নাদ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তিনদিনব্যাপী আসর বসছে জি ডি বিড়লা সভাগৃহে

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : সাধারণ অর্থে নাদ শব্দের অর্থ শব্দ বা ধ্বনি। ৫০০ খ্রিস্টাব্দে মতঙ্গ রচিত বৃহদ্দেশী গ্রন্থে নাদ প্রসঙ্গে লেখা হয়েছে, নাদ ভিন্ন গীত সম্পদিত হয় না, নাদ ব্যতীত স্বর নির্ণয় সম্ভব নয় নাদ থেকে বিন্দু, নাদ থেকেই সব বাঙ্গময় হয়ে ওঠে।

               কলকাতায় শাস্ত্রীযসঙ্গীতের একটি ঘরানা আছে। নাদ এমন একটি উচ্চমানের মনোজ্ঞ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের আসর যেখানে মার্গ সঙ্গীতের শ্রোতারা এক বিরল যুগলবন্দীর সুর তাল ছন্দের আরকে নিজেদের জারিয়ে নিতে পারেন। ভারতীয় বিদ্যাভবন ও পণ্ডিত শঙ্কর ঘোষ তবলা ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে বসন্ত সন্ধায় বসতে চলেছে নাদ এরআসর। সমগ্র অনুষ্ঠানের পরিচালনা করেন পণ্ডিত বিক্রম ঘোষ।

বিজ্ঞাপন

পায়ে পায়ে তিন বছরের অভিজ্ঞতায় এবারের অনুষ্ঠান ২৯ থেকে ৩১ মার্চ। জি ডি বিড়লা সভাগৃহে। ধ্রুপদী সঙ্গীতের সঙ্গে থাকছে গজল কাওয়ালি এবং ফিউশন। ওস্তাদ তফিফ কুরেশি ও বিক্রম ঘোষের সঙ্গতের যুগলবন্দী এবারের অন্যতম আকর্ষণ। অনুষ্ঠানের শেষ দিনে থাকবে এই অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে পূর্বায়ন চট্টোপাধ্যায় ও পণ্ডিত কুমার বোসের যুগলবন্দী। দ্বিতীয় দিনের আরেক আকর্ষণ বিদুষী গায়ত্রী অশোকান ও পণ্ডিত পৃথবী গন্ধর্ব এর গজল কাওয়ালি সন্ধা। এই গজল ও কাওয়ালি নাদ সন্ধ্যার নতুন বৈপ্লবিক সংযোজন। এছাড়াও থাকছে পণ্ডিত রাজেন্দ্র গঙ্গাইয়ের কত্থক, পদ্মশ্রী গীতা চন্দ্রণের ভরতনাট্যম, বিদুষী অরুণা সাইরাম এবং বিক্রম ঘোষের যুগলবন্দী।

বিজ্ঞাপন

         ভারতীয় বিদ্যা ভবনের পক্ষে জি ভি সুব্রমনিয়াম ও বিক্রম ঘোষের দুজনেরই ইচ্ছে ছিল কলকাতার শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ঐতিহ্যে নাদ হয়ে উঠুক এক অন্য মাত্রার অর্ঘ্য। থাকছে না কোনো টিকিট। সবার জন্যই এই আমন্ত্রণ। বসন্ত সন্ধ্যায় এই অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকবে কলকাতা।

বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *