পর্ব: ৮১
সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়: আগের পর্বে একটি নতুন প্রসঙ্গ শুরু করেছিলাম। আধুনিক যুগে ক্ষমতা দখলের পুরুষতান্ত্রিক সাম্রাজ্যবাদী দখল রাজনীতির বলি কিভাবে মেয়েরা যৌনদাসীর হয়েছেন সেই বিষয়ে। তথ্য হিসেবে হাজির করেছিলাম স্বদেশচর্চা লোক পত্রিকা সংকলনের ২০১৬ শারদ সংখ্যার একটি নিবন্ধ নিয়ে। যা লিখেছেন রাধিকা কুমারস্বামী। নিবন্ধটির শিরোনাম কমফর্ট উওম্যান: পুরুষতন্ত্রে নগ্নতম যুদ্ধপরাধ। আমাদের দেশেও হিন্দু সাম্রাজ্যবাদী ধর্মবেত্তারা বহু বৌদ্ধ পুরুষ ভিক্ষুদের সঙ্গে মহিলা ভিক্ষুদেরও যৌন শোষণ করেছে। আবার চিন জাপানের মত বৌদ্ধ দেশেও দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের নিরিখে বিপক্ষ দেশীয় নারীদের এক শিবিরে বন্দী করে যৌন শোষণ চালিয়েছে।
জাপানি সেনাদের হাতে বন্দী চিনা মেয়েদের যৌনদাসী বানাত জাপান
লেখক এই প্রসঙ্গে তাঁর লেখনীতে চিন – জাপান সংঘর্ষের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ক্রমাগত যুদ্ধ চলতে থাকায় এবং পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন অংশে জাপানি সৈন্যের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সামরিক যৌন ক্রীতদাসীদের চাহিদা বাড়তে থাকে। ফলে, নিয়োগের নতুন ব্যবস্থা করতে হয়। প্রতারণা, ভন্ডামি, বলপ্রয়োগ বা ভীতি প্রদর্শন করে স্থানীয় দালালরা তরুণীদের নিয়ে এসে যৌনসেবা প্রদানে বাধ্য করে। জাপান সরকারের জাতীয় সাধারণ আইন মোতাবেক সকল নারী ও পুরুষকে যুদ্ধ প্রক্রিয়ায় যোগদান করতে বলা হয়। মহিলাদের স্বেচ্ছা সেনাবাহিনী তৈরি করা হয়। ওই বাহিনীর কাজ ছিল কারখানার কাজে বা অন্যান্য যুদ্ধ -সংশ্লিষ্ট কাজে সেনাদের সাহায্য করা। কিন্তু এই বাহানায় বহু নারীকে প্রতারণা করে সামরিক যৌনদাসীবৃত্তিতে নিয়োগ করা হয়, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বেশ্যাবৃত্তির সঙ্গে মহিলা স্বেচ্ছাসেবী বাহিনীর সম্পর্ক প্রকট হয়ে পড়ে। (চলবে)
****
আগামী পর্ব ২৪ জানুয়ারি, শুক্রবার,২০২৫