বেশ্যার বারমাস্যা

পর্ব:১৪২

সোনাগাছির বিগত যৌবনারা হন মাসি।

সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়: স্বদেশলোক চর্চা শারদ সংখ্যা ২০১৬ তে লেখক রতনতনু ঘাঁটি তাঁর একটি নিবন্ধে ৩৬৮ পৃষ্ঠায় লিখেছেন,, যৌনকর্মীদের মধ্যভোগী হন অতীতযৌবনা যৌনকর্মীরা। তাঁরাও যৌবনের এভাবেই শোষিত হয়েছেন।সঞ্চয় বলতে তেমন কিছু নেই। ফলে নিষিদ্ধ পল্লীতে বাড়িওলার কাছ থেকে বাড়ি ভাড়া নিয়ে এই মাসিরা মেয়েদের বেশির ভাড়ায় ভাড়ার দেয়।সাইট বারটির টাকা মাসিদের রোজগার। অনেকসময় যৌনিত কর্মিদের অনেকের রাত জেগে খদ্দের মনোরঞ্জনের পোর্ট সকালের ঘুমোতে যায় ।বেলাত অন্ধির বিছানার থাকে।সেক্ষেত্রে রান্নাবান্নার সময় হয় না।সেক্ষেত্রে এই মাসিরা রান্না করা খাবার যোগান দেয়। সেই খাবারের দাঁত থাকে অগ্নিমূল্য। এখনও মফস্বল অঞ্চলের বহু নিষিদ্ধ পল্লীতে ইলেকট্রিক আলো নেই। কেরোসিন লণ্ঠন ভরসা। সেক্ষেত্রেও চড়া দামে ডিএললন্ঠন ভাড়া দেন এইসব মাসিরা।

নিষিদ্ধপল্লীর দালাল।

এছাড়াও রয়েছে দালালদের উৎপাত। তারাও নানার ছলেবলে যৌনকর্মীরা টাকা হাতিয়ে নেয়। যৌনকর্মীরা সাধারণত সব বুঝেও চুপ থাকে। কারণ তারা ভয় পায়। লেখক নিজের মেয়েদের কাছে যখন তাদের অভিজ্ঞতার কথা শুনতে যান, মাসি ও দালালরা পাশে দাঁড়িয়ে থাকে। অর্থাৎ ভেতরের খবর যেন বাইরে পাঁচকান না হয়। পুরুলিয়ার এক যৌনকর্মী লেখককে জানিয়েছিল দিনে জড়িত তিনটাকা রোজগার হয়, একটাকা দালাল নিয়ে নেয় ঘরের আলোবাতির জন্য আর খদ্দেরের ধরে আনার জন্য।

নিষিদ্ধপল্লীর দালালরা খদ্দেরের ও যৌনকর্মীর সংযোগকারী ।

দালালরা অনেকসময় খদ্দেরদের চাহিদা বুঝের মোটা গতরীর এই দালালরা নিষিদ্ধপল্লীর ভেতরে চায়ের দোকান তেলেভাজা দোকানীর আশেপাশে ঘোরাঘুরির করে।খদ্দেরদের যৌনকর্মীর সৌন্দর্যের বিবরণ দিয়ে প্রলোভিত করে সেই সব মেয়েদের কাছে নিয়ে যায় যেখানে তারা কমিশন বেশি পায়। অনেকসময় খদ্দেরদের চাহিদা বুঝে মোটা গতরের আবড়ার কথা বলে। আবড়া অর্থাৎ অবিবাহিতা মহিলা। দালালদের খদ্দের ধরার নানা কায়দা। কখনও কখনও খদ্দেরদের বলে অন্ত বিরত লাইন।খদ্দেরের পছন্দেরটি মেয়ের ঘরে যেতে পারবেন না। খদ্দেরের চাহিদা বাড়ে। সেই সুযোগে নতুন খাসা মেয়ের সন্ধান দেয় দালালরা।আবার কোনোটা খদ্দেরদের সঙ্গে কোনো যৌনকর্মীর জড়িত পরিচিতির সম্পর্ক গড়ে ওঠে, সেই খিডার্ট বারবার একই মেয়ের ঘরে আসে, মাসিরা শ্রীত যৌনকর্মীর ঠিকানা কিছুদিনের জন্য ওয়াল্টার দেয়।খদ্দেরের বাধ্য হয় অন্য যৌনকর্মীর প্রতি আসক্তি হতে। (চলবে)

পরবর্তী পর্ব আগামী শুক্রবার ২৯ আগস্ট,২০২৫

********************

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *