
*****
দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: শিক্ষা জগতে জগৎজোড়া ঐতিহ্য বহন করে চলেছে সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল ও কলেজ। এই মুহূর্তে সেন্ট জেভিয়ার্স ইউনিভার্সিটি সেই ঐতিহ্যকে অতিরিক্ত মাত্রা যুক্ত করেছে। মঙ্গলবার বিকেলে কলকাতার উপকন্ঠে নিউটাউন সেন্ট জেভিয়ার্স ইউনিভার্সিটির নিজস্ব অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক সাংবাদিক সন্মেলনে ভাইস চ্যান্সেলর ড: জন ফেলিক্স রাজ জানালেন, ২১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববাংলা কনভেনশনাল সেন্টারেঅনুষ্ঠিত এই কনভোকেশনাল সেরিমনিতে প্রধান অতিথি হিসেবে আসছেন রোমের সুপিরিয়র জেনারেল অফ দি জেশুইস্ট রেভারেন্ড ড: আর্তুরো সোসা এস জে। বাংলার রাজ্যপাল ড: সিভি আনন্দ বোস এবং সেন্ট জেভিয়ার্স ইউনিভারসিটির ভাইস চ্যান্সেলর রেভারেন্ড ড : জন ফেলিক্স রাজ উৎসবে পৌরহিত্য করবেন।
২০১৭ থেকে সেন্ট জেভিয়ার্স ইউনিভার্সিটি শিক্ষাক্ষেত্রে বাস্তবিক অর্থে এক ঐতিহাসিক বিবর্তন ঘটাচ্ছে। নতুন গড়ে তোলা ভবনে অত্যাধুনিক শ্রেণীকক্ষ, গবেষণাগার, গ্রন্থাগার , মুট কোর্ট থাকছে। এই নবনির্মিত পরিকাঠামো তৈরিতে খরচ প্রায় ৫৫০ কোটি টাকা। নতুন ভবনে প্রধান অডিটরিয়ামে থাকবে ২ হাজার জনের আসন । এছাড়াও আরও দুটি অডিটরিয়ামে থাকছে ৬০০ ও ৩০০ জনের আসন। ক্রীড়াক্ষেত্রে উৎসাহিত করতে থাকছে বিশেষ ব্যবস্থা। থাকছে দুটি সুইমিং পুল।
নতুন বছরে শুরু হতে চলেছে ধারাবাহিকভাবে বি টেক ও এম টেক পাঠক্রম। এছাড়াও পরিকল্পনায় আছে এম বি এ, বি এড, স্কুল অফ ডিজাইন, স্কুল অফ নার্সিং ও একটি উন্নতমানের মেডিকেল কলেজ। এই প্রতিষ্ঠান পূর্বাঞ্চলে প্রথম যেখানে এ আই প্রযুক্তিতে শিক্ষাক্রম পরিচালিত হবে। সহযোগী হচ্ছে ইংল্যাণ্ডের শিক্ষক প্রতিষ্ঠান। থাকছে ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট শিক্ষাক্রম। থাকছে দুধরণের বৃত্তি। একটি মেধার নির্ভর।অন্যটি আর্থিক দুর্বল পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের জন্য। থাকছে চারটি আঞ্চলিক ও চারটি বিদেশি ভাষা শিক্ষা ব্যবস্থা।
এই মুহূর্তে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে প্রধান বছর কারিগরি দক্ষতা। তাই বিশেষত শিক্ষাক্রমে প্রযুক্তিগত দক্ষতা নির্মাণের শিক্ষাক্রম রাখা হয়েছে। আর্থিক সহায়তার ক্ষেত্রে সহায় হয়েছে দেশ বিদেশে প্রতিষ্ঠিত সেন্ জেভিয়ার্স এর প্রাক্তন ছাত্ররা। ২০২৬ সেন্ট জেভিয়ার্সের এক বৈপ্লবিক উত্থান হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইতিবাচক পদক্ষেপে।
