পর্ব:১২৫

সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়: এই পর্ব থেকে আবার ফিরে যাবো ভারতে বৈদিক যুগে। যদিও অনেকে বিশেষ কোনো বৈদিক যুগ বলতে কোনো সময়ের অস্তিত্ব ছিল কি না তাই নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তবু যেটুকু তথ্য মেলে তার ওপর ভিত্তি করেই এই প্রতিবেদন। এই প্রসঙ্গ অবতারণায় ঋণ স্বীকার করতে হয় সুরেশচন্দ্র বন্দোপাধ্যায় ও রমলা দেবী লিখিত ভারতীয় সমাজে প্রান্তবাসিনী গ্রন্থের।

বেদে ব্রাহ্মণের উপপত্নী গ্রহণের বিধানে ছিল।
লেখকদ্বয় লিখেছেন, বেদে নানারকম পার্থিব দ্রব্যের মধ্যে সুন্দরীর রমণী লাভের প্রার্থনা আছে। বিবাহিত স্ত্রীরা স্বামীদের প্রতি বিশ্বস্ত থাকলেও চিন্তিত থাকতেন উপপত্নীরা গুরুত্ব পেলে তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হতে পারে। গোপনপ্রেমে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ঘরে বাইরে চলাফেরায় স্বাধীনতা ছিল। কিছু ঐতিহাসিকেরা সেই সময়ে গ্রিসের মত পতিতাবৃত্তি ছিল মনে করেন। আবার ঐতিহাসিকদের মধ্যে ভিন্টারনিত্স এই মত সমর্থন করেন না। তবে বেদে কন্যার বদলে পুত্র ছিল কাম্য।

বৈদিক যুগের ভাইবোনের যৌনতা স্বীকৃত ছিল।
অথর্ব বেদে ( ৬/১১/৩) কন্যা জন্ম ছিল নিন্দিত। কারণ সমাজে কামুক ব্যক্তিত্বদের সংখ্যা ছিল প্রচুর। ফলে একদিকে এই কামুকদের হাত থেকে বাঁচাতে , বিয়ের সঠিক পাত্র না পাওয়া ও বিয়ের খরচ যোগাড় ছিল কষ্টসাধ্য।ফলে কন্যা সন্তান সর্ম্পকে অনীহা ছিল। বৈদিক সমাজে একটা সময় পর্যন্ত নারীর মর্যাদা থাকলেও অবাধ যৌন সংসর্গের বহু উল্লেখ আছে। যম যমী আখ্যান থেকেই বোঝা যায় ভাইবোনের যৌন সম্পর্কের চল ছিল। পিতা কন্যার সম্পর্কও ছিল। বিধবরা যৌন আবেগে দেবরের সঙ্গে মিলিত হত গোপনে। জারজ সন্তান নষ্ট করা হত। (চলবে)
পরবর্তী পর্ব আগামীকাল ২৯ জুন, শনিবার,২০২৫
