বেশ্যার বারোমাস্যা

পর্ব: ১০৭

গ্রিসে রক্ষিতা।

সুজিৎ চট্টোপাধ্যায়: দেশ ছেড়ে চলুন এই পর্বে একটু বিদেশে যাই ।গ্রিস। এক প্রাচীন সভ্যতা। সেখানে রক্ষিতা প্রথা কেমন ছিল সেটা দেখা যাক। যদিও কিছু আগের পর্বে একবার আলোচনায় করেছিলাম। গ্রিসের রক্ষিতা প্রথা বর্তমান শতাব্দীর সূচনাতে যেমন ছিল এখনও অন্য অবস্যুতেও কোথাও কোথাও টিকে আছে।শুধু গ্রিসে নয় প্রাচ্যের অনেক জায়গাতেও আছে।

দার্শনিক সক্রেটিস স্বয়ং তার বৈধ স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও একজন রক্ষিতা রেখেছিলেন। যার নাম ছিল ডায়োজেনিস লেয়ারটিয়াস। রক্ষিতা রাখার ব্যাপারে যেহেতুআইন ছিল , তাই আনুষ্ঠানিকতা পালনের বাধ্যবাধকতা ছিল না। তবে এইসব রক্ষিতাদের কিন্তু সামাজিক সম্মান ছিল। বেশিরভাগ মহিলারা আসত গ্রিসের অন্যান্য নগর বা রাষ্ট্র থেকে।

সক্রেটিস ও তাঁর রক্ষিতা।

প্রাচীনকালে গ্রিকদের যৌনতা সম্পর্কে কিছু যে ভ্রান্ত ধারণা ছিল সে বিষয়ে নিকোলাওস্ এ ভ্রিসিমটিজিস এর লেখা অবলম্বনে একটি অনুবাদ গ্রন্থ প্রকাশ করেন অনুবাদক আনোয়ার হোসেইন মঞ্জুর তাঁর প্রাচীন গ্রিসের প্রেম ও যৌন জীবন গ্রন্থে। গ্রন্থটিতে তিনি যৌন বিষয়াবলী অধ্যায়ের ৪৬ নং পৃষ্ঠায় লিখেছেন ,,, আমাদের তথ্যের প্রধান উৎস সেট যুগের সাহিত্য এবং তার চাইতেও গুরুত্ত্বপূর্ন হচ্ছে চিত্রের মাধ্যমে উপস্থাপন। খ্রিষ্টপূর্ব ৬ ষ্ঠ ও ৪ র্থ শতাব্দীর অনেক পাত্রের গায়ে আমরা প্রত্যক্ষ করেছি গ্রিকদের যৌন অগ্রাধিকারের দৃশ্যর। এই চিত্রগুলি দেখে যে কারো বিস্ময় জাগবে যে, এগুলোর কি শুধুই পর্নোগ্রাফি?( চলবে)

পরবর্তী পর্ব ২৮ এপ্রিল, সোমবার,২০২৫

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *