কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের উদ্যোগে দুদিনব্যাপী থার্ড এডুকেশন ইষ্ট সামিট

*

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: শনিবার পূর্ব কলকাতার স্বভূমির তাঁর রাজকুটিরিয়ার দুটি অডিটোরিয়ামে একযোগের অনুষ্ঠিত হল ভবিষ্যতের লক্ষ্যে পরবর্তী প্রস্তুতির দিশা শীর্ষক তৃতীয় এডুকেশন ইষ্ট সামিট। আয়োজক কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি। অনুষ্ঠানের মূল বক্তা হিসেবে বক্তব্যের রাখেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্কুল এডুকেশন ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বিনোদ কুমার , সি আই আই ইস্টার্ন রিজিয়ন এডুকেশন এন্ড স্কিল ডেভলপমেন্ট অফ সাব কমিটি ও ও এক্সিকিউটিভ ইন চার্জ টিনপ্লেট ডিভিশনের চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চক্রবর্তী , সি আই আই এর আধিকারিক শুভঙ্কর চক্রবর্তী, হেরিটেজ গ্রুপটি অফ ইনস্টিটিশনসার্ট সি ই ও প্রদীপ আগরওয়াল, জে আই এস এর কো -চেয়ারম্যান সি আই আই ইস্টার্ন রিজিয়ন এডুকেশন ও স্কিল ডেভলপমেন্ট সাব কমিটি ও ডিরেক্টর সিমারপ্রিত সিং প্রমুখ।

বিনোদ কুমার রাজ্য সরকারের বিভিন্ন শিক্ষা প্রকল্পের তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে জানান , কন্যাশ্রী প্রকল্প, সবুজ সাথী প্রকল্প তরুণের স্বপ্ন প্রকল্প ও উৎকর্ষ প্রকল্প রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার একটি ইতিবাচক দিক। ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড প্রকল্পে উপকৃত হয়েছেন ৬২ হাজার ছাত্রছাত্রীরা। রাজ্যোৎ সরকারের এই প্রকল্প বাবদ খরচে ২ হাজার কোটি টাকা। তিনি আরও জানান, এই মুহূর্তে প্রাথমিক স্তরে ছাত্রীর শিক্ষক শতকরা ৩০ জন পিছু একজন শিক্ষক। ছাত্রছাত্রীদের শুধু শারীরিক সুস্থতার দিকে লক্ষ নয়ত মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রেও রাজ্যের শিক্ষা বিভাগ নজরে রাখে। প্রকাশ এন সি ই আর আর এর সি ই ও অধ্যাপিকা ড: ইন্দ্রানী ভাদুড়ী বলেন, এন ই পি ২০২০ ভবিষ্যত এর একটি প্রগতিশীল প্রকল্পের সমীক্ষা যে দেশের প্রায় ৪৩০ মিলিয়ন যুব সম্প্রদায় যাদের বয়স ২৫ বছরের কম দক্ষতাসম্পন্ন শিক্ষার প্রয়োজন হবে। বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষায় প্রগ্রেস কার্ড তৈরির একটি পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। শতকরা একশ ভাগ ভবিষ্যতে প্রজন্মকে শিক্ষার সুযোগে করে দেয়্যাজির লক্ষ্যে।

উজ্জ্বল চক্রবর্তী বলেন, রাজ্যে শিক্ষিতের হার প্রায়ই ৮০ শতাংশ। বিকাশ ভারতীয় একটি সফল পদক্ষেপ।দুদিনের ব্যাপীর দেয়ার অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকার ওর শিক্ষাবিদদের উপস্থিতি ছিল বহু সংখ্যায়। অনুষ্ঠানের আকর্ষণ ছিলেন বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানত শিক্ষক বা দেশের সর্বকনিষ্ঠ প্রধান শিক্ষক বঙ্গসন্তান বাবর আলি। বাবরের রাজ্যের প্রান্তিকে অঞ্চল বেলডাঙ্গার ভূমিপুত্র।শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত শিশুদের তিনি শিক্ষক হিসেবে খেলার ছলে পদক্ষেপ নেন যখন তিনি ছিলেন ক্লাস নাইনের ছাত্র। এলাকায় ছিল না কোনো স্কুল। তাঁর এই উদ্যোগের গৌরবোজ্জ্বল কাহিনী কর্ণাটকের স্কুল পাঠ্য হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা বি বি সি তাঁকে যখন ২০০৯ সালে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হিসেবে স্বীকৃতির দেয় তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৬। এখন তাঁর বয়স ৩১। নিজেই খুলেছেন্ট স্কুল আদর্শ শিক্ষায় নিকেতনে। দিগদর্শনের প্রতিনিধিকে তিনি জানান, শুধু মুর্শিদাবাদের বা রাজ্যে নয়, তিনি চান দেশের প্রান্তিক অঞ্চলে যেন নিনিশ্বর উদ্যোগে শিক্ষিত যুবকযুবতিরায় এগিয়ে আসেন ভবিষ্যত প্রজন্মের প্রান্তিকে বঞ্চিত শিশুদের শিক্ষিত করার কর্মযজ্ঞে সামিল হন। বহরমপুর কলেজের স্নাতক কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতোকত্তর হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *