফরমালিন দিয়ে টাটকা দেখানো হচ্ছে না তো? রায় ফরমালিন গ্লিসারিনের সঙ্গে বরফ দেওয়া রুই কাতলায় চোবানো হয়।পিছল শরীর দেখে মনে হবে খুব টাটকা মাছ। মনে রাখা দরকার ৩০ মিলি দ্রবণে ৩৭ শতাংশ ফর্ম্যাল ডিহাইড থাকলে পরপারে যাওয়া অসম্ভব । জানি,আপনি মাছের লাল কানকো উল্টে দেখে আনেন।কিন্তু কানকোতে কারমোসিন বা পনকিউরফোর রং মেশানো আছে।

আরও কিছু মাছ আছে যেমন তোপসে, ভোলা ভেটকি, আমোদি, পাবদা মাছে মাখা হয় লাল বিষাক্ত কঙ্গো রেড রং। যা মাছের ফ্যাকাসে ভাব কাটিয়ে দেয়। আগে মাছ টাটকা রাখতে বিক্রেতারা পুরোপুরি বরফের ওপর নির্ভর করতেন। এখন গরমকাল । বরফের দামও অগ্নিমূল্য। বরং সস্তা কেমিক্যাল। তাই মাছ কিনে ভিনিগার বা লেবুর জলে ধুয়ে নেওয়া ভালো।মাছ যখন দেখবেন অস্বাভাবিক হলুদ রঙের, বুঝবেন মাছে মেশানো হয়েছে মেটানিল ইয়েলো। ভাবছেন চারা মাছ জ্যান্ত বোধহয় নিরাপদ। কিন্তু না। ভেড়িতে মাছের খাদ্য হিসেবে কেকের দোকানের অবিক্রীত মালের গুঁড়োর সঙ্গে মুরগির শুকনো মল, ট্যানারির ছাঁট চামড়ার গুঁড়ো, পোকাধরা দানাশস্য ও কেমিক্যাল দেওয়া হয়। যা মাছকে দ্রুত বড় করে তোলে।মাছ ছেড়ে মাংসের বাজারে চলুন। পাঁঠা বা খাসির দাম বেশি তাই ভিড় মুরগির দোকানে। মরা মুরগি বা ঝিমিয়ে পড়া মুরগি আপনি কেনেন না ।কিন্তু ৮০/৯০ দিনে যে মুরগির ওজন দু কিলো থে*কে তিন কিলো হওয়ার কথা সেই মুরগি ৪০ দিনে এত ওজন হয় কি করে,? মুরগির ওজন বাড়াতে মাত্রার বেশি হরমোন , এবং রোগ থেকে বাঁচাতে মাত্রার বাইরে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ হয় পোল্ট্রি মুরগিতে।সুতরাং নিয়মিত এই মুরগি খেলে আপনার অ্যান্টিবায়োটিক ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। অতিরিক্ত হরমোনের প্রভাবে শরীর ধীরে ধীরে বিষময় হয়ে ওঠে। মুরগি ছেড়ে খাসির দোকানে লাইন দিয়েছেন? আপনার সামনে খুঁটিতে বাধা বেশ কয়েকটি নধর খাসি বা পাঁঠা। কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি কসাইয়ের দোকানে ঝোলানো খাসির দেহের দিকে তাকিয়ে খুঁটিতে বাঁধা জ্যান্ত পশুগুলি ভবিষ্যত বুঝে ফেলে। ভয়ার্ত হয়ে ডাকতে থাকে মৃত্যুভয়ে। জীব বিজ্ঞান বলে, ভয়ে খাসি বা পাঁঠার শরীরে অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ বেড়ে চলে। এরফলে দেহের মাংসে কার্টিসেলের নানারকম প্রভাবে রক্ত দূষিত হয়। অনেকেই সেই টাটকা মাংস বাড়িতে নিয়ে গিয়ে রান্নায় চাপান।কিন্তু বিদেশে মাংস ফ্রোজেন না করে বিক্রি নিষিদ্ধ। জিওল মাছের ক্ষেত্রেও একই কথা।ভাগাড়ের মাংসের কথা আমরা ভুলিনি। এখনও ৫০/৬০ টাকায় বিরিয়ানি মেলে। বিরিয়ানির রং হয় কেশর দিয়ে। ১০ গ্রাম কেশরের দাম ৫ হাজার টাকা। তাই বিষাক্ত রং। মেটানিল ইয়েলো। তবু জেনেই আমরা খাই। রবি কবি বলেছিলেন আমি জেনেশুনে বিষ করেছি পান।

রান্না করতে তেল লাগে। সর্ষের তেলে মেশানো হয় রেপসিড তেল, আরজিমোন তেল। ঝাঁঝের জন্য মেশানো হয় শেয়ালকাঁটার বীজ ও লঙ্কা গুঁড়ো। ঘিতে পাকা কলা ডালডা সেদ্ধ আলু ও ক্ষতিকর হলুদ রং। সবজি খাবেন,? সেখানেও ভেজাল। সবজিতে এসিফেটা, বাইফেনথ্রিন, এসি ট্যামিপ্রাইজ ট্রাইজোফোস, মেটাল্যক্সিল ও ম্যালথিওনের মতো নিষিদ্ধ কীটনাশক মিলেছে। এই ক্ষতিকর কেমিক্যাল দীর্ঘদিন ধরে মানুষের শরীরে ঢুকলে থাইরয়েড ডায়াবেটিস,পুরুষের বন্ধ্যাত্ব, কিডনি ড্যামেজ ও ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্খা থাকে। সুতরাং জল থেকে চাল ডাল মাছ মাংস সবজি থেকে দুধ মদ সবে ভেজাল। স্বাধীনতার পর নেহেরু বলেছিলেন ভেজালকারীদের ল্যাম্পপোস্টে ঝোলানো হবে। কিন্তু কি আশায় বাঁধি খেলাঘর। প্রাচীন রোমে এইদিকে নজর রাখার জন্যপরিদর্শক ছিল। ইংল্যান্ডে এডওয়ার্ডের আমলে (১০০৪-১০৬৬ খ্রিস্টাব্দ) মদে ভেজাল দেওয়ার অপরাধে মদ উৎপাদনকারীকে ঘোড়ার পেছনে বেঁধে টেনে নিয়ে যাওয়াও হয়েছে। প্রাচীন ভারতে মনু সংহিতায় দ্বাদশ অধ্যায়ে বিধান দেন শস্যে ভেজাল দিলে হাত পা কেটে নেওয়ার।১৮৩২ সালে ল্যানসেট পত্রিকার ড,: টমাস ভেজালের বিরূদ্ধে সার বিশ্ব জুড়ে আন্দোলন শুরু করেন।১৮৬০ সালে ব্রিটেনে তৈরি হয় ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডালটারেশন অ্যাক্ট ১৮৬০ । আধুনিক ভারতে ভেজাল নিয়ে নজরদারি শুরু হয় স্বাধীনতার কিছু পরে।১৯৫৪ সালে তৈরি হয় খাদ্যে ভেজাল নিয়ন্ত্রণ আইন এ্যাক্ট ১৯৫৪।৮ দফা এক নির্দেশনামাও তৈরি হয়। আইনের ২৬ নম্বর ধারায় বলা আছে ভেজাল প্রমাণিত হলে জেল হতে পারে ৬ মাস থেকে ৩ বছর পর্যন্ত। স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর না হলে ১০০০০ টাকার জরিমানা। ভেজাল খাদ্য খেয়ে কেউ মারা গেলে বা হৃদযন্ত্রের ক্ষতি হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০০০ টাকার জরিমানার ব্যবস্থা। আজ পর্যন্ত ৬ মাসের জেল ও ১০০০ টাকার জরিমানা ছাড়া আর কোনো কঠোর শাস্তির তথ্য নেই। সুতরাং স্বাধীন রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে ভেজাল ধরার স্বাধীনতা নিজেকেই নিতে হবে। গীতার সেই নির্দেশ। কর্ম করে যাও। ফলের আশা করো না।

( শেষ)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *