দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: প্রাচীন যুগে হিন্দু ধর্মের কোনো দেবদেবী প্রতিষ্ঠা পেতেন ধনী ব্যবসায়ীর স্বীকৃতিতে। ব্যবসায়ীদের পরিচয় ছিল সওদাগর হিসেবে। তাই বোধহয় মনসা মঙ্গল কাব্যের রচয়িতা সর্পদেবী মনসাকে দিয়ে বলান, চাঁদ সওদাগরের প্রতি , চান্দর কোপ দেখি পদ্মার ভয় অতিশয়। যোড় হাতে কহে দেবী করিয়া বিনয়।। মোর তরে কোপ এড় সাধুর কুমার। মোর তরে ফুল দেও একবার।।( বিজয় গুপ্ত, পৃষ্ঠা ২৩৭)। এরপর কি করে চাঁদ সওদাগরের হাত দিয়ে দেবী মনসা পুজো পেলেন সে ইতিহাস সবার জানা। শুধু এরাজ্যেই নয়, সুদূর মরুরাজ্য রাজস্থানের দহমি গ্রামে দেবী পূজিতা হন দেবী দহমি নামে। দেশে একমাত্র রাজস্থানেরএই গ্রামে দেবীর এক মন্দির প্রতিষ্ঠা হয় ৬৬০ বছর আগে।এত বছর পর কলকাতা ও কলকাতা সন্নিহিত অঞ্চলে বসবাসকারী রাজস্থানী মানুষ নিউ টাউনে ধর্মতলার পাঁচুরিয়ায় প্রতিষ্ঠা করলেন দেবী দহমির।
বিজ্ঞাপন
দহমি মাতা ট্রাস্টের অছি পরিষদের অন্যতম সদস্য সুশীল কুমার গোয়েল সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, দহমি মাতা আমাদের কুলদেবী। রাজস্থানের কোটপুতলি বহ রোড জেলার দেবী মন্দিরে পুজো দেওয়ার সুযোগ নেই এ রাজ্যে বসবাসের জন্য। তাই ভারতে দেবীরদ্বিতীয় মন্দির কলকাতায় গড়া হয়েছে। গত চারদিন ধরে দেবীর প্রাণ প্রতিষ্ঠার জন্য রামায়ণের সুন্দর কাণ্ড পাঠ, কলস যাত্রা, নগর ভ্রমণ, হোম ও কুমারী পুজো , মঙ্গল আরতি, ব্রাহ্মণ ভোজন সহ ভক্তি সঙ্গীতের আয়োজন করা হচ্ছে। ট্রাস্টের পক্ষে জানানো হয়েছে , সংগঠনের সদস্য সঞ্জয় আগরওয়াল, পবন খেমকা, হরি শঙ্কর মর্জিওয়ালা, দর্জি পরিবার ও মহাবর পরিবারের ঐকান্তিক সহযোগিতা ও প্রচেষ্টায় দেশে দেবী দহমি মাতার মন্দির প্রতিষ্ঠা হল।