*
*
পর্ব: ১
দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: আগামী ১৩ মে দেশের ১০ টি রাজ্যে চতুর্থ দফার লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে। এদিন নির্বাচন হবে দেশের ৯৬ টি কেন্দ্রে। প্রার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৭ শো ১৭। এঁদের মধ্যে ১ হাজার ৭ শো ১০ জনের বিস্তারিত তথ্য রয়েছে অ্যাসোসিয়েশন ডেমোক্রেটিক রিফর্মস ও ওয়েস্ট বেঙ্গল ইলেকশন ওয়াচ। শনিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনের তরফে আগামী লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করা হয়। তথ্য সূত্রে বলা হয়েছে চতুর্থ দফার১০ রাজ্যের ৯৬ টি কেন্দ্রের নির্বাচনে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১৭১৭। এঁদের মধ্যে বিস্তারিত সব তথ্য সংগ্রহ করা গেছে ১৭১০ জনের। মোট প্রার্থীদের গড় সম্পদের পরিমাণ ১১.৭২ কোটি টাকা। মোট প্রার্থীর ১২ শতাংশ অর্থাৎ ২০৫ জন প্রার্থীর সম্পদ ৫ কোটি টাকা ও তার বেশি।৮ শতাংশ প্রার্থীর সংখ্যায় ১৩৩ জনের সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি থেকে ৫ কোটি। ১৮শতাংশ প্রার্থী অর্থাৎ ৩১০ জনের সম্পদ ৫০ লক্ষ থেকে ২ কোটি টাকা।২৫ শতাংশ প্রার্থী সংখ্যায় ৪২৪ জনের সম্পদ ১০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা। বাকি ৩৭ শতাংশ প্রার্থী ৬৩৮ জনের সম্পদ ১০ লক্ষ টাকার কম।
অন্ধ্রপ্রদেশের টি ডি পি প্রার্থী চন্দ্রশেখর পেম্মাসানির অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৫৭০৫ কোটিরও বেশি
সবচেয়ে বেশি সম্পদের মালিক অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর লোকসভা কেন্দ্রের টি ডি পি প্রার্থী ড: চন্দ্রশেখর পেম্মাসানি। তাঁর স্থাবর , অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৫৭০৫ কোটি ৪৭ লক্ষ ২৭ হাজার ৫৩৮ টাকা। দ্বিতীয় স্থানে তেলেঙ্গানার চেভান্না কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কোন্ডা বিশেশ্বর রেড্ডি। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৪৫৬৮ কোটি টাকা তৃতীয় স্থানে অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর কেন্দ্রের টি ডি পি প্রার্থী প্রভাকর রেড্ডি ভেমিরেড্ডি । তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৭১৬ কোটি ৩৩ লক্ষ ২২ হাজার ২৬৫ টাকা। অন্যদিকে সবচেয়ে কম সম্পদের তালিকায় প্রথমে আছেন অন্ধ্রপ্রদেশের বাপতলা এস সি সংরক্ষিত কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী কাট্টা আনন্দ বাবু। তাঁর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ মাত্র ৭ টাকা। মহারাষ্ট্র রাজ্যের মাভাল কেন্দ্রের ভীমসেনা দলের প্রার্থী সন্তোষ উবালের সম্পদের পরিমাণ স্থাবর অস্থাবর মিলিয়ে ৮৩ টাকা। তৃতীয় স্থানে মহারাষ্ট্রের শিরুর কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী ভোর বিকাশ রহিদাস। তাঁর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৯০ টাকা। চতুর্থ দফার নির্বাচনে ২৪ জন প্রার্থী ঘোষণা করেছেন তাঁদের কোনো সম্পদ নেই।
মজার কথা, যিনি সবচেয়ে বেশি সম্পদের প্রার্থী সেই অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর কেন্দ্রের প্রার্থী ড: চন্দ্রশেখর পেম্মাসানির বাজারে দেনা আছে ১০৩৮ কোটি টাকা। একই তথ্য দ্বিতীয় সর্বাধিক সম্পদের মালিক অন্ধ্রপ্রদেশের নেল্লোর কেন্দ্রের প্রার্থী প্রভাকর রেড্ডি ভেমিরেড্ডির বাজারে ঋণের পরিমাণ ২,৯৬,৫৮,১৯৫ কোটি টাকা। অন্ধ্রপ্রদেশের কাডাপা কেন্দ্রের জাতীয় কংগ্রেসের প্রার্থী ওয়াই এস শর্মিলা রেড্ডির সম্পদ যেখানে ১৮১ কোটি, সেখানে বাজারে ঋণ ১১৮ কোটি টাকা। চতুর্থ দফার নির্বাচনে ৪৪ জন প্রার্থীর প্যান নম্বর নেই অথবা জমা দেননি। সর্বোচ্চ তালিকায় আছেন জাতীয় কংগ্রেসের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের রাজামপেট কেন্দ্রের প্রার্থী শেখ বশিদ। তিনি নির্বাচন কমিশনে স্বামী স্ত্রীর যৌথ আয় দেখিয়েছেন ৩০ কোটি ৫৪ লক্ষ ২৬ হাজার ৬৯৮ টাকা।নিজের আয় ২৮ কোটি ৬৩ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা।২০২৩-২০২৪ আর্থিক বছরে তিনি তাঁর এই আয়ের হিসেব দিয়েছেন।
চতুর্থ দফার নির্বাচনে অন্ধ্র প্রদেশের বাপ্তলা এস সি সংরক্ষিত আসনের নির্দল প্রার্থীর সম্পদের পরিমাণ মাত্র ৮ টাকা।
দলভিত্তিক প্রার্থীদের কোটিপতি প্রার্থীদের তালিকা দেখা যাক। চতুর্থ দফার নির্বাচনে শিবসেনার তিনজন প্রার্থীই কোটিপতি। শতাংশের হিসেবে ১০০ শতাংশ। ওড়িশার নবীন পট্টনায়েকের দল বিজেডির চারজন প্রার্থীর চারজনই কোটিপতি। শতাংশের হিসেবে ১১ শতাংশ। একই হিসেব আর জে ডি , শিবসেনা উদ্ভব ঠাকরে গোষ্ঠীর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রতিটি দলের চারজন চারজনই কোটিপতি। অন্যদিকে টি ডি পির ১৭ জন বি আর এসের ১৭ জন, ওয়াই এস আর সি পি পার্টির ২৫ জন প্রার্থীর ২৪ জন বিজেপির ৭০ জন প্রার্থীর ৬৫ জন জাতীয় কংগ্রেসের ৬১ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫৬ জন, তৃনমূল কংগ্রেসের ৮ জন প্রার্থীর ৭ জন, এ আই এম আই এমের তিনজন প্রার্থীর দুজন ও সমাজবাদী পার্টির ১৯ জন প্রার্থীর এগারো জনের সম্পদ সম্পদ এক কোটি টাকার বেশি। দলগতভাবে টি ডি পির ১৭ জন প্রার্থীর মাথাপিছু গড় সম্পদ ৪১৬.৪২ কোটি টাকা। বিজেপির ৭০ জন প্রার্থীর মাথাপিছু গড় সম্পদ ১০১.৭৭ কোটি টাকা। বাকিদের গড় সম্পদ ৫৫ কোটি থেকে ৩.১১ কোটি টাকা। মনে রাখতে হবে এই হিসেব প্রার্থীর দেওয়া। এর মধ্যে দুধ কতটা জল কতটা জানা সম্ভব নয়। আগামীকাল থাকবে এই রাজ্যের চতুর্থ দফার নির্বাচনে বিভিন্ন দলের প্রার্থীদের আর্থিক অবস্থার কথাও মামলা সংক্রান্ত তথ্য। ( চলবে)
আগামীকাল