*
দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: শনিবার দুপুর থেকে সন্ধে পর্যন্ত কলকাতা প্রেস ক্লাবে নাগরিক থেকে শরণার্থী শিরোনামে একটি প্রবন্ধ সংকলন প্রকাশ উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা উত্তরের বাম কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ ভট্টাচার্য ও দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম, সি পি এম কলকাতা ব্জেলা সম্পাদক কল্লোল মজুমদার,, কপিল কৃষ্ণ ঠাকুর , ইমতিয়াজ আহমেদ মোল্লা প্রমুখ।
পুস্তক প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন সি এ এ আইন প্রণয়ন করে বিজেপি সরকার দেশে ধর্মীয় মেরুকরণ করে সেকুলার শব্দটি মুছে দিতে চাইছে। কল্লোল মজুমদার বলেন, পৃথিবীতে কোনো মানুষই বেআইনি নন। প্রত্যেকের স্বসম্মানে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। নাগরিক থেকে শরণার্থী বইটিতে ছ’টি প্রবন্ধ স্থান পেয়েছে। প্রবন্ধগুলি লিখেছেন দেবর্ষি দাস, কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর, প্রসেনজিৎ বসু , অনিন্দিতা ঘোষাল, প্রেমাংশু চৌধুরী, পার্থ চট্টোপাধ্যায় j জয়দীপ বিশ্বাস, ও মহসিন আলম ভাট ও আশিষ যাদব। কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য মতুয়া সম্প্রদায় সম্পর্কে বলেন বিজেপি মতুয়াদের সরলতার সুযোগ নিযে ভুল বুঝিয়ে বিপদে ফেলতে চাইছে।e এক গভীর চক্রান্ত। বইটিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের ঠাকুর বাড়ির সদস্য কপিল কৃষ্ণ ঠাকুরের লেখা প্রবন্ধ শাসকের তৈরি করা সংকট প্রবন্ধে প্রদীপবাবুর বক্তব্যের সমর্থন মেলে। কপিলবাবু তাঁর প্রবন্ধে লিখেছেন, বন্ধ করতে হবে মানুষকে সন্ত্রস্ত করার রাজনীতি। দুই কোটি অনুপ্রবেশকারী উইপোকাদের খুঁজে খুঁজে দেশ থেকে বিতাড়নের হুংকার ছাড়েন যখন অমিত বলশালী নেতারা, কিংবা আধার কার্ড ভোটার কার্ড কোনও কিছুই নাগরিকত্বের প্রমাণ নয বলেন, তখন শুধু মতুয়া বা মুসলিম নয়, লাখখানেক তামিল উদ্বাস্তু, বনাঞ্চলের আদিবাসী এবং ভূমিহীন নিরক্ষর , সকল মানুষই শঙ্কিত হন। অসমের দৃষ্টান্ত থেকে বলা যায়, এই আইন নিয়ে যাঁরা উল্লসিত , তাঁরাও নিষ্কৃতি পাবেন না । কারণ কাগজ তাঁদের কাছেও নেই। এই কৃত্রিম সঙ্কট থেকে মুক্তির উপায় খোঁজার দায় তাই সকলের।