অটলবিহারী বাজপেয়ী জন্মশতবর্ষ উদযাপন সমিতির শ্রদ্ধাঞ্জলি

*

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী। জন্ম ২৫ ডিসেম্বর ১৯২৪, প্রয়াণ । রাজনীতির বাইরে তাঁর বাগ্মী চরিত্র দেশের মানুষের কাছে ছিল শ্রদ্ধার বস্তু। তাঁর কবিতা ছিল সংস্কৃতি অনুরাগীদের কাছে পরম সম্পদ। তিনি লিখেছিলেন, হামঝুঁক নেহি সকতে দাও পর সব কুছ লাগা হ্যায়। রুক নেহি সকতে , টুট সকতে হ্যায় মগর, হাম ঝুঁক নেহি সকতে। অনুরাগীরা বলেন তিনিসারা জীবনে সংকল্পে ছিলেন অটল। নামের সার্থকতা তিনি প্রমাণ করেছেন। বিরোধীরা বেশ কিছু বিষয়ে তাঁকে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু করলেও তাঁর ব্যক্তিত্বকে অস্বীকার করতে পারেননি। দেশের আর এক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজনৈতিক মতাদর্শে বিরোধী শিবিরের মানুষ মনমোহন সিং অটলবিহারী বাজপেয়ীকে দেশের রাজনৈতিক পরিসরে ভীষ্ম পিতামহ আখ্যা দিয়েছিলেন।

আজও তাঁর অনুরাগীরা জীবনের চলার পথে আদর্শ হিসেবে তাঁকে হৃদয়ের আসনে প্রতিষ্ঠা করে রেখেছেন। এমনই কিছু অনুরাগী কলকাতায় গড়ে তুলেছেন অটলবিহারী বাজপেয়ী জন্মশতবর্ষ উদযাপন সমিতি। গত ১৬ আগষ্ট অটলবিহারী বাজপেয়ীর ষষ্ঠ প্রয়াণ দিবসে তাঁর জন্মশতবর্ষ পালন করলেন আবেগঘন পরিবেশে। দক্ষিণ কলকাতার এক মঞ্চে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার, কর্ণেল সব্যসাচী বাগচি ছিলেন বিশেষ অতিথি। প্রয়াত জননেতার স্মৃতি তর্পণ করেন তনুজা চক্রবর্তী , রাজকমল পাঠক, সুশান্ত পাল ও সায়ন্তন বসু। সংস্থার সভাপতি বিশ্ব সেবাশ্রম সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সমীরেশ্বর ব্রহ্মচারী ছিলেন অনুষ্ঠানেরও সভাপতি। সংগঠনের পক্ষে আগত সবাইকে শুভেচ্ছা জানান কার্যকরী সভাপতি বিশ্বপ্রিয় রায় চৌধুরী এবং সম্পাদক শ্যামল বণিক।

উপস্থিত অতিথিরা প্রত্যেকে প্রয়াত অটলবিহারী বাজপেয়ীর বহুমুখী প্রতিভার স্মৃতি তর্পণ করেন। বক্তব্যের মধ্য দিয়ে উঠে আসে অনেক অজানা তথ্য। অনেকেই জানেন না বাবা সাহেব আপ্তের বক্তৃতা তাঁকে প্রভাবিত না করলে অটলবিহারীকে রাজনীতিতে বাম শিবিরে দেখা যেত। কানপুর আইন কলেজ থেকে অটলবিহারী এবং পিতা কৃষ্ণবিহারী একসঙ্গে হোস্টেলের একই ঘরে থেকে আইনের স্নাতক হন। সাংবাদিক হিসেবেও তিনি ছিলেন সাবলীল। কলম ছিল দৃঢ়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সবিতা চৌধুরী, শম্পা সাহা দাস। সম্মানিত হন সৈকত বক্সি। তাঁকে অটলজী স্মৃতি মেধা সম্মান দেওয়া হয়।

দেখতে ভুলবেন না

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *