বেশ্যার বারমাস্যা

পর্ব: ১৭৩

গ্রীসে জিমনেশিয়ামে বালক ছাত্রদের প্রতি পুরুষদের আসক্তি তৈরি হতো।

সুজিৎ চট্টোপাধ্যায় : একজন বালক বা কিশোরকে দায়িত্বশীল নাগরিকে নির্মাণ করার দায় বর্তায় মধ্যবয়সী গ্রীস পুরুষদের। বিনিময়ে গ্রীক পুরুষেরা বালকের সৌন্দর্য ও ডিজাট সৌষ্টবকে তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করার মধ্যে একটা মজা ছিল। বালকদের প্রতি আসক্তি তৈরি হতো জিমনেসিয়ামে।

প্রেমিক পুরুষদের বয়স হতে হতো বিশের ওপরে। উভয়ের পরিচয় ঘটে জিমনেসিয়ামে ও মল্লযুদ্ধের আখরায়। বালক ও পুরুষের পরিচয় ঘটে জিমনেসিয়ামে ও মল্লযুদ্ধের আখড়ায় এম। যেখানে তরুণেরা প্রশিক্ষকদের অধীনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। উভয়ের পরিচয় ঘটে জিমনেসিয়াম ও মল্লযুদ্ধের আখড়ায়। মধ্যবয়সী পুরুষেরা তরুণদের নগ্ন অবস্থায় পর্যবেক্ষণ করে মনে মনে যৌনতাড়িত হতো।

বালক ও কিশোরদের নগ্ন করে ক্রীড়া শিক্ষা দেওয়া হতো।

মধ্যবয়সী পুরুষেরা তরুণর ও বালকদের কাছে যৌনতায় পরিতৃপ্ত হয়ে উপহার দিত। তালিকায় থাকত হরিণ,পাখি ও খরগোশ। কুকুরও দেওয়া হতো উপহার হিসেবে। যৌনতার বিনিময়ে উপহারের তালিকায় ছিল বীণা, বাঁশি, লিখার বোর্ড ও দেহ সজ্জার কাজে ব্যবহার জোটার্ট জব্যত তেলের আধার। প্রিয়তমকে প্রশংসা করতে উপহার দেওয়া হতো পানপাত্র, যার গায়ে বালকের নাম লেখা থাকত এবং যোগ করা হতো গ্রীক শব্দ kalos Ppllll প্রতি প্রেমের সম্পর্কের সূচনা ও বিকশিত হওয়ার সময়কালের।(চলবে)

পরবর্তী পর্ব ১৫ ডিসেম্বর, সোমবার, ২০২৫

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *