দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক ১৯৮৪ সালের ৩ এপ্রিল। কাজাখস্তানের ঘাঁটি থেকে মহাকাশে উড়ে যায় রুশ যান সুয়েজ টি ইলেভেন। যার যাত্রী ছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার রাকেশ শর্মা । ভারতের প্রথম মহাকাশচারী। ৭ দিন ২১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট মহাকাশে কাটিয়ে ১১ এপ্রিল পৃথিবীতে ফেরেন রাকেশ। রুশ মহাকাশ স্টেশন, স্যালুট সেভেনে ছিলেন রাকেশ। ৪১ বছর পর দ্বিতীয় মহাকাশচারী পেল ভারত। অ্যাক্সিওম ফোর মিশনে, স্পেসএক্স ফ্যালকন রকেটের ড্রাগন ক্যাপসুলে চেপে, মহাকাশে পৌঁছে গিয়েছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা। তিনিই ছিলেন ড্রাগন মহাকাশযানের পাইলট। আর তাঁদের গন্তব্য ছিল আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন। প্রথম ভারতীয় মহাকাশচারী হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে পা রাখলেন শুভাংশু। এবার তাঁর ফেরার পালা। রাকেশ শর্মার যাত্রার পর, চার দশকে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা। চাঁদের মাটিতে পা ফেলেছে ভারতের মহাকাশযান। শুভাংশুর মহাকাশ যাত্রা সেই সাফল্য়ের টুপিতে আরও একটা পালক। ছ দশক আগেই স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন বিক্রম সারাভাই। সে সময় সাইকেলে, গরুর গাড়িতে চাপিয়ে রকেট এসেম্বলি করার জন্য নিয়ে যাওয়া হতো। সময় বদলেছে, এখন বাহুবলি রকেট তৈরি করে ইসরো। PSLV-র পর GSLV। এখন আসরে LVM-3। এই লঞ্চ ভেহিকল মার্ক থ্রি চন্দ্রজানকে পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছে দিয়েছিল। এবার মহাকাশে মানুষ পাঠানোর কথা ভাবছে ইসরো। চাঁদ, মঙ্গল জয় করার পর নতুন কোন দিগন্ত জয় করবেন আমাদের বিজ্ঞানীরা? তবে এই পথ মসৃন ছিল না, কোন কোন কাঁটা বিঁধেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণাকে? কীভাবে নতুন করে আবার পথ চলা শুরু করেছি আমরা?
এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই TV9 বাংলার নতুন নিউজ সিরিজ ‘গগনজয়ের ভারতগাথা’। ১৩ জুলাই, ২০২৫, রবিবার রাত ১০ টায়।