দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: বছর দুয়েক আগে রুবি হাসপাতালের কাছে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভারদুর্গাপুজোয় গান্ধীজিকে অসুর বানিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। বিজেপি , কংগ্রেস প্রতিবাদ জানিয়েছিল। প্রশাসন তড়িঘড়ি সেই অসুরের চশমা পরা মূর্তিতে মাথায় চুল গোঁফ লাগিয়ে অবস্থার সামাল দেয়। আয়োজক দলের পক্ষে সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামী বলেছিলেন , অসুরকে গান্ধীজির মত দেখতে লেগেছে কাকতালীয়।
গত বছর আখিক ভারত হিন্দু মহাসভার দুর্গাপুজোর থিম ছিল এন আর সি ও সি এ e বিরোধী । এবার দলের পক্ষে যাদবপুরে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামী।সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন এবারের পূজোর থিম হকার উচ্ছেদ। থিমের নামকরণ হয়েছে পথের দাবি। মুখ্যমন্ত্রীর ফুটপাথ দখল মুক্ত করার উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়ে এই পুজোর থিম। পুজোর উদ্যোক্তাদের তরফে সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামী আরও জানান , এই বছরে দুর্গাপুজোর মণ্ডপটির নামকরণ করা হয়েছে সনাতন ভারত কারণ উদ্যোক্তা যেহেতু হিন্দু মহাসভাতাই অন্য রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিত্বরা ইচ্ছে থাকলেও এই মণ্ডপে আসতে পারেন না ।সনাতন ধর্মে আস্থাশীল সব মানুষই যেন অংশ নিতে পারেন তাই এই সিদ্ধান্ত।
চন্দ্রচূড় গোস্বামী আরও জানান,আমরা ফুটপাথ দখলের বিরুদ্ধে কিন্তু হকার বন্ধুদের সংকটকে অস্বীকার করতে পারি না। শ্রী মানবিক দিকটি গুরুত্ব দিয়ে সংগঠন কর্মীরা এই হকার বন্ধুদের বিক্রয়যোগ্য পণ্য কয়েকটি আউটলেট মারফত রানার নামে অনলাইন ব্যবস্থায় হকারের পণ্য ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেবেন। এরফলে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও হবে।রানার কর্মীদের পোশাকে থাকবে ডাকহরকরার লোগো। অনুপ্রেরণা সুকান্তের রনার। এছাড়াও প্রকাশিত হতে যাচ্ছে একটি সাপ্তাহিক সংবাদপত্র।সেটিরও নাম পথের দাবি। এখানে প্রাধান্য পাবে মেহনতি মানুষের জীবনের রোজনামচা ও সৃজনশীলতা এবং সাফল্যের কথা। মুখ্যমন্ত্রীর এবার যে বারোয়ারি কমিটিগুলিকে ৮৫ হাজার টাকার অনুদান ঘোষণা করেছেন তাকে স্বাগত জানিয়েছে হিন্দু মহাসভা। গোস্বামী বলেন, এবার পুজোর উদ্বোধন করতে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।