আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি দুনিয়ার সেরা সংস্থা গুগলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ

*

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, নমো যন্ত্র, নমো যন্ত্র, নমো যন্ত্র, নমো যন্ত্র! তুমি চক্রমুখরমন্দ্রিত, তুমি বজ্রবহ্নিবন্দিত,,,,,,। ছেলেবেলাই সীতানাথ তত্ত্বভূষণ শিক্ষকের কাছে প্রকৃতি বিজ্ঞানের পাঠ নিলেও নিজের ইচ্ছায় বিজ্ঞানের নানা শাখায় উৎসাহ ছিল তাঁর। তাই লিখেছিলেন বিজ্ঞান থেকে যাঁরা চিত্তের খাদ্য সংগ্রহ করতে পারেন তাঁরা তপস্বী – মিষ্টান্নমিতরে জনা: আমি রস পাই মাত্র। আজও ২১ শতাব্দীতে রবীন্দ্রনাথের কথাই প্রাসঙ্গিক। পশ্চিমবঙ্গের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বাংলার গর্ব টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি। শিক্ষাক্ষেত্রে মাধ্যমিক স্তর থেকে উচ্চশিক্ষায় এক নজির সৃষ্টি করার দাবিদার টেকনো। শিক্ষা গবেষণা ও সেরা প্রযুক্তির পরিকাঠামো নির্মাণে টেকনো প্রমাণ করেছে এ প্রতিষ্ঠান সেরার সেরা।

৩৯ বছরের পথচলায় টেকনো ইন্ডিয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দাবি এখন পর্যন্ত টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের ৫ লক্ষ ছাত্রছাত্রী কর্মজীবনে প্রবেশ করে ভারতীয় মুদ্রায় ৪ লক্ষ থেকে ২ কোটি বেতনে বিশ্বের নানা প্রান্তে চাকরি পেয়েছে। বিশ্ব জুড়ে প্রযুক্তি ও প্রকৌশল ক্ষেত্রে প্রায় ৮৫ মিলিয়ন মানব সম্পদের ঘাটতি আছে। টেকনো তাদের শিক্ষাক্রমে তাই এই দুটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষাক্রম বিন্যাস করেছে। বুধবার দুপুরে কলকাতা সংলগ্ন সেক্টর ফাইভে এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানের একজিকিউটিভ ডিরেক্টর ও সি আই ও মেঘদূত রায়চৌধুরী জানান, টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপ পূর্বাঞ্চলে প্রথম আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সংস্থা গুগলের সঙ্গে যৌথ সমন্বয়ে ডিজিটাল দুনিয়ায় প্রয়োজনে গুগল ক্লাউড টু প্রপেল এডুকেশনের ব্যবস্থা করেছে। আমরা ক্লাউড কম্পিউটারিং, মেশিন লার্নিং এবং গুগলের যে প্রায় একশ রকমের অ্যাপ আছে তার সঙ্গে পরিচিত হওয়া। আগামীদিনে প্রযুক্তিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এক জরুরি বিষয় হয়ে উঠেছে। তাই এই বিষয়ে প্রতিদিন ছাত্রছাত্রীদের অগ্রিম সচেতন হয়ে থাকাটা আজকের দিনে প্রধান শর্ত। আমরা সেই সুযোগ এনেছি। সাংবাদিক সম্মেলনে গুগল সংস্থার ডিরেক্টর স্ট্র্যাটেজিক অ্যালান্সেস অফ ক্লাউডরিজিন টেকনোলজিস এর পক্ষে উপস্থিত লক্ষ্ণীনারায়ণ বলেন, গুগল চায়, প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মী গড়তে অত্যাধুনিক শিক্ষাক্রমের বিস্তৃতি। টেকনো এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যার খ্যাতি এখন বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা তাই বিশেষ শিক্ষাক্রমের মধ্য দিয় আগামীদিনে দক্ষ মানবসম্পদ গড়তে। টেকনো প্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের একশ টেরা বাইট ডাটা আমরা দেব যেখানে ২০০ ঘণ্টার শিক্ষাক্রম সাফল্যের সঙ্গে উপস্থাপন করা যায়। শিক্ষা শেষে মিলবে একটি বিশ্বমানের শংসাপত্র। যেটি বিশ্বের সর্বত্র নিজের চাকরি বা উদ্যোগী হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের কো চেয়ারপার্সন ও টেকনো ইউনিভার্সিটির কো চ্যান্সেলর মানসী রায়চৌধুরী বলেন, আমরা ১৫ হাজার ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে এই শিক্ষাক্রম চালু করেছি। রোজই বহু ছাত্রছাত্রী এই শিক্ষাক্রমে ভর্তি হচ্ছেন উৎসাহের সঙ্গে। এখন যাঁরা এই শিক্ষাক্রমের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের যুক্ত করা হয়েছে। আমরা গর্বিত ও উৎসাহিত গুগলের মত বিশ্বমানের একটি প্রযুক্তি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে দক্ষ প্রযুক্তিবিদ নির্মাণের সুযোগ পেয়েছি। বুধবার সকাল থেকেই প্রতিষ্ঠানের সেমিনার হলে উৎসাহী ছাত্রছাত্রীরা গুগলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ সম্পর্কে আলোচনায় অংশ নেন। অনুষ্ঠানে ছিলেন টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান , টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড: গৌতম রায়চৌধুরী,গুগল ক্লাইড এর শিক্ষাক্রমের প্রধান বৈভব শ্রীবাস্তব, গুগল ক্লাউডের আঞ্চলিক প্রধান কেতন পি প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *