দেখুন টিভি নাইন বাংলা নিউজ সিরিজ ‘ভোটযুদ্ধ-দেশের লড়াই, পর্ব-৪’  ৩১ মার্চ, রবিবার টিভি নাইন বাংলায়,  রাত ১০টায়।

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: চুরাশির ভোটের হাওয়া যখন তুঙ্গে সেই সময়ই আরও একটা মারাত্নক বিপর্যয় ঘটে গিয়েছিল। ২  ডিসেম্বর ১৯৮৪। মাঝরাত। ভোপালের ইউনিয়ন কার্বাইড কারখানায় ঘটল সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনা।  বিষাক্ত মিথাইল আইসোসায়ানেট গ্যাসে ছেয়ে গেল গোটা ভোপাল শহর। মারা গেলেন ২ হাজারের বেশি মানুষ। বিষাক্ত গ্যাসের ছোবলে পঙ্গু হয়ে, সারাজীবনের যন্ত্রনার মুখোমুখি  আরও অন্তত ৫০ হাজার।  দুর্ঘটনার পরে আমেরিকার মালিকানাধীন সংস্থার কর্তাব্যক্তিদের ভারত ছেড়ে চলে যেতে সাহায্য করার অভিযোগ উঠল মধ্যপ্রদেশ এবং কেন্দ্রের কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে। কিন্তু সেই ঘটনার কোনও প্রভাবই পড়লো না চুরাশির ভোটে। 

১৯৮৪-র ২৪ ডিসেম্বর শুরু হল লোকসভা নির্বাচন। ইন্দিরা হত্যা তখন কংগ্রেসের তুরুপের তাস। হত্যাকারীর জন্য বিক্ষোভ আর নিহত প্রধানমন্ত্রীর জন্য আবেগ। তখন দিকে দিকে। কংগ্রেসের মিছিলে, প্রচারে, বক্তৃতায় উঠে আসছে একটাই নাম। ইন্দিরা। ইন্দিরা গান্ধী। চুরাশির নির্বাচনে ৪০১ টি আসন পেয়ে প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন রাজীব গান্ধী।  আটের দশকেই ভাগ হয়েছিল জনতা পার্টি। তৈরি হল নতুন দল বিজেপি। অটল বিহারি বাজপেয়ির নেতৃত্বে প্রথম ভোটে লড়লো চুরাশিতেই। পেল মাত্র দুটো আসন। রাজীব ক্ষমতায় এসে দেশের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে শুরু করেন। বার্তাও দেন পুনর্মিলনের। শুরুটা ভালই হয়েছিল রাজীব গান্ধী সরকারের। কিন্তু রাজীবের সরকার প্রথম ধাক্কা খেল শাহ বান মামলায়।  মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক বাঁচাতে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ের ঊর্ধ্বে গিয়ে  মুসলিম মহিলা বিল আনলেন রাজীব। আবার অন্যদিকে বিব হিন্দু পরিষদ আর বিজেপির নেতৃত্বে শুরু হল জোরদার হিন্দুত্ববাদী আন্দোলন।

অযোধ্যায় রামমন্দিরের দাবিতে ক্রমেই বাড়ছিল আন্দোলন। পাশাপাশি প্রতিবেশী রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কায় মাথা চাড়া দিল তামিল সমস্যা। পিস ফোর্স পাঠাল ভারত। কিন্তু সেখানে পিস ফোর্স টার্গেট করল তামিলদেরই। আরও কপালে ভাঁজ পড়ল রাজীবের। রাজীব গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস সরকারের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিল বোফোর্স কেলেঙ্কারি। ১৯৮৯-এর লোকসভা নির্বাচনে হেরে গেল কংগ্রেস। ন্যাশনাল ফ্রন্টের সরকার গঠিত হল সিপিএম এবং বিজেপির যৌথ সমর্থনে। ভিপি সিং হলেন প্রধানমন্ত্রী।  কিন্তু সেই সরকার দু’বছরও টিকলো না। রামমন্দির আন্দোলনে রথযাত্রায় বিহারের সমস্তিপুরে গ্রেফতার করা হল আডবানীকে। বিজেপি সমর্থন প্রত্যাহার করল।  কংগ্রেসের সমর্থনে প্রধানমন্ত্রী হলেন চন্দ্রশেখর। কিন্তু সে সরকারের মেয়াদও খুব অল্প দিনের।  আবার অকাল ভোটের সামনে গোটা দেশ। জমি ফিরে পেতে পথে নামলেন রাজীব। কিন্তু দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে দক্ষিন ভারতের শ্রীপেরামবুদুরে মানব বোমা হামলায় প্রাণ হারালেন রাজীব গান্ধী। 

টিভি নাইন বাংলার নিউজ সিরিজে এবার আটের দশকের লোকসভা নির্বাচন ও টালমাটাল ভারতীয় সংসদীয় রাজনীতির নানা কাহন। সঙ্গে বিশিষ্টদের বিশ্লেষণ। দেখুন টিভি নাইন বাংলা নিউজ সিরিজ ‘ভোটযুদ্ধ-দেশের লড়াই, পর্ব-৪’  ৩১ মার্চ, রবিবার টিভি নাইন বাংলায়,  রাত ১০টায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *