দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : ২৫ মাসের বন্দিদশা কাটিয়ে, ব্যাঘ্ররূপী কেষ্ট অনুব্রত মণ্ডল ফিরে এসেছেন বোলপুরে। কিন্তু প্রশ্ন হল, তিনি কি সেই আগের মতো হুঙ্কার ছাড়বেন? নাকি এখন গর্জন মিইয়ে যাবে? বীরভূমের মাটি, যাকে একসময় ‘কেষ্টভূমি’ বলা হতো, আবার কীভাবে সেজে উঠেছে তাঁর প্রত্যাবর্তনে?
বোলপুরের রাস্তাঘাটে কেষ্টর ফেরায় যেন উৎসবের আবহ! পুজোর আগেই যেন পুজো এসেছে বোলপুরের নিচুপট্টিতে। যাঁরা এতদিন কেষ্টকে জেলের খাঁচায় আটক দেখে হাসছিলেন বা ক্ষমতাদখলের স্বপ্ন দেখছিলেন, তাঁরা কি এখন লেজ গুটিয়ে পালাবেন? নাকি তাঁরা হাল ছাড়ার পাত্র নন, কারণ বাঘ ফিরলেও বাঘের সেই পুরনো তেজ আছে কিনা সে নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।
তাঁর জেল যাওয়ার পর দলের কার্যালয় থেকে সরানো হয়েছিল অনুব্রতের ছবি, জায়গা পেয়েছিলেন জেলা নেতারা। কিন্তু কেষ্ট ফেরার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আবার দেওয়ালে ফিরে এল অনুব্রতের উপস্থিতি। জেলা তৃণমূলের ভেতরে তাঁকে ঘিরে আবার রাজনৈতিক ওজন বাড়ানোর গুঞ্জন। এরই মধ্যে কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহসহ কয়েকজন অনুব্রতের সঙ্গে দেখা করতে এলেও, সময় পাননি তৃণমূল নেতা। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুব্রতের বাড়ির কাছেই প্রশাসনিক বৈঠক করলেও, মুখে আনেননি কেষ্টর নাম। দুই নেতার দেখা হয়নি, যা বীরভূমের রাজনীতিতে নতুন জল্পনার সৃষ্টি করেছে।
একদিকে কেষ্ট অন্যদিকে কেষ্টবিরোধী লবি। ওদিকে কেষ্টর মেয়ে আর ভাতের মিলের মালিকানা নিয়ে গল্পের প্যাঁচ। শক্তিগড়ের ব্রেকফাস্ট থেকে দিল্লির ফ্লাইট। কেষ্টবিহীন কেষ্টভূমে কুর্সি দখলের লড়াই, সব মিলিয়ে দুবছর আগে তাঁকে নিয়েই হয়েছিল রাজ্য রাজনীতির ‘টেস্ট ম্যাচ’। তবে সেবার সেই ম্যাচে হারতে হয়েছিল তাঁকে, এবার ফিরে এসে কি তিনি জিততে পারবেন, নাকি নতুন খেলোয়াড়দের সামনে ওয়াকওভার দিতে হবে পুরোনো খেলোয়াড় কেষ্টকে? সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজতেই TV9 বাংলার নতুন নিউজ সিরিজ ‘কেষ্টবাবুর প্রত্যাবর্তন’।
২৯ সেপ্টেম্বর, রবিবার রাত ১০ টায়।