পর্ব:১৫৭

বাংলাদেশের একটি যৌনপল্লী।
সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়: এই পর্বে প্রাচীন যুগ ও পুরাণ কাহিনী রেখে আধুনিক যুগে ফিরে এলাম। বিশ্বের প্রতিটি দেশের মত আমাদের দেশেও স্থান মাহাত্ম্য অনুযায়ী নিষিদ্ধ পল্লী গড়ে উঠেছে। বিশ্বের হেন কোনও দেশ নেই যেখানে নিষিদ্ধ পল্লী বা বেশ্যাবৃত্তি নেই। পুরুষ মহিলা ও তৃতীয় লিঙ্গের বহু মানুষ এই আদিম পেশায় নিযুক্ত। কেউ স্বাধীন বৃত্তি অবলম্বন করেন। কেউ কোনো ব্যবসায়ীর অধীনে কমিশনে কাজ করেন। তবে কিছু মুসলিম দেশ আছে যেখানে আইনত নিষিদ্ধ। তবে প্রথাটি নেই বলা যাবে না।২০১১ সালে এইডস নিয়ে গবেষণাকারী সংস্থা এশিয়ান কমিশন একটি পর্যবেক্ষণে অনুমান করেছিল এশিয়ায় ১ কোটি যৌনকর্মী আছেন। পুরুষ গ্রাহকের সংখ্যা ৭ কোটি ৫০ লক্ষ পুরুষ গ্রাহক রয়েছেন।

বিশ্বজুড়ে শিশু যৌনকর্মী সংখ্যা বাড়ছে।
চমকে দেওয়ার মত তথ্য দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় মেকং উপ অঞ্চলের যৌনকর্মীদের ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশের বয়স ১২ থেকে ১৭। ইউরোপের সবচেয়ে বড় পতিতালয় জার্মানির কোলনে পাশা পতিতালয়।কলকাতা এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড় সোনাগাছি। বিশ্বের বৃহত্তম লাইসেন্সপ্রাপ্ত পতিতালয় বাংলাদেশে। সামনে কালী পুজো। কালীঘাট তীর্থস্থান দিয়ে শুরু করা যাক। দেশে তীর্থস্থান ঘিরেই মূলত প্রথম পতিতালয় গড়ে ওঠে।

কালীঘাটের যৌনপল্লীর ছবি ভেসে ওঠে কালীঘাটের বিখ্যাত পটচিত্রে।
কালীঘাটও ব্যতিক্রম নয়। বিশেষত দরিদ্র কন্যা কিম্বা অল্পবয়সে বিধবা শ্বশুরবাড়ি বা বাপের বাড়ি দায়িত্ব নিতে রাজি হয়নি , কিম্বা স্বামী পরিত্যক্তা মহিলা আর্থিক কাতনেইর এই পেশায় আসতে বাধ্য হন। যেহেতু তীর্থস্থান ঘরের বহু মানুষের সমাগম। সেখানে খদ্দের পাওয়া সোজা। তাই বিশেষত হিন্দু তীর্থস্থান ঘিরে পতিতালয়।অনেক ক্ষেত্রে পতিতালয়ে আইনি জটিলতায় পুলিশের তোলা তোলার একটা অত্যাচারিত থাকে,সেক্ষেত্রে স্থানীয় হোটেলগুলির সঙ্গে একটা বোঝাপড়া করে নেয় দালালরা। অনেকক্ষেত্রে গ্রামের পরিচিত দাদা কাকা বা আড়কাঠিরা সরল মেয়েদের তীর্থস্থান। রমণীর বা চাকরির লোভ দেখিয়ে শহরে এনের বিক্রি করে দেয় নারীমাংস ব্যবসায়ীদের। (চলবে)
পরবর্তী পর্ব ২১ অক্টোবর, সোমবার,২০২৫
