দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : সপ্তদশ শতাব্দীতে উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপে যখন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠনের ধারণা এলো ,তখন শুধু পুরুষেরাই ভোটাধিকার পেতেন। মহিলা, বিদেশি ও ক্রীতদাসের ছিল না ভোটাধিকার। ভারতে চেন্নাইতে ১৯২১ সালে মেয়েরা ভোটাধিকার পেলেও অবিভক্ত বাংলায় মেয়েরা ভোটাধিকার পান ১৯৩০ সালে। এই বছর নির্বাচন কমিশন ভারতসহ বাংলায় বেশ কিছু কেন্দ্রে মহিলা ভোটারের সংখ্যা বেশি হওয়ায় কিছু বুথ পিঙ্ক বুথ ঘোষণা করে। অর্থাৎ এই বুথগুলি সম্পূর্ণ মহিলা পরিচালিত। এমনকি নিরাপত্তারক্ষীরাও মহিলা। নির্বাচন কমিশন এইসব বুথের কর্মীদের টুথব্রাশ, পেস্ট, গ্রিন টি ও স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করে।
১ লা জুন সপ্তম ও শেষ দফার ভোট হতে চলেছে কলকাতা ও পার্শ্ববতী যাদবপুর কেন্দ্রে। এই কেন্দ্রগুলির মধ্যে ৪০ টি বুথ নির্দিষ্ট হয়েছে পিঙ্ক বুথ হিসেবে। কলকাতার পরিচিত বেসরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালগুলির অন্যতম ডিসান হাসপাতাল নির্বাচন কমিশনের সহযোগিতায়নির্বাচনী মহিলা কর্মীদের হেল্থ ও হাইজিন কিট তুলে দিল নির্বাচন কমিশনার এস ভি ই ই পি কে। এই উপলক্ষে কলকাতা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সাংবাদিক সন্মেলনে ডিসান হাসপাতালের গ্রুপ ডিরেক্টর শাওলি দত্ত , হাসপাতালে সহ মেডিকেল ডিরেক্টর ডা: সুজয় রঞ্জন দেব , স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: অপরূপা ঘোষ ও ডিরেক্টর ক্রিটিকাল কেয়ার ডা: মোহিত খারবান্দা
ও নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি। হাসপাতালের গ্রুপ ডিরেক্টর শাওলি দত্ত বলেন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলাকালীন মহিলাদের ক্ষমতায়নের নিরিখে আমরা মহিলা নির্বাচনী কর্মীদের স্বাস্থ্য রক্ষায় একটি কিট দিচ্ছি। আগামী দিনেও নির্বাচনী কাজে যুক্ত বিভিন্ন মহিলা বুথকর্মীদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ক্ষেত্রে জে কোনো স্বাস্থ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতা করবো। এটা আমাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা।