অভিশপ্ত ১৬ আগস্ট ১৯৪৬, সত্যিই কি ঘটেছিল সেদিন?

৪৬ এর দাঙ্গার দৃশ্য

সুজিৎ চট্টোপাধ্যায় : আজকাল প্রায়ই শুনি শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি না থাকলে পশ্চিম বাংলা পাকিস্থান হয়ে যেত। তিনি নাকি রুখেছিলেন। বি জে পি নেতৃবৃন্দের দাবি, হিন্দু বাঙালিদের বাঁচাতে শ্যামাপ্রসাদবাবু বঙ্গভঙ্গ রুখে এপার বাংলাকে বাঁচিয়েছিলেন। কিন্তু,ইতিহাস বলছে, এই কৃতিত্ব বাংলার উচ্চবর্ণের বাম, ডান, অতি ডান সবার।বঙ্গভঙ্গের সমর্থনে সাক্ষর করেন, বর্ধমানের রাজা উদয়চাঁদ মহতাব,শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি, মুকুন্দবিহারী মল্লিক, রতনলাল ব্রাহ্মণ, জ্যোতি বসু, নীরদ মল্লিক প্রমুখ। বাংলার মুসলিম চাননি প্রথমে বাংলা ভাগ। কংগ্রেস কলকাতার সিংহীপার্কে বঙ্গ ভাগের দাবি তোলে।শ্যামাপ্রসাদ তৎকালীন রাজ্যপাল ফেদারিক বর্জকে জানান, ভারত ভাগ হোক না হোক বাংলা ভাগ করতেই হবে। মাউন্টব্যাটেন নিজের বাড়িতে ১৯৪৭সালের ২ জুন বৈঠক ডাকেন। আমন্ত্রিত হন জহরলাল, প্যাটেল, কৃপালিনি, জিন্না, লিয়াকত আলি, আব্দুল রবনিসতা,এবং শিখদের তরফে বলদেব সিং।

৪৬ এর ১৬ আগস্ট। পুলিশ দাঙ্গা রোধে পথে।

লক্ষ্য করুন, আমন্ত্রিত ছিলেন না আম্বেদকর। আমন্ত্রিত ছিলেন না বাংলার ভূমিপুত্রদের প্রতিনিধি যোগেন মণ্ডল। মিটিং এ সিদ্ধান্ত হয়,বাংলার আঞ্চলিক সরকার সিদ্ধান্ত নেবেন।সেই মত বাংলায় ভোটাভুটি হয়।বাংলায় ছিল পাঁচ বিভাগ।১) প্রেসিডেন্সি ২) বর্ধমান ৩) রাজশাহী ৪) ঢাকা ৫) চট্টগ্রাম। এই পাঁচ বিভাগে হিন্দু মুসলিমের ভাগ ছিল যথাক্রমে১)৫৩.৭০%/৪৪.০০%,২)৭৮.৯৮%/১৩.৯০% ৩) ৩৫.৪১%/৬২.৫২% ,৪)২৭.৭০%/৭১.৫৯% ৫)২০.৭০%/৭৫.৪০%। রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রামের অধিকাংশ সদস্য বঙ্গভঙ্গ চাননি। যাঁরা অধিকাংশই মুসলিম বাঙালি।

এসব তো ১৯৪৬ এর কথা। আসলে হিন্দু মুসলিম ভাগ করে ব্রিটিশ তাদের উপনিবেশ রক্ষা করার ফন্দি অনেক আগে থেকেই করে।সঙ্গী হয় ক্ষমতালোভী দেশের নেতারা। ফিরে যাই এক বছর আগে।১৯৪৬। দেশের সংখ্যালঘু মানুষ বুঝে গেছেন,গান্ধীজি যতই বলুন, তাঁর মরদেহের ওপর দেশ ভাগ হবে,সেটা নেহেরু প্যাটেল মানবেন না। সি রাজাগোপালাচারী দক্ষিণী ব্রাহ্মণ। তিনি চাইছিলেন দ্রুত দেশ ভাগ হোক। বুড়ো হয়েছেন, কবে আর ক্ষমতা ভোগ করবেন? তিনি বললেন, Bengal and punjab are two stumbling blocks to the India’s Independence.

হিন্দু মহাসভার নেতা হিসেবে শ্যামাপ্রসাদ ৪ এপ্রিল ১৯৪৭ তারকেশ্বরে এক সভায় বলেছিলেন, ইহারা (মুসলমানেরা)হইতেছে হিন্দু সমাজের তলানির নোংরা হইতে একদল ধর্মান্তরিত মানুষ যাহারা সবদিক দিয়া হীনতর।………. মুসলিম প্রাধান্য বজায় থাকিবার অর্থ বাঙালি হিন্দু সংস্কৃতির উচ্ছেদ।,,,,এই তথ্য আছে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি পেপার্স এ।(ব্রাহ্মণ্য বাদ ভারতীয় সমাজের ক্যান্সার , নিকুঞ্জ বিহারী হাওলাদার, পৃষ্ঠা ৪০)।

১৯৪৬সালের ১৬ আগস্ট।শুক্রবার। সাতদিনব্যাপি নরসংহার হলো কলকাতা জুড়ে।ইংরেজরা বলেছিল, দি উইক অফ দি লং নাইভস। মুসলিম লীগ পাকিস্থানের দাবিতে হরতাল ডাকে। কংগ্রেস আর হিন্দু মহাসভা পাল্টা সভা করে দেশপ্রিয় পার্কে।সেখানে বলা হয় হিন্দুরা প্রাণ দিয়ে ১৬ আগস্টের হরতাল রুখবে। ফলে ১৫ আগস্ট রাত থেকে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।বাংলার মুসলিমরা মনে করত হিন্দু বাঙালি শিক্ষকরা মুসলিম ছাত্ররা শিক্ষিত হোক চাইতেন না। তাই পরীক্ষায় কম নম্বর দিতেন।সব ক্ষেত্রে এই অভিযোগ মিথ্যা ছিল না। তাছাড়া হিন্দু শিক্ষিত সমাজ মুসলিমদের ঘৃণার চোখে দেখতেন তা অস্বীকার করা অনুচিত হবে। গ্রাম বাংলার মুসলিমরা হিন্দু জমিদারদের অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে কোলকাতায় চলে আসেন দলে দলে।

১৬ আগস্ট সকাল থেকে মুসলিম লীগের সমর্থকরা ময়দানে যেতে শুরু করেন সভার জন্য।এদিকে কলকাতায় দোকান পাট বন্ধ।মুসলিম লীগ হরতাল ডাকার জন্য।ঝামেলা কে চায়। মানিকতলা এলাকায় সকালেই হিন্দু মুসলিমের এক সংঘর্ষ হয়। মুহুর্তে খবর ছড়িয়ে যায়। হিন্দু শিখ লাঠি তলোয়ার নিয়ে নেমে পড়ে।মুসলিমরাও ছো রা, চাকু,তলোয়ার নিয়ে নেমে পড়ে। আইন শৃংখলা ভেঙে পড়ে । লাশ পড়তে থাকে হিন্দু মুসলিমের। বাংলার প্রধানমন্ত্রী সুরাবর্দি দুপুরে লালবাজারে বসে পুলিশি তদারকি করতে শুরু করেন।কিন্তু তিনি ব্যর্থ হোন।কেউ কেউ বলেন, তিনি মুসলিমদের সংযত করতে চাননি। বিকেল তিনটা। পুলিশ কমিশনার রাজ্যপালকে সেনা নামাতে অনুরোধ করেন। কিন্তু সে অনুরোধ খারিজ করেন রাজ্যপাল ব্রিগেডিয়ার স্কিস স্মিথ।তিনি বলেন,সেনা নামালে বিষয়টি ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে চলে যাবে।অর্থাৎ দুই ভাই মরুক।

তথ্য আরও বলছে,সুযোগসন্ধানী কিছু হিন্দু মুসলিম সমাজবিরোধী এবং কিছু অসৎ পুলিশ লুটতরাজ করতেও শুরু করে দেয়।ইতিহাসবিদ জয়া চ্যাটার্জি তাঁর বেঙ্গল ডিভাইডেড বইতে লিখেছেন,হিন্দু মহা সভার সদস্যরা চাকু আর দিশি পিস্তল আগে থেকেই সংগ্রহ করে রেখেছিলেন।সমীক্ষা বলছে,মুসলিমরাও মসজিদে অস্ত্র মজুত করে রেখেছিল।মনে রাখতে হবে কলকাতায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ও ১৯৪৩ এর দুর্ভিক্ষের ফলে দলে দলে গ্রামের মানুষ কলকাতায় আসতে শুরু করে। আর্থিক সামাজিক কাঠামো ভেঙে পড়ে। শহরে জনসংখ্যার চাপ বাড়ে।এলাকা দখল হয়। বাসস্থানের সংকট বাড়ে।কলকাতায় আসতে থাকেন বিহার উত্তরপ্রদেশের হিন্দু মুসলিমরাও।

বিপ্লবী রাজবন্দী অনুকূল মুখোপাধ্যায়ের ভ্রাতুষ্পুত্র গোপালচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ওরফে গোপাল পাঁঠা

কলকাতার সেদিনগুলির সমীক্ষা করে দেখা গেছে,দুদলের লড়াইয়ে মুসলিম পক্ষে ছিল গ্রাম থেকে এবং বিহার উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা মুসলিমরা।আর হিন্দু মহাসভার পক্ষে হিন্দু বাঙালি তরুণ ও মধ্যবিত্তরা। এছাড়াও গুজবে কিছু অরাজনৈতিক হিন্দু সংগঠনও জড়িয়ে পড়ে বিবাদে।এমনই এক যুবক গোপাল চন্দ্র মুখোপাধ্যায়। যিনি ছিলেন যুগান্তর বিপ্লবী দলের নেতা রাজবন্দী অনুকূলচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের ভাইপো।পারিবারিক সূত্রে ছিল মেডিক্যাল কলেজের উল্টোদিকে পাঁঠার মাংসের দোকান। সে যুগে বিখ্যাত ছিল এই দোকান। শোনা যায়,দক্ষিণেশ্বরে রামকৃষ্ণের তখন প্রবল সর্দিকাশি।ডাক্তার বলেন পাঁঠার মাংসের স্যুপ খেতে। ভাগ্নে হৃদেকে রামকৃষ্ণ বলেন, বৌবাজার থেকে যে দোকানে কালী মূর্তি আছে সেই দোকান থেকে মাংস আনবি।

খিদিরপুর মুসলিম মহাজনের কাছ থেকে পাঁঠা ও খাসি কিনে মাংসের দোকান চালাতেন গোপালচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। পরিচিত ছিলেন গোপাল পাঁঠা নামে। কোনো রাজনৈতিক দলে না থাকলেও আদর্শ ছিল দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন ও সুভাষ চন্দ্র। এই দুই নেতা হিন্দু মুসলিম সম্প্রীতির কথা বলতেন।হিন্দুত্ববাদী সংগঠন গোপালচন্দ্রকে হিন্দুত্ববাদী বলে প্রচার করে থাকেন

এহেন গোপাল পরিচিত ছিলেন গোপাল পাঁঠা নামে।থাকতেন তিনি বৌবাজার এলাকার মলঙ্গা লেনে।তিনি মূলত ছিলেন সুভাষচন্দ্র ও বিধানচন্দ্র রায়ের পরিচিত।সুভাষ পন্থী। তাঁর তিন প্রধান সঙ্গী যুগল চন্দ্র ঘোষ, গিরিধর বসু, সঞ্জয় বসুকে নিয়ে কলকাতায় সেনা শিবিরের মার্কিন সেনাদের মদের বোতল দিয়ে পয়েন্ট ২৪ বোরের রিভলবার কিনে রেখেছিলেন ১৯৪৫ সালেই। ঘটা করে দুর্গাপুজো করতেন।নির্বাচনের সময় বিধান রায় তাঁকে জেলে রাখেন।ভোটের পর ছেড়ে দেন। পাঁঠার ব্যাবসা যেহেতু মুসলিম মহাজন।। গোপালবাবুর ব সঙ্গে ভালই সম্পর্ক ছিল।তাঁকে মুসলিম বিদ্বেষী বলাও উচিৎ নয়। তবে ৪৬এর দাঙ্গায় পাড়ার শান্তি রক্ষার্থে এলাকা রক্ষার দায়িত্ব নেওয়া কোনো অস্বাভাবিক নয়।

সরাবর্দী ও মুজিবর রহমান

মনে রাখতে হবে কলকাতার ১২০০ ব্রিটিশ পুলিশদের মধ্যে মাত্র ৬৩ জন ছিলেন মুসলিম। অফিসার এক। ও সি এক। ডি সি এক।বাকি সব হিন্দু। ঐতিহাসিক সুরঞ্জন দাস লিখেছেন, দাঙ্গায় মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিল গরীব মুসলিম। বাঙালি মুসলিম ছিল কম। ধনী হিন্দু আর মুসলিম পালিয়ে বাঁচেন। শেষ পর্যন্ত পাঞ্জাব থেকে পুলিশ আনিয়ে দাঙ্গা থামান বাংলার প্রধানমন্ত্রী সরাবর্দি। সরাবর্দি সাম্প্রদায়িক ছিলেন এমন কথা বি জে পি ও তাদের সহযোগীরা বলে। কিন্তু ইতিহাস বলছে,, ভারত ভাগের পর পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন সরাবর্দী। তাই কালীঘাটে গিয়ে দেবীর কাছে মানত করেছিলেন। তিনি ছিলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন এর শিষ্য। মেদিনীপুরের ভূমিপূত্র সরাবর্দী। মা ছিলেন উর্দুভাষী কবি।পরিবারে উর্দু ভাষার চল ছিল।কিন্তু তিনি নিজের উদ্যোগে বাংলা চর্চা শুরু করেন।, আরবি সাহিত্যের ছাত্র ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের। বিজ্ঞানের ডিগ্রি নেন মার্কিন দেশের অক্সফোর্ড থেকে। আইনের ডিগ্রিও নেন। কলকাতা ও নোয়াখালী দাঙ্গায় তিনি ছিলেন মুসলিম পক্ষে এমন কোনো প্রামাণ্য তথ্য নেই। ১৯৪৭ এ তিনি কিন্তু পাকিস্থানে যাননি। কোলকাতায় ছিলেন। কোলকাতায় আবার দাঙ্গার পরিস্থিতি হয়। সরাবর্দী গান্ধীর সাহায্য চান।গান্ধীর সহযোগিতায় সে দাঙ্গা রক্ষা হয়।১৯৩৯ সালে ভারত সরকার তাঁর ওপর করের বোঝা চাপানোয় তিনি পাকিস্থানে চলে যেতে বাধ্য হন।সেখানে মুসলিম আওয়ামী লীগ দল করলেও পরে মুসলিম নাম বাদ যায় অসাম্প্রদায়িক লক্ষ্যে।

সরাবর্দীকে ভিলেন বানানো আসল ইতিহাসকে বিকৃত করার চেষ্টা।

একসময় ১৯৫৬ সালে তিনি পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী হন।তিনি পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলার পক্ষে থাকায় পশ্চিম পাকিস্থানের লবি তাকে পদচ্যুত করে।বলা হয় ভারতের দালাল। এটা তাঁর ট্র্যাজিক পরিণতি। এপার বাংলার হিন্দুদের কাছে তিনি ছিলেন সাম্প্রদায়িক।পাকিস্থানে তিনি পরিচিত হন ভারতের দালাল হিসেবে।১৯৬২সালে করাচিতে তিনি বন্দী থাকেন আট মাস। জেল থেকে বেরিয়ে তিনি বাংলা বিরোধী আয়ুব খানের বিরুদ্ধে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট গড়ে তোলেন। স্বাস্থ্যের কারণে ১৯৬৩ সালে লেবাননের রাজধানী বেইরুট যান।ডিসেম্বরে তাঁর সেখানেই রহস্যজনক মৃত্যু হয়। সরাবর্দিকে রক্ষণশীল মুসলিম হিসেবে যাঁরা প্রতিষ্ঠিত করতে চান তাঁদের কাছে প্রশ্ন সরাবর্দি রাজনীতিতে যোগ দি দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের স্বরাজ্য দলে কেন যোগ দেন? কেন তিনি অবিভক্ত বাংলার পাবনা জেলার সিরাজগঞ্জে হিন্ মুসলিম সম্প্রীতির জন্য যে সম্মেলন চিত্তরঞ্জন করেন সেখানে কেন যোগ দেন? ইতিহাস বলছে,১৯২৫ সালে ১৬ জুন দেশবন্ধুর মৃত্যুর পর কথা ছিল সরাবর্দীকে মেয়র করা হবে। কিন্তু কংগ্রেসের হিন্দুত্ববাদীদের আপত্তিতে সম্ভব হয়নি। বরং বামেদের সঙ্গে সরাবর্দীর ভালো সম্পর্ক ছিল। ইতিহাসে উল্লেখ না থাকলেও সমরেশ বসু তাঁর উপন্যাস খণ্ডিতায় বিজু নামে এক চরিত্রের মুখ দিয়ে তারকদা নামে এক প্রবীণ কংগ্রেস নেতারা চরিত্রের সরাবর্দীর বিরুদ্ধে কুৎসার কথা জানিয়েছেন।

উল্লেখ করা যায় চিন্মোহন সেহানবিশ লিখিত বয়ান।একবছর পরের ঘটনা। ১৯৪৭সালের১৫ আগষ্ট কলকাত তিনি ঘুরেছেন উৎসব দেখতে। তিনি লিখেছেন, যতই ঘুরছি দেখি রাস্তায কোলকুলি। স্টিরাপ পাম্প দিয়ে গোলাপ জল ছিটোলোকে পথচারীর গায়ে। সম্পুর্ণ অচেনা লোককে পথচারী সিগারেট বিলোচ্ছে। স্বাধীনতার জন্মলগ্নে হিন্দু মুসলমান মিলে গেল কলকাতা আনন্দে হেসে উঠল।

( উত্তাল চল্লিশ/ অসমাপ্ত বিপ্লব , লেখক অমলেন্দু সেনগুপ্ত)১৪ আগষ্ট। ১৯৪৭। বেলেঘাটায় গান্ধীজীর প্রার্থন শেষে কিছু হিন্দু জনতা সরাবর্দীকে গাল দিতে শুরু করেন। মুন্ডু চাই দাবি তোলেন। সরাবর্দী ছিলেন ঘরে। তাঁকে বাইরে আনার দাবি ওঠে। গান্ধীজী সরাবর্দীর কাঁধে হাত দিয়ে বাইরে এলেন। দাবি ওঠে,১৯৪৬ এ দাঙ্গার জন্য কি আপনি দায় স্বীকার করেন? সরবর্দী বলেন, আমি দায় স্বীকার করছি। আমি লজ্জিত। জনতা শান্ত হয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *