সাইয়ার্ড উদ্যোগে ভারত,- বাংলাদেশ নদী সংলাপ

*

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ১৯ মার্চ ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের প্রধান মুজিবর রহমানের সঙ্গে ভারত -বাংলাদেশ মৈত্রী চুক্তি ও শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। চুক্তির নিরিখে জল সম্পদ বণ্টন সেচ বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি যৌথ নদী কমিশন গঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে অনেকবার দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মধ্য দিয়ে নদী জল বন্টনের যৌথ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

শনিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ( সাইয়ার্ড) আয়োজন করে ভারত -বাংলাদেশ নদী সংলাপ।সুস্থ নদী ব্যবস্থাপনা ও জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ সম্পর্কিত বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা ও দিশা খোঁজার চেষ্টা হয় বিশেষজ্ঞ, নীতি নির্ধারক , গবেষক ও প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী তাঁর স্বাগত ভাষণে বলেন, নদী পরিবেশ ও অর্থনৈতিক গুরুত্বের ভিত্তিতে নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে সাইয়ার্ড এর বিভিন্ন উদ্যোগের কথা। উপস্থিত বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ও হালদা নদীর নিরাপদ অস্তিত্ব রক্ষার জন্য কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন। উপস্থিত আই এফ সি – ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের অজেয় বন্দোপাধ্যায় দুদেশের নদীর প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বলেন। রিভার রিসাইকেল সংস্থার এরিয়া ডিরেক্টর যশবন্ত দেভাল বিশ্বব্যাপী নদী রক্ষার ক্ষেত্রে তাঁদের সংগঠনের ভূমিকা উল্লেখ করেন।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে ছিলেন রিভার রিসার্চ ইনস্টিটিউট , রাজ্য জলসম্পদ বিভাগ , কলকাতার ফরাসি কনস্যুলেট সহ বিশিষ্ট ব্যাক্তিত্ব। ছিলেন প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর। স্নেহাশিস সুর বলেন, তিনি নদী সংরক্ষণ ও পরিবেশ রক্ষা নিয়ে খুব বেশি একটা অভিজ্ঞ নন। কিন্তু ভারত ও বাংলাদেশের নদী জল বন্টন নিয়ে একটা সমস্য যে কাজ করছে সেই সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। বাংলাদেশে ও এই রাজ্যের জনগণের জানার অধিকারকে মান্যতা দিয়ে এখন বিষয়টি কি অবস্থায় আছে তার স্পষ্ট একটা রূপরেখা তুলে ধরা দরকার। এদিন একটি বই রিভার অ্যান্ড রিসার্চ বইটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। আগামী ৮ ও ৯ নভেম্বর শ্রীলঙ্কায় আন্তর্জাতিক নদী কংগ্রেসের অনুষ্ঠানে সাইয়ার্ড অংশ নিতে চলেছে।

ছবি: রাজেন বিশ্বাস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *