কুড়ি বছর বর্ষপূর্তিতে নাট্য উৎসব

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : নাটকওয়ালা কলকাতার বিংশতি বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে ২২ মার্চ, নিরঞ্জন সদনে হয়ে গেল তাদের দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠান। এদিন প্রথমে পরিবেশিত হয় নাটকওয়ালা কলকাতার শ্রুতিনাটক। দ্বিতীয় পর্যায়ে মঞ্চস্থ হয় রূপাঙ্গন ফাউন্ডেশন এর নাটক বিধর্মী। প্রথম অর্ধে নাটকওয়ালা কলকাতার নিবেদনে ছিল, বনানী মুখোপাধ্যায়ের তিনটি ভিন্নধর্মী শ্রুতি নাটক। প্রথম নাটক ‘ফুলশয্যা’র নাট্যপাঠে ছিলেন সুস্মিতা চক্রবর্তী ও শ্যামল কুমার চক্রবর্তী। দ্বিতীয় নাটক ‘নষ্ট চাঁদ’ শ্রুতি নাটক পরিবেশনে ছিলেন সৌভিক গুপ্ত ও সুস্মিতা চক্রবর্তী। তৃতীয় উপস্থাপনায় ছিল শ্রুতি নাটক ‘ভূত ভবিষ্যৎ’। অংশগ্রহণে ছিলেন অনিন্দ্য সরকার, তনুকা চ্যাটার্জী ও শ্যামল কুমার চক্রবর্তী। এরপর মঞ্চস্থ হয় বিধর্মী নাটকটি। নাট্যকার সব্যসাচী সেনগুপ্ত। নির্দেশনায় ছিলেন শিবাজী সেনগুপ্ত। বিনায়ক, উমাপতির দত্তক পুত্র। কিন্তু সে তা জানেনা। উমাপতি অবসর প্রাপ্ত পুলিশ অফিসার। বিনায়ক হিন্দু মৌলবাদের সমর্থক। ঘটনাক্রমে সে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় জড়িয়ে পড়ে ও পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। নাটকের শেষ দৃশ্যে প্রকাশ পায় বিনায়কের আসল পরিচয়। ধর্মের থেকে প্রাণের মূল্য অনেক বড়। নাটকের মূল ভাবনা হিসেবে উঠে আসে এই বিষয়টি। নাটকের আবহ করেন সুজিত হালদার। অভিনয়ে ছিল উমাপতি (মলয় চ্যাটার্জী), পারু (সুবর্ণা দাস), বড় বিনায়ক কৃষিভ ঘোষ, ছোট বিনায়ক (উজান সরকার), আইবি অফিসার অশেষ (রাজু দাস), পুলিশ অফিসার দীপঙ্কর ভট্টাচার্য প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *