বেশ্যার বারমাস্যা

পর্ব :১৭৭

গ্রীসে শিক্ষক ছাত্রের যৌনতা সমাজস্বীকৃত হলেও কিছু বিধিনিষেধ ছিল।

সুজিৎ চট্টোপাধ্যায় : গ্রীসের বালক ছাত্রদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে যৌনতারও একটা বিধিনিষেধ ছিল। সূর্যোদয়ের আগে স্কুল খোলা নিষেধ ছিল। বিদ্যালয় বন্ধের নিয়ম ছিল সূর্যাস্ত হওয়ার সাথে সাথে।বাইরের কোনো ব্যক্তির স্কুলে প্রবেশ নিষেধ ছিল। একমাত্র অধিকার ছিল শিক্ষকের পুত্রের ভাইয়ের ও শ্যালকের। এই নিষেধ অমান্য করলে কঠোর শাস্তি অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতো।

প্রাচীন গ্রীসে মৃত্যুদণ্ডের প্রথা ছিল আইন না মানলে।

জিমনেশিয়ামের প্রধানেরও অনুমতি ছিল না কোনো উৎসবে এই ছাত্র বালকদের পাশে বয়স্ক কোনো বাইরের লোকের বসার অনুমতি দিতে পারতেন না। যদি কোনো প্রধান এই নিয়মের বিরুদ্ধে অনুমতি দেন তাহলে তাঁকে ছাত্রদের দুর্নীতিগ্রস্থ করে তোলার দায়ে অভিযুক্ত করা হতো। একসময় সলোনের একটি আইন ছিল এরকম এথেন্সবাসী যদি জন্মগতভাবে স্বাধীন কোন বালকের অমর্যাদা করে তাহলে বালকের পিতা তাকে আইন প্রণেতাদের কাছে সোপর্দ করবের এবং পুত্রের অমর্যাদার জন্য পিতা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে যে শাস্তি উপযুক্ত বলে ভাববে তা উল্লেখ করতে পারে। আদাল যদি অভিযুক্তের জন্য মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় তাহলে তাকে শাস্তি কার্যকরী প্রহরাইডার্ট কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং একইদিনে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। এমনই উল্লেখ করেছেন আনোয়ার্ট হোসেনই মঞ্জু তাঁর প্রাচীন গ্রীসে প্রেমে ও যৌন জীবন গ্রন্থের ৭৬ নম্বর পৃষ্ঠায়।। গ্রন্থটি নিকোলায়স এ ভ্রিসিমটজিস এর মূলত গ্রন্থের বাংলায় অনুবাদ।

ডেমোস্থেনিসের বিবরণে গ্রীক সমাজের বিস্তারিত তথ্য মিলেছে।

লেখক লিখেছেন, সলোনের আরেকটি আইনের কথা উল্লেখ করেন ডেমোস্থেনিস; কেউ যদি কোন বালক , মহিলা বা পুরুষের ওপর জবরদস্তি করে, তারা স্বাধীন বা দাস যাইহোক না কেন অথবা উপরোক্তদের বিরুদ্ধে কোন অপরাধ করে তাহলে যে কোন এথেনীয় তাদেরকে আইনপ্রণেতাদের কাছে তুলের দিতে পারবে। অভিযোগের দিবস থেকে পরবর্তী ত্রিশ দিবসের মধ্যে বিচারকরা মামলাটি গঠন করে ইলিয়ায়ায় (সলোনের গঠিত আদলত , যা পরবর্তীতে এথেন্সের সর্বোচ্চ আদালতে। পরিণত হয়েছিল।) পেশ করবে। বিচারকার্য যথাশীঘ্র সম্ভব শুরু হবে। বিচারে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে সাথে সাথে কারাগারের প্রেরণ বা জরিমানার করা হবে। (চলবে)

পরবর্তী পর্ব, আগামী শুক্রবার ২ জানুয়ারি,২০২৬

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *