বি এস এফের বর্ডারে নেতাজির বই নিয়ে আসায় আপত্তি

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে সারা ভারত নেতাজি সংগ্রামী মঞ্চ। ছিলেন সংগঠনের পক্ষে ডা: গৌতম কুমার পাল ,সমাজসেবী ও সি এ এ বিরোধী আন্দোলনের সংগঠন দামাল বাংলার প্রধান মানিক ফকির। ডা,: গৌতম পাল অভিযোগের সুরে বলেন,২১ ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা শহীদ দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়ে গত ২০ শে ফেব্রুয়ারি উত্তর চব্বিশ পরগণার বনগাঁ অঞ্চলে বেনাপোল পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে সারা ভারত নেতাজি সংগ্রামী মঞ্চের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে যোগ দিই।

                      ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটায় বাংলাদেশের দর্শনা সীমান্ত অতিক্রম করার পর ভারতের বি এস এফচেকিং পোস্টে পৌঁছুই। লাইনে জনা পঞ্চাশেক লোক। গোটা কুড়ি চেয়ারে কিছু অসুস্থ বৃদ্ধ ও মহিলারা বসে। ক্রমাগত চেকিংয়ের নামে অযথা দেরি করার জন্য প্রতিবাদ করলে হিন্দিতে অকথ্য ভাষায় গালি দিতে থাকেন কর্তব্যরত বি এস এফ জওয়ানরা। কিছু পরে আমাদের ব্যাগ খানা তল্লাশির নামে ছোঁড়াছুঁড়ি করতে থাকে। জামাকাপড় ও কিছু বই লাগেজ থেকে বার করে। বইগুলি ছিল বাংলায় লেখা নেতাজি সংক্রান্ত, জাঁ পল সাত্রের রচনা, লালন ফকির সম্পর্কে রচনা ও আরবি ভাষায় লেখা কোরআন ও হাদিস। অনেকক্ষণ বোঝানোর পর বইগুলি ছাড়ে। কিন্তু হোমিওপ্যাথি ওসুধ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে। বি এস এফের কর্মীরা বলেন এগুলো চোরাই সাপের বিষ। দুঘন্টা ধরে আমরা বোঝাতে থাকি।

ডা,: গৌতম পাল আরও বলেন, শুধু এপারের বাঙালি নয়,ওপর বাংলার চিকিৎসার জন্য আসা নিম্নবিত্ত বাঙালিদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করতে দেখি। বিষয়টি সম্পর্কে আমরা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও মানবাধিকার সংগঠনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। আমরা স্থির নিশ্চিত বাংলা ও বাঙালিকে সি এ এ ও অন্যান্য আইন দিয়ে ধ্বংস করার চক্রান্ত চলছে।আমাদের দাবি নি:শর্ত নাগরিকত্বের দাবি করছি। অনুষ্ঠানে অন্যতম বক্তা ছিলেন মানবাধিকার কর্মী, সমাজসেবক ও সি এ এ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখ মানিক ফকির জানালেন, বাংলা বর্ডারে আর এস এসের থেকে আসা বি এস এফ হিন্দিভাষী কর্মীদের রাখা হয়েছে। যারা বাংলা ভাষার একবিন্দু বোঝে না। 

ওরা ষড়যন্ত্র করে বাঙালি সম্প্রদায়কে অত্যাচার করছে। গত চার বছর ধরে বলে আসছি সি এ এ আইন দেখিয়ে বাঙালি ও বাংলার সংস্কৃতি ধ্বংস করার কাজ চলছে। বিস্ফোরক মন্তব্য করে তিনি বলেন,এপার বাংলার বাঙালিকে বলব আগামী নির্বাচনে ফিরে এলে বিজেপি ভোটার কার্ড ও আধার কার্ড বাতিল করবে। আপনারা ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নগদ কাছে রাখুন। না হলে বিপদে পড়বেন।আমি দেশের সব রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিজেপি ও সিপি এমকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি , সি এ এ আসলে বাঙালিকে আদানি আম্বানির কাছে সস্তার দাস বানানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

             এই বিষয়ে আমার সংগঠনের যেকোনো কর্মীর সঙ্গে মুখোমুখি বসুক। আমি যদি বেআইনি বলি, তাহলে ১০ লক্ষ টাকা দেব। হলদিয়া থেকে এসেছিলেন আইনজীবি রক্তিম রহমান। তিনি বলেন, বাঙালির সংস্কৃতি লালন ফকিরের বই, নেতাজি সংক্রান্ত বই কেন আমরা বাংলাদেশ থেকে এনেছি বি এস এফতাতে আপত্তি জানায়। আমি জিজ্ঞাসা করি ভারতের সংবিধানে এই বই সঙ্গে রাখা যাবে না এমন কোনো বিধান আছে কি? কোনো অধিকারে বি এস এফ আপত্তি জানায়। জনমত সংগঠিত করতে আমরা ব্যাপক আন্দোলন করার ব্যবস্থা নিচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *