চিকিৎসক পূর্ণেন্দু রায়ের অভিযোগ,জেনেসিস হাসপাতালের বদনাম ছড়ানোর মাফিয়া চক্রান্ত চলছে

*****

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: ২০০৪ সালে মধ্যবিত্তের ভরসার কেন্দ্র হয়ে ওঠার তাগিদে দক্ষিণ কলকাতায় জেনেসিস হাসপাতাল গড়ে তোলেন শল্য চিকিৎসক পূর্ণেন্দু রায়।১০০ টি শয্যা,৪ টি অপারেশন থিয়েটার, এন আই সি ইউ, ফার্মেসি, প্যাথলজি, স্বাস্থ্যকর ক্যান্টিন ও ক্যাফের সহ একটি হাসপাতাল রোগীর পরিষেবা দিয়ে আসছে। ডা: রায় বলেন আপনার নিরাপত্তা, আমাদের অগ্রাধিকার মূলমন্ত্রে সাফল্যের সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে। প্রান্তিক সমাজের সাশ্রয়ী মূল্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার সফল অপারেশনের দাবিদার জেনেসিস হাসপাতাল।

সোমবার বিকেলে কলকাতা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সাংবাদিক সন্মেলনে ডা: রায় এবং তাঁর আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র জানান, প্রণব ঘোষ নামে এক রোগীর পরিবার হাসপাতালের বিরুদ্ধে পরিষেবায় অবহেলার অভিযোগে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশনের কাছে একটি আবেদন দাখিল করেন। কমিশন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সেই টাকা মিটিয়ে দেওয়ায় নির্দেশ দেয়। সঙ্গে আরেকটি আদেশে ক্ষতিপূরণ না দিলে হাসপাতালের লাইসেন্সের বাতিল হবে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কমিশনের এই ধরণের আদেশ দেওয়ায় আইনি অধিকারের বৈধতার প্রশ্নের কলকাতা উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়। উচ্চ আদালত কমিশনের আদেশ সাময়িক রদ করে পরবর্তী আদালতের নির্দেশ পর্যন্ত অপেক্ষার কথা বলে। ডা:রায়েরঅভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এক গোষ্ঠী অভিযোগকারী রোগীকে প্রভাবিত করে গণমাধ্যম মারফত প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে হাসপাতাল বন্ধ। বিভ্রান্ত মানুষকে ভুল বুঝিয়ে জেনেসিস হাসপাতাল বয়কটের পরিকল্পনা চালিয়ে যাচ্ছে ।

ডা: রায়ের আইনজীবি এবং ডা: রায় জানান, জেনেসিস হাসপাতাল সুনামের সঙ্গে পরিষেবা দিচ্ছে। কিন্তু অজানা ফোনে ডা: রায় ও তাঁর স্ত্রীকে খুনের ধমকি দেওয়া হচ্ছে। বিদেশ থেকে চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়াশুনো করে ফিরে যে স্বপ্নের হাসপাতাল ডা: রায় গড়ে তুলেছেন সেই হাসপাতাল বিক্রি হচ্ছে কিনা খোঁজ নিচ্ছে দালালরা। নিরাপত্তার অভাবে দুই মেয়েকে কলকাতায় পড়াশোনা করাতে সাহস না পেয়ে বিদেশে পাঠাতে বাধ্য হয়েছেন জেনেসিস হাসপাতালের কর্ণধার ডা: পূর্ণেন্দু রায়।

সাংবাদিকদের ডা: রায় জানান, বিশ্বে এমন কোন হাসপাতাল নেই যাঁরা রোগ নিরাময়ে একশ শতাংশ সাফল্য দাবি করতে পারেন। রোগীর স্বাস্থ্যের অবনতি হোক কোনো চিকিৎসকই চান না। অথচ কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর অঙ্গুলিহেলনে কিছু ষড়যন্ত্রকারী ইবং একটি সংবাদমাধ্যম ক্রমাগত বাজারে প্রচার চালাচ্ছে জেনেসিস হাসপাতালের পরিষেবা অনুমতি বাতিল করা হয়েছে। অথচ প্রতিদিন সাফল্যের সঙ্গে হাসপাতাল পরিষেবা দিচ্ছে। উচ্চ আদালতের পরবর্তী শুনানি ও সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। প্রশ্ন উঠছে, কোনো বাঙালি প্রতিষ্ঠানকে কালিমালিপ্ত করার কোনো কর্পোরেট চক্রান্ত হচ্ছে কি?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *