কুণাল ঘোষের অপসারণের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তৃণমূল ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে সমঝোতায়

*

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর মধ্যস্থতায় আজ এই মুহুর্তে সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়ানের বাড়িতে এলেন কুণাল ঘোষ। ডেরেক ও ব্রায়ানের সই করা চিঠিতে মিডিয়াকে ধমকি দেওয়া হয় দলের পক্ষে কুণালের বক্তব্য প্রকাশ করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরেরদিনই তাঁকে নির্বাচনী বক্তাদের তালিকা থেকেও বাদ দেওয়া হয়।। কুণাল জানান, পদে নয় পথে থাকবেন দলের অনুগত কর্মী হিসেবে। তৃণমুলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব ভালোভাবেই জানেন সাংবাদিক কুণাল ঘোষের দলের প্রতি আনুগত্য সন্দেহাতীত। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের শিবিরের লোক হিসেবে পরিচিত হলেও কুণাল ঘোষ সবসময়ই বলেন আমাদের নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। অভিষেক আমাদের সেনাপতি। বাম আমলে সরাসরি আক্রমণাত্বক ভঙ্গিতে যতটা কুণাল সোচ্চার ছিলেন ততটা কেউ ছিলেন না। রাজ্য সরকারের অভিযোগের ভিত্তিতে তবু তাঁকে জেলে যেতে হয়। তবু তিনি জেলে বসেই দলে সদস্য চাঁদা যেমন দিয়েছেন দলও তেমন সেই চাঁদা গ্রহণও করে।

ব্রাত্য বসু তাঁর গাড়িতে কুণাল ঘোষকে নিয়ে পৌঁছে গেছেন ডেরেকের বাড়িতে। চলছে আলোচনা। ভোটের মুহুর্তে কুণাল বিতর্ক দলকে যেন বিব্রত হতে না হয় তারই প্রচেষ্টা। কিছুক্ষণের মধ্যেই বোঝা যাবে শিরদাঁড়া বজায় রেখে কুণাল আবার দলে সম্মানের সঙ্গে ফিরছেন নাকি শর্ত সাপেক্ষে ফিরছেন। তবে অনুমান কুণালের বিকল্প দলে নেই। কুণালের পিছনেও রয়েছে বহু দলের সমর্থকদের সমর্থন। উত্তর কলকাতা শুধু নয়, কুণালের ডানা কাটলে দলেরই ক্ষতি সেকথা দোলের একাংশ বুঝলেও একাংশ কুণালকে পছন্দ করেন না। এক্ষেত্রে কোপ কোন শিবিরের প্রাধান্য বেশি সেটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। শেষ মুহুর্তে আলোচনা থেকে বেরিয়ে কুণাল গাইলেন কি আনন্দ আকাশে বাতাসে,,,,,,,,।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *