বেশ্যার বারমাস্যা

পর্ব: ১১৩

পঞ্চমকার সাধনা

সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়: পূর্ণাভিষিক্তা মহাবিদ্যা মন্ত্রে তন্ত্রোক্তদীক্ষালাভের পর শ্রী গুরুদেব শিষ্যাকে মন্ত্রপূত সিদ্ধ সলিলের দ্বারা শাক্তাভিষেক করেন। শাক্তাভিষিক্ত সাধক বা সাধিকা পুরশ্চরণাদি গুরুনির্দিষ্ট সাধনসহায়ে শক্তিমান হলে শ্রীগুরুদেব কর্তৃক মন্ত্রপূত সিদ্ধকূলদ্রব্যের দ্বারা অভিষিক্ত হন। এইসময় থেকে পঞ্চমকার যোগে ( মদ, মাংস, মৎস্য, মুদ্রা মৈথুন b) দেবীপূজার অধিকার লাভ করেন এবং সাধক সমাজে আচার্যরূপে পরিগণিত হন। এই দুর্লভ অভিষেককেই তন্ত্রশাস্ত্রে পূর্ণাভিষেক বলা হয়। এমনটাই উল্লেখ করেছেন সন্দীপ ঘোষ তাঁর বাংলা ও বাঙালি সাপ্তাহিক পত্রিকার ২০১২ বর্ষের ১৯_২১ সংখ্যায় লিঙ্গপুরাণে বেশ্যা প্রবন্ধে।

বাৎস্যায়নের কামশাস্ত্রে বর্ণিত হয়েছে কামের ৬৪ কলা।

একই পত্রিকার উক্ত সংখ্যায় স্বপন ঘোষ কামসিক্ত পুরাণ প্রবন্ধে শুরুতেই লিখেছেন, স্কন্ধপুরাণ, ব্রহ্মবৈবর্ত, লিঙ্গ, শিব ইত্যাদি আঠারোটি পুরাণ থেকে কামবিষয়ক যা বর্ণনা পাওয়া যায়, তা থেকে আর একটি পুরাণ হতে পারে কামপুরাণ। পরে বাৎসায়ন ঋষি সে কাজটি সমাধা করেছিলেন।

নারীবেশী সূর্যের সারথি অরুণের সঙ্গে ইন্দ্রের যৌনতার ফসল বালী ও সুগ্রীব।

অরুণ গরুড়ের বড়ভাই মাতৃগর্ভে তখনও পূর্ণ হননি। মা মায়া অতি উৎসাহে ডিমের খোলসটি ভেঙে ফেললেন। মা দেখলেন, অর্ধস্ফুটিত সন্তানকে। ভীষণ সুন্দর রূপ। রূপের আভায় একটি জ্যোতি প্রকাশ পাচ্ছে। পরে সে সূর্যের সারথি হবে। এবার নিজের সৌন্দর্য পরীক্ষার জন্য ইন্দ্রসভায় গেলেন নারীর রূপ ধরে। ইন্দ্র তাঁকে দেখে কামনায় তাঁর মধুর অধরসুধা পান করার জন্য ব্যগ্র হলেন। অরুণের সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হলেন। বালির জন্ম হলো। সূর্য অরুণকে বললেন , তুমি আর একবার যাও ইন্দ্রের কাছে। ইন্দ্রের সঙ্গে যৌন মিলনে লিপ্ত হও। এবার জন্ম হলো সুগ্রীবের। ( চলবে)

পরবর্তী পর্ব আগামী সোমবার ১৯ মে,২০২৫

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *