শ্রীজিৎ চট্টরাজ: ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা এখনও করেনি নির্বাচন কমিশন । বিজেপি ইতিমধ্যে ২০টি আসনে তাঁদেরপ্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে সবার আগে। যদিও আসানসোল কেন্দ্রের প্রার্থী নিয়ে বিতর্ক হওয়ায় প্রার্থী নিজেই সরে দাঁড়ানোর ফলে এখন পর্যন্ত ১৯ টি আসনে প্রার্থীর নাম আমরা জানতে পেরেছি। অন্যদিকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল বিগ্রেড সভা থেকে ৪২ টি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। বাকি থাকছে বাম কংগ্রেস ও আই এস এফের তালিকা।
গত লোকসভা ও বিধানসভায় বামেদের আসন ছিল শূন্য। গত দুবছরে বামের ভোট কি রামের ভোট থেকে ফিরে আসবে? সংখ্যালঘু ভোট কি আবার আস্থা ফিরে পাবে? বামফ্রন্ট কংগ্রেস জোট এখনও ঘোষিত নয়। সম্ভবত বামের ৪২ জন প্রার্থী তালিকা তৈরি। তাঁরা অপেক্ষা করছে কংগ্রেসের জন্য। কংগ্রেস এখনও আশা করছে তৃণমূলের সঙ্গে একটা সমঝোতা হবে। বামেরা অবশ্য আর অপেক্ষা করতে রাজি নয়। মহম্মদ সেলিম তো বলেই দিয়েছেন কংগ্রেসকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অধীর চৌধুরীর সঙ্গে রাজ্য স্তরে একরকম কথা হয়েই আছে। আই এস এফের সঙ্গেও সমঝোতা হয়ে আছে।
দেখা যাক বামফ্রন্টের প্রার্থী তালিকা কেমন হতে পারে। উত্তরবঙ্গে বিজেপি যখন শক্তি বৃদ্ধি করেছে অনেকটাই ।কোচবিহার থেকে মন্ত্রী করা হয় নিশীথ প্রামানিককে। এবারেও প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। তৃণমূল এখানে প্রার্থী করেছে জগদীশ চন্দ্র বাসুনিয়াকে। এখানে সম্ভাব্য বাম প্রার্থী হতে পারেন ফরোয়ার্ড ব্লকের গোবিন্দ রায়। গতবার ফরোয়ার্ড ব্লক পেয়েছিল ৪৬৮১০ ভোট। প্রার্থী ভোট হারিয়েছিলেন ২৯.১০ শতাংশ। আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী মনোজ টিগ্গা, গতবারের বিজয়ী জন বারলাকে বিজেপি এবার টিকিট দেয়নি। তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইক। এই কেন্দ্রে বামেদের সম্ভাব্য প্রার্থী আর এস পির মিলি ওঁরাও। গতবার এই কেন্দ্রে বাম প্রার্থী ভোট পান ৫৪,০১০ টি। আগের তুলনায় ভোট হারিয়েছে বামেরা ২৪.৯ শতাংশ।
জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত কুমার। তৃণমূল প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায়। এই কেন্দ্রে সি পি এমের প্রার্থী হতে পারেন ডা,: প্রদীপ কুমার রায়। এই আসনে বাম ভোট হারিয়েছে ২৭.৫ শতাংশ। ভোট ছিল ৭৬,১৬৬। দার্জিলিং কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা। তৃণমূলের প্রার্থী গোপাল লামা। বামেদের সম্ভাব্য প্রার্থী প্রবীণ নেতা অশোক ভট্টাচার্য। এই কেন্দ্রে সিপিএম ভোট হারিয়েছে ১০.৭ শতাংশ। ভোটের পরিমাণ ছিল ৫০,৫২৪। রায়গঞ্জ কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী পাপিয়া অধিকারী( সম্ভাব্য)। গতবারের বিজয়ী দেবশ্রী চৌধুরি এবার মনোনয়ন পাননি। তৃণমূলের প্রার্থী বিজেপি থেকে আসা কৃষ্ণ কল্যাণী। এই আসনটি বামেরা কংগ্রেসের জন্য ধরে রেখেছে। কংগ্রেস সম্ভবত এই আসনটি দেবে দীপা দাস মুন্সী অথবা আলি ইমরান রামিজকে।
বালুরঘাট কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তৃণমূল প্রার্থী বিজেপি থেকে আসা বিপ্লব মিত্র। বামেদের এই আসন ছিল। নেতাজি সহযোগী ত্রিদিব চৌধুরি জিততেন। এবার প্রার্থী আর এস পির রণেন সেন । গতবার ভোট হারিয়েছে বামেরাএই কেন্দ্রে প্রায় ২২.৪ শতাংশ। ভোটের নিরিখে বামেরা পেয়েছিল ৭২,৯০০ ভোট। মালদা উত্তর কেন্দ্র বিজেপি দিয়েছে খগেন মূর্মুকে। সিপি এম ছেড়ে রেখেছে কংগ্রেসের জন্য। এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের সম্ভাব্য প্রার্থী গণি পরিবারের ঈশা খান চৌধুরি। মালদা দক্ষিণ কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি। তৃণমূলের প্রার্থী শানোয়াজ আলি রহমান। বামেরা এই আসনটিও ছেড়ে রেখেছে কংগ্রেসের জন্য। জঙ্গিপুর আসনে বিজেপি সম্ভবত মাফুজা খাতুনকে প্রার্থী করছে। তৃণমূল প্রার্থী করেছে খলিলুল রহমানকে।
বামেরা এই আসনটি দিচ্ছে সম্ভবত আই এস এফকে। সম্ভাব্য প্রার্থী সারাউল্লাহ সিদ্দিকী। বহরমপুর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী নির্মল কুমার সাহা।। তৃণমূল প্রার্থী করেছে ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে। এই কেন্দ্রে নিশ্চিত কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরি। মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী গৌরীশঙ্কর ঘোষ। তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খান। বাম আসনটি কংগ্রেসের জন্য রেখেছে। সম্ভাব্য প্রার্থী আবু হেনা। কৃষ্ণনগর কেন্দ্রে সম্ভবত বিজপি প্রার্থী সৌমেন মুখার্জি। তৃণমূল প্রার্থী বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্র। বামেরা আসনটি দিচ্ছে এস এম সাদিকে। রানাঘাট কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। গোষ্ঠী কোন্দলে দলত্যাগ করে ডা,: মুকুটমণি অধিকারী যোগ দিয়েছেন তৃণমুলে । পুরষ্কার স্বরূপ পেয়েছেন এই আসনের টিকিট। বামের প্রার্থী এখানে রমা বিশ্বাস। বামেরা গতবার এখানে ভোট পায় ৯৭৭৭। ভোট হারিয়েছিল ২২.২ শতাংশ।
মতুয়া অধ্যুষিত বনগাঁ আসনে বিজেপি প্রার্থী করেছে শান্তুনু ঠাকুরকে। ইতিমধ্যে কেন্দ্র সি এ এ চালু করে দেওয়ার ফলে আসনটি বিজেপি পকেটে পুরে ফেলেছে বলা যায়। তৃণমূল প্রার্থী মতুয়া ধর্মের প্রাক্তন বিজেপি বিশ্বজিৎ দাস। বামেরা সম্ভবত এখানে প্রার্থী করেছে আর এক মতুয়া সবুজ দাশকে। এই আসনে গতবার বামেরা ভোট পায় ৯০১২২। ভোট হারায় ২৫.১ শতাংশ। ব্যারাকপুর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী করেছে ফাল্গুনী পাত্রকে। তৃণমূল গতবারের বিজয়ী প্রার্থী অর্জুন সিংকে টিকিট দেয়নি। টিকিট পেয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে। এই কেন্দ্রে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সবুজ পতাকা দেখালে কেন্দ্রের প্রার্থী বদল হয়ে অর্জুন সিং হতে পারেন।দমদম কেন্দ্রে গতবারের বিজেপি প্রার্থী বিমল শঙ্কর নন্দ।শিক্ষক নেতা গতবার দমদম কেন্দ্রে তৃনমূলের সৌগত রায়ের কাছে হেরে যান। দমদম কেন্দ্রে এবার বিজেপি প্রার্থী শীলভদ্র দত্ত। তৃনমূলের সৌগত রায়। বামেরা এই কেন্দ্রে মনোনয়ন দিয়েছে সায়নদীপ মিত্রকে। গতবার বামেরা এখানে ভোট পায় ১,৬১৫৯০ টি। ভোট কমে ১৫.২ শতাংশ।
বারাসত কেন্দ্রে সম্ভবত বিজেপির প্রার্থী শিক্ষক নেতা বিমল শঙ্কর নন্দ । এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী ডা,: কাকলী ঘোষ দস্তিদার। বাম ফ্রন্টের ফরোয়ার্ড ব্লকের সম্ভবত প্রার্থী সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়। গতবার বামেরা ভোট পায় ১,২৪০৬৮ টি ভোট। শতাংশের হিসেবে আগের চেয়ে কম পেয়েছে ১৮.৮ শতাংশ। বসিরহাট কেন্দ্রে বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী নাজিয়া ইলাহী খান। তৃনমূলের প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম। বামের সম্ভবত প্রার্থী শুভম ব্যানার্জি বা প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার। এখানে গতবার বাম ভোট পায় ৬৮,৩১৬। ভোট হারিয়েছিল ২৫.৩ শতাংশ। জয়নগর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী অশোক কান্ডারি। তৃনমূলের প্রার্থী প্রতিমা মণ্ডল।
বামের সম্ভাব্য প্রার্থী আর এস পির সুভাষ নস্কর। গতবার প্রাপ্য ভোট ছিল ৬৭,৯১৩। প্রায় ২৭.৫ শতাংশ। মথুরাপুর কেন্দ্রে বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী দিলীপ জটুয়া। তৃণমূল প্রার্থী বাপি হালদার। বাম প্রার্থী হতে পারেন ডা: শরৎ চন্দ্র হালদার। আগেরবার ভোট পেয়েছিল বামেরা ৯২,৪১৭। ভোট কমে যায় ৩২.১ শতাংশ। ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী সোনালী গুহ। তৃনমূলের অভিষেক ব্যানার্জি। বামেদের সম্ভাব্য প্রার্থী আই এফের নওশাদ সিদ্দিকী। গতবার বামেরা ভোট পায় ৯৩৯৪১। ২৮ শতাংশ ভোট কম মেলে আগেরবারের তুলনায়। যাদবপুরে বিজেপির প্রার্থী অনির্বাণ গাঙ্গুলি। তৃনমূলের প্রার্থী সায়নী ঘোষ। বামেদের সম্ভাব্য প্রার্থী সায়ন ব্যানার্জি। আসনটি সুজন চক্রবর্তীকেও দেওয়া হতে পারে। গতবার বামেরা ভোট পেয়েছিল ৩,০২২৬৪। কম ভোট ছিল ১৫ শতাংশ।
কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রে বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী মিঠুন চক্রবর্তী। তৃনমূলের মালা রায়। বামেদের সম্ভবত প্রার্থী শতরূপ ঘোষ। ভোট মিলেছিল ১,৪০২৭৫। ভোট কমেছিল ১২.৩ শতাংশ। কলকাতা উত্তর কেন্দ্রে বিজেপির সম্ভবত প্রার্থী সজল ঘোষ। তৃনমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বামের সম্ভবত প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। গতবার ভোট মিলেছিল ৭১০৮০। গতবারের তুলনায় ১৩ শতাংশ কম। হাওড়া কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন তৃণমুল মেয়র বিশিষ্ট হোমিও চিকিৎসক রথীন চক্রবর্তী। তৃনমূলের প্রার্থী প্রসূন বন্দোপাধ্যায়। বামের সম্ভাব্য প্রার্থী তরুণ তুর্কি প্সিতা দীপ্সিতা ধর। গতবার ১৭.৩ শতাংশ ভোট কমে বাম প্রার্থী পেয়েছিলেন ১০৫৫৪৭ । উলবেড়িয়ার সম্ভাব্য প্রার্থী মাসুম আখতার। তৃনমূলের সাজদা আহমেদ। বামের সম্ভাব্য প্রার্থী সাবিরুদ্দিন মোল্লা। ভোট কমেছিল গতবার ২৪.৯ শতাংশ। প্রাপ্য ভোট ছিল ৮১,৩১৪। শ্রীরামপুর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী সম্ভবত কবীরশঙ্কর বসু। তৃনমূলের প্রার্থী কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়। বামেদের সম্ভাব্য প্রার্থী তীর্থঙ্কর রায়। ভোট কমেছিল ১৭.২ শতাংশ। পরিমাণ ছিল ১,৫২২৮১।
হুগলি কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দোপাধ্যায়। বামেদের প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। ভোট কমেছিল ২৪.১ শতাংশ। ভোট ছিল ১,৫২২৮১। আরামবাগ কেন্দ্রে বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী মধুসূদন বাগ। তৃনমূলের প্রার্থী মিতালি বাগ। বামেদের সম্ভাব্য প্রার্থী শক্তি মোহন মালিক। গতবারের তুলনায় ভোট কম মেলে ২২.৭ শতাংশ। মোট ভোট পেয়েছিল ১০৫২৩। তমলুক কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী সদ্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তৃনমূলের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। বামেদের সম্ভাব্য প্রার্থী শেখ ইব্রাহিম আলি। ভোট কমেছিল আগেরবার ২৫.৭ শতাংশ। ভোট জমা পড়েছিল ১৩৬১২৯।
কাঁথি কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী। তৃনমূলের প্রার্থী উত্তম বারিক। বামেদের প্রার্থী সম্ভবত পরিতোষ পট্টনায়ক। ভোট কমেছিল ২৯.৩ শতাংশ। ভোট মিলেছিল ৭৬১৮৫। ঘাটাল কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হিরন্ময় চ্যাটার্জি। তৃণমূল প্রার্থী দেব অধিকারী। বামেদের প্রার্থী সম্ভাব্য সি পি আই এর সৈকত গিরি কিম্বা মধুজা সেন রায়। ভোট কমেছিল ২৪.৫ শতাংশ। ভোটের পরিমাণ ৯৭০৬০। ঝাড়গ্রামে বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী কুনার হেমব্রম। তৃনমূলের প্রার্থী কালীপদ সোরেন। বামেদের সম্ভাব্য প্রার্থী দেবলীনা হেমব্রম কিম্বা আই এস এফের লক্ষ্মীকান্ত হাঁসদা। এই কেন্দ্রে বাম ভোট ছিল ৯৭,০৬০। শতকরা ২০.৬ শতাংশ কম ভোট মিলেছিল।
বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রে বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী পরেশচন্দ্র দাস। তৃনমূলের প্রার্থী ডা; শর্মিলা সরকার। বামেদের সম্ভাব্য প্রার্থী আভাস রায়চৌধুরি। মীনাক্ষী মুখার্জি যার আবিষ্কার। এখানে গতবার আগেরবারেরতুলনায় ২২.৬ শতাংশ ভোট কম পেয়েছিল। সংখ্যায় ভোট পেয়েছিল বামেরা ১০০৭৫। বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রে বিজেপির সম্ভাব্য প্রার্থী কেয়া ঘোষ। তৃণমুলের ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ। তিনি ছিলেন বিজেপি দলে। বোলপুর কেন্দ্রে সম্ভাব্য প্রার্থী অনুপম হাজরা। তবে তী গোষ্ঠী কোন্দলে তিনি টিকিট নাও পেতে পারেন। তৃণমুলের প্রার্থী অসিত মাল। বামেদের সম্ভাব্য প্রার্থী বর্ষীয়ান তুখোড় প্রাক্তন সাংসদ রামচন্দ্র ডোম। গতবার ২৩.৯ শতাংশ ভোট কম ছিল। পরিমাণ ৯১৯৬৪।
বীরভূম কেন্দ্রে সম্ভাব্য প্রার্থী বিজেপির দুধকুমার মণ্ডল । তৃণমুলের শতাব্দী রায়। বামেদের সম্ভাব্য প্রার্থী মিল্টন রশিদ ২৪.২ শতাংশ ভোট হারাতে হয় গতবার। ভোট সংখ্যা ছিল ৯৬৭৬৩। বিষ্ণুপুর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ। বিপরীতে তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল। এখানে বামের সম্ভাব্য প্রার্থী সুনীল খান। ভোট বামেরা হারিয়েছিল গতবার ২৬.১৫ শতাংশ। মোট প্রাপ্য ভোট ছিল গতবার ১০,২৬১। বাংলার নির্বাচনে ইতিহাসে বামদের আসন শূন্য কোনোদিন ছিল না।২০১৯ লোকসভা ও ২০২১ বিধানসভায় অস্তিত্বহীন অবস্থা থেকে বামেরা ঘুরে দাঁড়াবে এমনটাই আশা বাম নেতৃত্বের। গত পঞ্চায়েত ভোটে ভোট বৃদ্ধি এই আশা যোগাচ্ছে। মোটামুটি বামেদের ২৫ শতাংশ ভোট বাড়াতে হবে। অন্তত ১৫ শতাংশ ভোট বাড়াতে পারলেও অনেক আসনের ফল পাল্টে যেতে পারে।এখন অপেক্ষা আমাদের সম্ভাব্য তালিকার সঙ্গে বামেদের তালিকা কতটা মেলে। কতটা ভোট বাড়িয়ে কটা আসন বাম ফিরে পায় সেটাই দেখার।