বেশ্যার বারমাস্যা

পর্ব:১৫৮

নতুন প্রজন্মের মধ্যে ভারতে যৌনতার চাহিদা বাড়ছে।

সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়: ২৪ ঘণ্টা বাংলা নিউজ চ্যানেলে ২০১৫ সালে ২০ ডিসেম্বর একটি খবর প্রকাশিত হয়। সেই খবরে বলা হয়,হল্যান্ডের দেহব্যবসা বৈধ হওয়ার পর একটি নতুন আইনের প্রচলন হয়েছে। আইনটির নাম রাইড ফর এ রাইড। এখানে কোনো মহিলা যদি গাড়ি চালানো শিখতে কোনো প্রশিক্ষকের কাছে যান, তিনি পারিশ্রমিকের বদলে সেই ছাত্রীকে যৌন সম্পর্কের প্রস্তাব দিতে পারেন। তবে এই ব্যাপারে প্রশিক্ষককে প্রশাসনিক অনুমতি পত্র নিয়ে রাখতে হবে। বিনিময়ে ট্যাক্সও দিতে হবে। অনেকেই অবশ্য এই আইন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন ।অর্থের পরিবর্তে যৌনতা কখনও পারিশ্রমিকের বিকল্প হতে পারে না।

এই অবাধ যৌনতা সম্পর্কে স্বদেশচর্চা লোক পত্রিকার শারদ ২০১৬ সংখ্যায় শ্যামল চক্রবর্তী গর্ভনাশী জাদুবটিকা এবং কিছু প্রশ্ন নিবন্ধের ২৭১ নং পৃষ্ঠায় লিখেছেন, যৌনতার মজা উপভোগ করার ক্ষেত্রে এদেশের ছেলেমেয়েরা পশ্চিমের দেশগুলোর ছেলেমেয়েদের চাইতে এই মুহূর্তে খুব বেশি পিছিয়ে নেই। বিশ্বায়িত ভারতে ঘরে ঘরে কম্পিউটার , একান্তে নীলছবির নিভৃত প্রদর্শন। রগরগে যৌনতার তীব্র হাতছানি। যৌনশিক্ষার তীব্র অভাব। অভাব সুস্থ বিনোদনের। যুবক-যুবতীদের সামনে আদর্শগত কোনও স্বপ্নই নেই, নেই লক্ষ্য। এই অভাবের ফাঁকটুকু ভরাতে দ্রুতলয়ে ঢুকে পড়েছে সেক্স ইজ এ ফান- এর মদির আহ্বান।

তিনি আরও লিখেছেন , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইংল্যান্ডের মত ভয়ংকর অবস্থার এখনও এদেশের তৈরি হয়নি। তবে সেই অবস্থা তৈরি হতে আর বেশি দেরিও নেই। প্রাক বৈবাহিক যৌনতা নিয়ে চালানো নানা অনুসন্ধানের ফলাফল পর্যালোচনা হয়েছিল। দেখা যায় ,শহরাঞ্চলের ১৬/১৮ বছর বয়স এমন ছেলেমেয়েদের প্রতি দশজনের মধ্যে পাঁচ থেকে ছ’জনের অভিজ্ঞতা রয়েছে যৌনমিলনের। এক্ষেত্রে মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা এগিয়ে। শহরাঞ্চল এগিয়ে গ্রামের চেয়ে। (চলবে)

পরবর্তী পর্ব আগামী শুক্রবার ২৪ অক্টোবর, শুক্রবার,২০২৫

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *