*
শ্রীজিৎ চট্টরাজ: বাগবাজার সারদাদেবীর বাড়ি থেকে শ্যামবাজার হয়ে সাধু সন্তদের প্রতিবাদ মিছিল পৌঁছয় সিমলার বিবেকানন্দের বাড়ি পর্যন্ত। মিছিলে পা মেলায় ভারত সেবাশ্রম সংঘ , রামকৃষ্ণ মিশন সহ বিভিন্ন সন্ন্যাসী সংগঠন। মিছিল থেকে আওয়াজ ওঠে তৃণমূল সরকার আর নেই দরকার। হিন্দু সমাজ এক হও । জেহাদি হটাও। হিন্দু রাষ্ট্র তৈরি হোক। মিছিলে সাধুদের সঙ্গে হাঁটেন কৌস্তভ বাগচি, রুদ্রনীল ঘোষ প্রমুখ। মমতা ব্যানার্জির প্রতি তীব্র ধিক্কার দিয়ে তাঁরা বলেন, বাংলার হিন্দু সমাজ এবার উচিৎ শিক্ষা দেবে। শেষ মুহূর্তের খবর কলকাতা পুলিশ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আগামীকাল থেকে দুমাস কলকাতায জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। আর বাংলা চ্যানেলে ফোনে বিতর্কিত কার্তিক মহারাজ বলেন, মমতা ভয় পেয়েছেন আজ কোলকাতার বুকে গৈরিক প্লাবন দেখে। আমার নামে মিথ্য অপবাদ দিয়েছে তিনি আজ ৪০ বছর ধরে আমি মুর্শিদাবাদ আছি , পুলিশ রেকর্ডে কোথাও দেখাতে পারবেন না আমি কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থনে কাজ করেছি।
এই প্রেক্ষিতে রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, কার্তিক মহারাজ প্রয়োজন মত তৃণমূল ও বিজেপির সঙ্গে সংযোগ রেখে চলেন। আজকের মিছিল সাধু সন্তদের হলেও বিজেপি ঘনিষ্ঠ আর এস এস , বিশ্ব হিন্দু পরিষদ শুধু নয়, শঙ্কুদেব পান্ডা সহ বহু বিজেপি নেতাদের দেখা যায় মিছিল পরিচালনা করতে। মানব শৃঙ্খল তৈরি করে কার্তিক মহারাজকে ঘিরে রাখা হয়। সংবাদিকদের তার ধারে কাছে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমা চাইবার সময় সীমা উত্তীর্ণ। মমতা ক্ষমা চাননি। ফলে সাধুদের সংগঠন পরবর্তী সিদ্ধান্ত কি নেবেন, দিগদর্শনের পক্ষে এই প্রতিবেদক জনৈক সন্ন্যাসীকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, পরবর্তী পদক্ষেপ সন্ন্যাসী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সিদ্ধান্ত নেবেন। লক্ষণীয় মিছিল বেশ বড় হলেও রাজ্যের কোনো উর্দিধারী একজন পুলিশকেও দেখা যায় নি। আজ গরম ছিল প্রচণ্ড। ফলে রাস্তায় পিচের রাস্তা তেতে ছিল। তাই সন্ন্যাসীদের খালি পায়ে হাঁটতে যাতে অসুবিধে না হয়, প্রতি মুহুর্তে রাস্তায় জল ঢালতে ঢালতে যান স্বেচ্ছাসেবকরা।