বেশ্যার বারমাস্যা

পর্ব :১৪৭

নারী পাচারের জন্য প্রায়ই গ্রেপ্তার হচ্ছে নারী পাচারকারীরা।

সুজিৎ চট্টোপাধ্যায় : আজ ২১ শতাব্দীতেও গণিকারা প্রশাসন ও সমাজের কাছে ব্রাত্য। তেমনই নিষিদ্ধপল্লীর দালাল, বাড়িওলা , মাসি ও রাজনৈতিক মদতপুষ্ট সমাজবিরোধীদের কাছে ডিমপাড়া মুরগি।বেশ কিছু গণিকালয়ে সমীক্ষা চালিয়ে কয়েকটি সমাজসেবী সংস্থা দেখেছেন প্রধানত দারিদ্র্যতাই নারী পাচারের একমাত্র কারণ নয়, জোরকরে বহু এলাকা থেকেই নারী পাছার হয় নিষিদ্ধপল্লীর চোরাগলিতে। কিছু মেয়ে পুনর্বাসনের সুযোগ পায় বটে , তবে তা কোটিতে গুটিক। অভিযোগ ওঠে পুলিশের সঙ্গে এই নিষিদ্ধপল্লীর যোগসাজগ আছে।

নিষিদ্ধপল্লীতে অপ্রাপ্তবয়স্কদের ভিড় বাড়ছে

এমন ভাবার কোনো কারণ নেই যে নিষিদ্ধপল্লীতে শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের আনাগোনা থাকে তা নয়। বহু অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেরাও এখানে আসে। কিছু তৃতীয়লিঙ্গের অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং নারী সুলভ ছেলেরাও আসে। কেননা উভলিঙ্গকামী বা সমকামীদের দিনদিন চাহিদা বাড়ছে। এমনও দেখা গেছে অল্পবয়সী ছেলেরা অদিওপাউস কমপ্লেক্স থেকে বয়স্ক গণিকাদের খদ্দের হচ্ছে। নাটকীয় ঘটনাও ঘটে। একই গণিকার কাছে বাবা ছেলের যাতায়াত থাকে।

যৌন কৌতূহল, পারিবারিক অশান্তি এবং অপ্রাপ্তির হতাশা থেকেই নিষিদ্ধ পল্লীতে আসে পুরুষেরা

নিষিদ্ধপল্লীর খদ্দের কারা ? যৌবনের শুরুতে যৌন কৌতূহল,সময়মত বিয়ে না হওয়া, বাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি ইত্যাদি কারণে নিষিদ্ধপল্লীর খদ্দের হয় অনেকে। আবার সমাজবিরোধীদের মধ্যেও জীবনকে উপভোগ করতে আসাযাওয়া করে । অনেকে বাঁধা খদ্দের হয়। যেহেতু এরা এক সঙ্গীতে সন্তুষ্ট থাকে না সেক্ষেত্রে বিভিন্ন যৌনরোগে আক্রান্ত হয়।শহরাঞ্চলে তবু কিছু বাধ্যবাধকতায় থাকে।যেমন কনডম ব্যবহার করা। কিন্তু মফস্বল ও গ্রামাঞ্চলে অনেক খদ্দেরের কনডম ব্যবহার করতে চায় নয়। ফলে খদ্দেরের হারানোর ভয়ে মেয়েরা খদ্দেরের আবদার মেনে নেয়। (চলবে)

পরবর্তী পর্ব আগামী সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর,২০২৫

******

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *