বেশ্যার বারোমাস্যা

পর্ব ৮২

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যেসব চিনা তরুণী জাপানি সেনাদের হাতে ধর্ষিতা হতেন আজ তাঁরা বৃদ্ধা। চিনা মহিলাদের বিক্ষোভ।

সুজিৎ চট্টোপাধ্যায় : আগের পর্বেই বলেছি , জাপানি সৈন্য যত বেশি চিনে পাঠানোর হতে থাকে, তত তাদের যৌন তৃপ্তির জন্য মেয়েদের চাহিদা বাড়তে থাকে। ফলে রীতিমত বলপ্রয়োগ করেই চিনা মেয়েদের বাধ্য করা হয় জাপানি সেনাদের যৌন্ট আনন্দিত দেওয়ার জন্য। রাধিকা কুমার স্বামী তাঁর কমফর্ট উওম্যান: পুরুষতন্ত্রের নগ্নতম যুদ্ধাপরাধ নিবন্ধ যা তিনি স্বদেশচর্চা লোক পত্রিকায় শারদ ২০১৬ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।

লেখিকা লিখেছেন, শেষমেষ হিংসা এবং সরাসরি বল প্রয়োগ দ্বারাই কেবলমাত্র সামরিক যৌনদাসীদের বর্ধিত চাহিদা মেটানোর মতো মহিলা যোগাড় করা হতে থাকে। এমনকি তাদের পরিবার পরিজনরাও নিগ্রহের হাত থেকে রেহাই পায় না, বহুক্ষেত্রেই তরুণীদের বলপূর্বক নিয়ে যাওয়ার সময় প্রতিবাদ করতে গেলে আত্মীয়রা বেধড়ক মার খায়। অনেকসময় বাবামার সামনে মেয়েদের ধর্ষণ করার পর তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানেই জাপানি সৈন্যের বসতি স্থাপতি হয়েছে, সেখানেই কমফর্ট স্টেশন বসানো হয়েছে। অনুমোদিত অস্তিত্ব থাকার সত্ত্বেও জাপানের তা বসানো হয়ত না।এক্রাওত চিন, তাইওয়ান , বোর্নিও , ফিলিপিন্স, কয়েকটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ, সিঙ্গাপুর, মালয়, বর্মা, ইন্দোনেশিয়াতে কমফর্ট স্টেশন তৈরি হয়। অনেকক্ষেত্রেই কমফর্ট মহিলাদের ছবিসমেত ওইসব স্টেশনের ছবি এবং জাপানি সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অংশের কমফর্ট স্টেশন সংক্রান্ত নিয়ম -কানুনের বিভিন্ন দলিল পাওয়া যায় না।

লেখিকা আরও লিখেছেন , জাপানি সেনার কর্তৃপক্ষ এমন সুপরিকল্পিত দলিল বানায় যেখানে সেনাদের কর্মক্ষেত্রে সুযোগ সুবিধার নামে প্রলোভিত করা হ্য়। বলা হয়েছে মেয়েদের যৌন আনন্দ দেওয়ার জন্য লোভনীয় মজুরি দেওয়া হতো ।কিন্তু বাস্তবে যা ছিল বিপরীত। যুদ্ধ শেষে দিকে মেয়েরা যদি শিবির থেকে পালানোর চেষ্টা করলে মারের ফেলার হতো। (চলবে)

আগামী পর্ব ২৭ জানুয়ারি, সোমবার

**

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *