পর্ব: ১৩১

সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়: গতপর্বে বাৎস্যায়নের কামশাস্ত্রের ৬৪ কলা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। সুরেশচন্দ্র বন্দোপাধ্যায় এবং রমলাদেবী তাঁদের সংস্কৃত পুস্তক ভান্ডার থেকে প্রকাশিত ( বৈশাখ ১৩৯২) গ্রন্থে ১২৬ নং পৃষ্ঠায় কামসূত্রের বিস্তারিত বিবরণ দিতে গিয়ে লিখেছেন,,,,, নায়িকার পরিচয় বা সন্দর্শন দ্বিবিধ, স্বাভাবিক ও প্রাযত্নিক। নায়কের বাড়ির কাছে নায়িকা কখনও এলে হয় স্বাভাবি সন্দর্ষন। মিত্র, জাতি, মহামাত্র, বৈদ্য ইত্যাদির বাড়িতে বা বিবাহ যজ্ঞ, উৎসব, ব্যসন ও উদ্যান গমনাদি কালে হয় প্রাযন্তিক সন্দর্শন।

উল্লিখিত দ্বিবিধ সন্দর্শনও দুই প্রকার বাহ্য ও আভ্যন্তর। বাহ্য সন্দর্শনে নায়িকাকে দেখে নায়ক যা করবেন তাদের মধ্যে আছে নায়িকাকে শুনিয়ে তার প্রতি আসক্তির কথা বলা, তাকে লক্ষ্য করে কোনও বালককে চুম্বন , আলিঙ্গন, জিহ্বা দ্বারা তাম্বুলদান , তর্জনী দ্বারা হনুদেশ ঘর্ষণ নায়িকার ক্রোড়স্থ বালকের লালন , তাকে ক্রীড়নক দান ইত্যাদি।

বাৎস্যায়নের নির্দেশ নায়িকা নায়ককে আপ্যায়ন করবে পান -সুপারি দিয়ে।
লেখকদ্বয় লিখেছেন, আভন্ত্যর সন্দর্শনে পুরুষের যা যা করণীয় ভি, তন্মধ্যে আছে নায়িকার কাছে কোন গচ্ছিত দ্রব্য রাখা যাতে এর মাধ্যমে তার সঙ্গে মিলনের পথ প্রশস্ত হয়। এই দ্রব্যগুলির মধ্যে এমন জিনিষ থাকবে , যার জন্যপ্রত্যহই ভি নায়িকার সঙ্গে দেখা হতে পারে। এরকম জিনিষ হ’ল সুগন্ধি দ্রব্য ভি, পান- সুপারি, এলাচ ইত্যাদি। তাছাড়া নায়ক নায়িকাকে নিজের স্ত্রীর সঙ্গে নির্জন স্থানে বিশ্যাসোৎপাদক গোষ্ঠীতে আপানকার্যে মিলিত করে দেবেন। এভাবে নায়িকাকে দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে। ( চলবে)
পরবর্তী পর্ব ,আগামী সোমবার,২১ জুলাই,২০২৫
