সুজিৎ চট্টোপাধ্যায় :২৩ জুন। শ্যামাপ্রসাদের ৬৮ তম মৃত্যু দিবস। ক্ষমতায় আসার আগে পর্যন্ত জনসংঘ অধুনা বিজেপি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্ত দাবি করে এসেছে। কিন্তু তৃতীয়বার বার ক্ষমতায় ফিরেও সে ব্যাপারে নিশ্চুপ। তবে কি এখন আর অতীত ঘেঁটে লাভ নেই? বরং এক প্রশ্নের উত্তরে জানানো হয়েছে, লাল বাহাদুর শাস্ত্রী, শ্যামাপ্রসাদ ও দীনদয়াল উপধ্যায়ের মৃত্যু নিয়ে কোনো তদন্ত কেন্দ্রীয় সরকার করবে না। ক্লোজ চ্যাপ্টার।
দীনদয়াল উপাধ্যায়ের মৃত্যু রহস্যেরও কিনারা আজও হয়নি।
অথচ বিজেপি ও আর এস এস নেতৃত্ব বারবার দাবি জানিয়ে এসেছে কংগ্রেসী চক্রান্তে শ্যামাপ্রসাদ খুন হয়েছেন। অভিযোগের তীর ওঠে কাশ্মীরের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহরও বিরুদ্ধে।একসময় সুভাষচন্দ্র যখন কংগ্রেস দলে পদে পদে অপমানিত হচ্ছেন, শ্যামাপ্রসাদ পরামর্শ দিয়েছিলেন নতুন দল তৈরির। কিন্তু কংগ্রেস ছেড়ে সুভাষ যখন ফরোয়ার্ড ব্লক দল তৈরি করলেন,শ্যামাপ্রসাদ সুভাষের সঙ্গ দিলেন না। কারণ তিনি বুঝেছিলেন, তাঁর হিন্দুত্ববাদী লাইনের সমর্থক সুভাষ নন। বরং নেতাজি শ্যামাপ্রসাদকে বলেছিলেন হিন্দুত্বের তাস না খেলতে। বেশ কড়া ভাষাতেই সাবধান করেছিলেন নেতাজি। হিন্দু মহাসভা অনেকদিন আগে থেকেই নজরে রেখেছিল,বাংলার বাঘ আশুতোষ পুত্র শ্যামাপ্রসাদের দিকে। নির্দল হিসেবে শ্যামাপ্রসাদ যখন নির্বাচনে দাঁড়ালেন, হিন্দু মহাসভা থেকে অনুরোধ আসে দলে যোগ দেওয়ার জন্য। শ্যামাপ্রসাদ সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন, ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর থাকবেন। ততদিন রাজনীতিতে কোনো দলের প্রতি আনুগত্য দেখিয়ে শিক্ষকের মর্যাদা তিনি ক্ষুণ্ণ করতে চান না। পরে সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারার বিরুদ্ধে লন্ডনের পার্লামেন্টের সিলেক্ট কমিটির সামনে সাক্ষ্যপ্রদানের জন্য হিন্দু মহাসভা তাঁকে লন্ডনে পাঠাতে চাইলে সেই অনুরোধও তিনি প্রত্যাখ্যান করেন।
হিন্দু মহাসভা এবার শ্যামাপ্রসাদকে পেতে অন্য পথ ধরে। হিন্দু মহাসভার সর্বেসর্বা বিনায়ক দামোদর সাভারকরের ঘনিষ্ঠ ছিলেন ভারত সেবাশ্রমের প্রধান স্বামী প্রনবানন্দ। স্বামীজিকে শ্রদ্ধা করতেন শ্যামাপ্রসাদ। ফলে প্রনবানন্দজি শ্যামাপ্রসাদের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দেন সাভারকরের। সেখানে তিনি কথা দিলেন ১৯৩৯ সালে চাকরি থেকে অবসর নিয়ে হিন্দু মহাসভার যোগ দেবেন। তাই করলেন। দলে নিয়ে সাভারকর তাঁকে নিয়ে গেলেন খুলনায় হিন্দু মহাসভার প্রাদেশিক সম্মেলনে। এরপর থেকে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন শ্যামাপ্রসাদ। কিন্তু কংগ্রেসী রাজনীতিতে হতাশ শ্যামাপ্রসাদ নিজে একটা দল বানাবেন ভেবেছিলেন। তাঁর ইচ্ছে ছিলো ধর্মনিরপেক্ষ দল তৈরির। কাছের লোকজনের কাছে একসময় এই ইচ্ছার কথা নিয়ে তিনি আলোচনাও করতেন। হিন্দু মহাসভা তাই দেরি করেনি। দলে যোগ দিতে না দিতেই তাঁকে বাংলা শাখার সভাপতি করে দেওয়া হয়।
আর এস এস ও বিজেপি শ্যামাপ্রসাদকে খুনের জন্য দায়ী এই অভিযোগ করে থাকে।
১৯৪০।২৮ মার্চ। কলকাতার পুরসভার নির্বাচনে কংগ্রেস মুসলিম লীগ কোনো দলই গরিষ্ঠতা পেলো না। সুভাষপন্থীরা ৪২টি আসনের মধ্যে ২২টিতে পেলো ২১ হাজার ভোট। মুসলিম লীগ ৩০টি আসনের মধ্যে ২৬টি পেলো ২০ হাজার ভোটের বিনিময়ে। উভয় দল একটি চুক্তি করে কলকাতার পুরসভার দখল নিল। সুভাষচন্দ্র এই সিদ্ধান্তকে বেঙ্গল প্যাক্ট বলেন। শ্যামাপ্রসাদ সুভাষকে বলেন সুবিধাবাদী। হিন্দু মহাসভার সৃষ্টিকর্তা কিন্তু ছিলেন দুই বাঙালি। যাঁরা আড়ালেই থেকে গেছেন। সেই দুজন হলেন নবীনচন্দ্র রায় ও চন্দ্রনাথ মিত্র। সময় ১৮৮২। এরপর ১৯০৯সালে পাঞ্জাবে দল প্রতিষ্ঠিত হয় রায় বাহাদুর লাল চাঁদের উদ্যোগে। ১৯১৫সালে এলাহাবাদে মদনমোহন মালব্য, লালা লাজপত রাই, বি এস মুনজের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে সর্বভারতীয় দল। প্রথম সভাপতি বাঙালি মহারাজা মনীন্দ্র কুমার নন্দী আওয়াজ তোলেন, হিন্দু আত্মরক্ষা বাহিনী গড়ার।মনে রাখা দরকার ,১৯২০তে জ্যোতিবা ফুলের নেতৃত্বে মহারাষ্ট্রে ব্রাহ্মণ্যবাদ বিরোধী সত্যাসাধক সমাজ এবং আম্বেদকরের নেতৃত্বে দলিতদের নিয়ে এক সামাজিক আন্দোলন শুরু হয়ে যায়। ১৯২৫ এ বিজয়াদশমীতে বর্ণহিন্দুদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে আর এক ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দু সংগঠন আর এস এস। উচ্চবর্ণের হিন্দুরা দেখলেন, অবিভক্ত বাংলা যদি ভারত ছেড়ে পাকিস্থানের ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে বাংলার শাসনভার চলে যাবে দলিত, নিম্নবর্ণের হিন্দু আর মুসলিমদের হাতে। ইংরেজদের আর এক সূত্র ছিল, বাংলা ও পঞ্জাব ইচ্ছে করলে আলাদা হতে পারে। অর্থাৎ ,ভারত বা পাকিস্থান কোনো পক্ষেই না থাকতে পারে। সেটা যেমন পছন্দ ছিল না কংগ্রেসের,তেমন পছন্দ ছিল না শ্যামাপ্রসাদ, আর এস এসের।রাজি ছিলেন না উচ্চবর্ণের বামপন্থী নেতৃত্বও। অথচ এই শ্যামাপ্রসাদ প্রথম জীবনে বাংলাভাগের বিরোধী ছিলেন।
স্বামী প্রণবানন্দের উদ্যোগে শ্যামাপ্রসাদের সঙ্গে পরিচিত হন সাভারকর।
সি রাজগোপালাচারী ছিলেন কট্টর দক্ষিণী ব্রাহ্মণ। তিনি গান্ধী ও প্যাটেলকে দ্রুত ক্ষমতা দখল করতে বলেন। তিনি বলেছিলেন , বাংলা ও পঞ্জাব স্বাধীনতার পক্ষে প্রতিবন্ধক। আগে এই দুটি প্রদেশ ভেঙে সমস্যার সমাধান করা হোক। এই সম্পর্কে নিকুঞ্জ বিহারী হাওলাদার তাঁর ব্রাহ্মণ্যবাদ ভারতীয় সমাজের ক্যান্সার বইতে লিখলেন, বাংলার উচ্চবর্ণের লোকদের নেতৃত্ব তাঁদের একাধিপত্য বজায় রাখতে বাংলা ভাগের দাবি তুললো। বাংলার কংগ্রেস, কমিউনিস্ট,হিন্দু মহাসভা সবার নেতা হলেন ব্রাহ্মণ চুড়ামণি শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি।শ্যামাপ্রসাদ বাংলা ভাগের পক্ষে যুক্তি দেখাতে গিয়ে বললেন , ইহারা (মুসলমান) হইতেছে হিন্দু সমাজের তলানির নোংরা হইতে একদল ধর্মান্তরিত মানুষ, যাহারা সব দিক হইতে হীনতর। মুসলিম প্রাধান্য বজায় থাকিবার অর্থ বাঙালি হিন্দু সংস্কৃতির উচ্ছেদ। ইসলামে ধর্মান্তরিত একদল নিচু জাতির হিন্দুকে (মুসলমানদের) সন্তুষ্ট করিবার জন্য সুপ্রাচীন হিন্দু সংস্কৃতিকে সেক্ষেত্রে বলি দিতে হইবে।(শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পেপারস)।
সি রাজা গোপালাচারী নেহেরু ও প্যাটেলকে বলেন দ্রুত বাংলাসহ ভারত ভাগ করতে। ভারতের স্বাধীনতার জন্য বাধা পাঞ্জাব ও বাংলা।
এহেন শ্যামাপ্রসাদ মতবিরোধে হিন্দু মহাসভা ত্যাগ করে জনসংঘ দল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য ভারতে অন্তর্ভুক্তির জন্য কাশ্মীর গেলেন। কাশ্মীরের হাওয়া তখন উত্তপ্ত। শ্যামাপ্রসাদ কাশ্মীর পৌঁছতেই শেখ আবদুল্লাহ সরকার তাঁকে গ্রেপ্তার করে। দিনটি ছিল ২১ মে। ১৯৫৩। বন্দী অবস্থায় অসুস্থ হলে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে একমাস পর শ্যামাপ্রসাদ হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। জনসংঘ ও আর এস এস দাবি তুলল, শ্যামাপ্রসাদের মৃত্যু রহস্যজনক। তাই তদন্ত চাই। এই দাবিকে জোরদার করতে শ্যামাপ্রসাদের মা অর্থাৎ আশুতোষপত্নী যোগমায়াদেবী ছেলের মৃত্যুর কারণ জানতে প্রধান মন্ত্রী নেহেরুকে যে চিঠি লেখেন,সেটি জনসমক্ষে আনে জনসংঘ। চিঠিতে কি লেখেন যোগমায়া দেবী? তিনি লেখেন,তাঁর ছেলে অসুস্থ ছিলেন না। সুতরাং নেহেরুজি যেন তদন্ত করেন। কিন্তু সে দাবি নাকি অগ্রাহ্য করে নেহেরুজি জবাবে লেখেন ,শ্যামাপ্রসাদের মৃত্যু কারণ নিয়ে অনুসন্ধানে প্রমাণ হয়েছে ,তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মারা গেছেন। আপনার আবেগকে শ্রদ্ধা জানিয়েই বলছি বাস্তব যেটা সেটাই আপনাকে জানালাম। যোগমায়াদেবী এবার আরও কড়া ভাষায় চিঠি লিখলেন। যে চিঠির মর্মার্থ ,তাঁর ছেলে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে বলি হয়েছেন। সেই কড়া চিঠির জবাব নাকি নেহেরুজি দেননি। কি সেই মৃত্যু রহস্য?
মতান্তরে শ্যামাপ্রসাদ হিন্দু মহাসভা ত্যাগ করে ভারতীয় জনসংঘ দল গড়ে তোলেন।
এই সম্পর্কে বিজেপি নেতা ও এক সময়ে এই প্রতিবেদকের সহকর্মী সাংবাদিক রন্তিদেব সেনগুপ্ত এক সংবাদ সাপ্তাহিকে গত ২৫ জুন ২০১৬ সংখ্যায় উল্লেখ করেছেন এই তথ্য। এটি প্রকাশিত হয় শ্যামাপ্রসাদ সার্বিক কমিটির শতবর্ষের আলোয় শ্যামাপ্রসাদ গ্রন্থে।
রন্তিদেব তাঁর প্রতিবেদনে লেখেন, নিশাত বাগের যে কটেজে শ্যামাপ্রসাদকে আটক রাখা হয়, সেটি শ্রীনগর থেকে ৮ মাইল দূরে।পাশের দুটি ছোট কামরায় রাখা হয় তাঁর দুই সঙ্গীকে। তাঁকে রোজ সংবাদপত্র দেওয়া হতো না। বাড়ি থেকে আসা চিঠিও দেওয়া হতো না। তিনি তাঁর হিন্দুস্থান স্ট্যান্ডার্ড এর এক সাংবাদিক বন্ধুকে চিঠি লিখে কিছু বই, এক টিন বিস্কিট, এক টিন ওভালটিন, নেস্ কফি এক কৌটো, একটি মাফলার, মাথায় মাখার তেল, কিছু লেখার খাতা ও রাইটিং প্যাড পাঠানোর কথা বলেন। কিন্তু তাঁকে তা দেওয়া হয়নি।
কাশ্মীরে গৃহবন্দী অসুস্থ শ্যামাপ্রসাদ।
তৎকালীন কাশ্মীরের আই জি প্রিজন আর এন চোপড়া খোঁজ নিতে এলে সকালে প্রাত:ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয় এই অনুরোধ করেন শ্যামাপ্রসাদ।প্রথমে আই জি রাজি হলেও লিখিত অনুমতি মেলে না। বিজেপি নেতাদের অভিযোগ ২৪ মে নেহেরু কাশ্মীরে গেলেও শ্যামাপ্রসাদের সঙ্গে দেখা করেননি। আত্মীয়রাও দেখা করার অনুমতি পেতেন না। শুধু আইনজীবী ইউ এম ত্রিবেদী অনুমতি পান। রন্তিদেব জানাচ্ছেন,১৯ মে সকালে জ্বর শুরু। রাতে বুকে ব্যাথা।২০মে,সকালে জেলের ডাক্তার আলী মুহাম্মদ ও ডাক্তার অমরনাথ রায়না শ্যামাপ্রসাদকে দেখতে আসেন। ডাক্তার আলী তাঁর প্লুরিসি হয়েছে বলে স্টেপটোমাইসিন ইনজেকশন দেন। যদিও শ্যামাপ্রসাদ নাকি বলেছিলেন,তাঁর ওই ইনজেকশন সহ্য হয় না। কিন্তু তাঁর কথা শোনা হয় না। ২১ জুন তাঁর বুকে ব্যাথা বাড়ে। ২২ জুন হার্ট এ্যাটাক হয় ভোর চারটায়। কিন্তু তাঁকে হাসপাতালে ট্যাক্সি করে হাসপাতালে নেওয়া হয় বেলা ১২ টায়।পরেরদিন ২৩ জুন ভোর তিনটে চল্লিশ নাগাদ মারা যান শ্যামাপ্রসাদ।
৬ জুলাই ,২০০৪। অটলবিহারী বাজপেয়ী শ্যামাপ্রসাদের জন্মদিনে নিজে অভিযোগ করেছেন,শ্যামাপ্রসাদ ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে মারা গেছেন ।অথচ বিজেপি এত বছর ক্ষমতায় থেকেও কেন মৃত্যু রহস্যের তদন্ত হচ্ছে না সেটাই রহস্যই থেকে গেছে। অবশ্য বিজেপি নেতা তথাগত রায় একটি বই লিখেছেন দ্য লাইফ অ্যান্ড টাইমস অফ ড: শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি এ কমপ্লিট বায়োগ্রাফি। তিনি একটা কৈফিয়ত দিয়েছেন,কেন শ্যামাপ্রসাদের মৃত্যু রহস্যের তদন্ত প্রথম বিজেপি ক্ষমতায় এসে করতে পারেনি কেননা অটল বিহারীর কেন্দ্রীয় সরকার ছিল কোয়ালিশনের সরকার ।সেখানে শরিক ছিল শেখ আব্দুল্লাহর ন্যাশনাল কনফারেন্স দল। তাই সম্ভব হয় নি। কিন্তু নিন্দুকরা বলছেন,দলের সর্বোচ্চ নেতার মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী তাদের সাহায্যে ক্ষমতায় টিকে থাকা কেমন রাজনৈতিক আদর্শ?
নিন্দুক বিরোধীদের আরও অভিযোগ,শ্যামাপ্রসাদ কেন বীতশ্রদ্ধ হয়ে হিন্দু মহাসভা ত্যাগ করেছিলেন,কিম্বা নিজের হাতে তৈরি জনসংঘের এক নেতা দ্বারকাপ্রসাদ মিশ্রের সঙ্গে কি এমন মতবিরোধ হয় যে তিনি দলের সভাপতি পদত্যাগ করতে চাইছিলেন? তাহলে কি বেঁচে থাকতেই শ্যামাপ্রসাদের ব্যক্তিত্বকে মেনে নিতে পারছিলেন না দলের অন্য নেতারা? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজব আগামী ৬ জুলাই। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির ১২৩তম জন্মদিনে। চোখ রাখুন, দিগদর্শন নিউজ পোর্টালে।