বেশ্যার বারমাস্যা

পর্ব: ১২১

বৈদিক যুগের নারীর যৌন স্বাধীনতা ছিল।

সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়: এই পর্বে একটু ভিন্ন বিষয়ের অবতারণা করব। আগের পর্বগুলিতে নারী শোষণের অনেকগুলি কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করেছি। বিশেষত গণিকা সম্পর্কে । দেহ বিক্রির বিনিময়ে ক্ষুন্নিবৃত্তির জন্য কোনো যুগে সমাজে গুরুত্ব ছিল। কখনও ঘৃণার বস্তু। অথচ পুরুষ তাঁর যৌন চাহিদা মেটাতেই এই গণিকা সমাজের সৃষ্টি করেছিল। সেই পুরুষদের ভূমিকা নিয়েই এবারের পর্ব।

সোজাসুজি চলে যাই স্বদেশচর্চা লোক শারদীয় সংখ্যা ২০১৬ তে। এই পত্রিকার ৪৫ নম্বর পৃষ্ঠায় আদিরস ( যৌনতা) : একাল সেকাল নিবন্ধে অধীর রঞ্জন দে লিখেছেন,,,,,, বৈদিক যুগেও অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও বিবাহের স্বাধীনতা না থাকিলেও রতি সম্ভোগের স্বাধীনতা ছিল। যে কোনও পুরুষ যৌন উত্তাপে উতপ্ত যে কোনও নারীকে উপভোগ করিতে পারিত। এমনকি স্বামীর সম্মুখে পত্নীকে অন্য পুরুষ সম্ভোগের জন্য আহ্বান করিতে পারিত এবং পত্নীকেও সে আহ্বানে সাড়া দিতে হইত।

বৈদিক যুগে বিবাহিতা বা কুমারী যে কোনো পুরুষকে আহ্বান করলে সাড়া দেওয়া ছিল নৈতিকতা।

লেখক লিখেছেন, আবার নারী কোনও পুরুষকে দর্শন করিয়া যৌন উত্তাপ অনুভব করিলে পুরুষকে সেই নারীর আহ্বানে সাড়া দিয়া তাহার যৌন উত্তাপ প্রশমিত করিতে হইত। আমরা বেদ ভারতম -এ দেখিতে পাই , মহর্ষি গৌতম তাঁহার প্রিয়তম শিষ্য দ্বাদশবর্ষীয় প্রিয়দর্শন ঋষিকুমারকে বিংশতিবর্ষীয়া তরুণী এক ঋষিপত্নী তাহার যৌন উত্তাপকে প্রশমিত করিতে আহ্বান করিলে বেদশ গুরু গৌতমের উপদেশ প্রার্থনা করেন। গৌতম বেদশকে বলিলেন _
” গর্ভধারিনী জননী ব্যতীত যে কোনও নারী নিজের যৌন উত্তাপ প্রশমিত করিতে কোনও পুরুষকে আহ্বান করিলে সেই পুরুষের একান্ত কর্তব্য হইবে সেই কামার্ত নারীর যৌন উত্তাপকে তৃপ্ত করা। কামার্ত নারীর আহ্বানে সাড়া না দিলে পুরুষ অধর্মীয় আচরণ করিবে। নারী বিবাহিতা হউক আর অক্ষতযোনি কুমারীই হউক , যৌনকাতর হইয়া আহ্বান জানাইলে শৃঙ্গার ক্রিয়ার দ্বারা তাহার কামাবেগকে ঊর্ধ্বগামী করিবে- নারী যৌন তৃপ্তিতে স্খলন করিলে – তাহার অনুমতি লইয়া শুক্রবার নিক্ষেপ করিয়া যোনিগর্ভ প্লুত করিবে। ইহার পর বেদশ সেই তরুণী ঋষিপত্নীর সহিত যৌনসঙ্গমে লিপ্ত হইয়া একরাত্রে পঞ্চদশবার তাহার যোনিগর্ভ বীর্যাপ্লুত করেন।( চলবে)


পরবর্তী পর্ব , আগামী ১৬ জুন, সোমবার,২০২৫

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *