দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: এখন ভোট জ্বরে ভুগছে পশ্চিমবঙ্গ। নির্বাচনের খবরে হারিয়ে যাচ্ছে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থার কথা। এই মুহূর্তের খবর বিষয়ভিত্তিক বিশ্ব র্যাঙ্কি র র্যাঙ্কিংয়ের ক্ষেত্রে ভারতের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের তকমা পেয়েছে যাদবপুর। সমীক্ষায় একদিকে যেমন বলা হয়েছে ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে উন্নতি হয়েছে ৭২ শতাংশ। তেমন অবনতি হয়েছে ১৮৭ শতাংশ। এই প্রেক্ষিতে কলকাতা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন ডাকল রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ১৮ টি অধ্যাপক সংগঠন। সংগঠনগুলির ডাকা যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে নেতৃত্বরা বলেন, রাজ্যের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে সরকারি ভ্রান্ত নীতি বহুদিন ধরে অচলাবস্থা সৃষ্টি করেছে। প্রথমত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পূর্ণকালীন উপাচার্য নেই। প্রশাসনিক স্তরে সিনেট , এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল, একাডেমিক কাউন্সিল কোনও সভা আয়োজন করার পরিস্থিতি নেই।
বিজ্ঞাপন
এরই মধ্যে পরিকাঠামোগত অবস্থায় জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ প্রণয়ন করা হয়েছে। যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পঠন পাঠনের সামগ্রিক ব্যবস্থাকে সমূহ সংকটের মধ্যে ফেলেছে। ছাত্রছাত্রী , অধ্যাপক, শিক্ষাকর্মী সকলের স্বার্থই আজ বিপন্ন। আমরা এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতি থেকে মুক্ত হতে রাজ্য সরকার , মহামান্য আচার্য, শীর্ষ আদালত ও সমাজের কাছে প্রধান দাবিগুলো তুলে ধরতে চাই।১) উচ্চশিক্ষা দফতরের শিক্ষা ও শিক্ষক স্বার্থ বিরোধী সাম্প্রতিককালে প্রকাশিত অ্যাডভাইসারির দোহাই দিয়ে বেআইনিভাবে শিক্ষকদের প্রমোশন স্থগিত ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কমিটির মিটিং বাতিল করা যাবে না। এরফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিস্থিতি আরও অচল হয়ে পড়বে। ক্ষতিগ্রস্থ হবেন ছাত্রছাত্রী ওগবেষকরা। ২) বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধিকার হরণকারী ২০১৭ সালের আইন ও তার উপর ভিত্তি করে ২০১৯ সালের যে নিয়মাবলী আনা হয়েছে সেগুলিকেও বাতিল করতে হবে।
এই আইন উচ্চশিক্ষার বিরোধী। ৩)বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্ট্যাটিউট নেই কিংবা আইন পরিবর্তনের ১৩ বছর পরেও স্ট্যাটিউট আটকে রাখা হয়েছে। সেখানে দ্রুত নতুন বা পরিবর্তিত স্ট্যাটিউট লাগু করতে হবে।৪) যত দ্রুত সম্ভব স্থায়ী উপাচার্য স্থায়ী ডিন নিয়োগ করে ইসি, কোর্ট , সিনেট, সিন্ডিকেট সহ সমস্ত স্ট্যাটুটারি বডিনির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধি এনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অচলবস্থা দূর করতে হবে।৫) সমগ্র শিক্ষানীতি ২০২০ অনুযায়ী বিজ্ঞান, কলা শাখার ৪ বছরের আন্ডার গ্র্যাজুয়েট পোগ্রাম চালু হলেও বহু জায়গাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম মেনে নীতি নির্ধারক কমিটিগুলিতে সেই প্রোগ্রাম গুলির বা তাদের পরীক্ষা পদ্ধতির কোনো অনুমোদন ছাড়াই সেগুলি লাগু করা হয়েছে, যা ভবিষ্যতে ছাত্রছাত্রীদের সমূহ বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। প্রোগ্রামগুলি চালু হলেও কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় কোথাও প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো দেওয়া হয়নি। অবিলম্বে সেসবের ব্যবস্থা করতে হবে। আগামী ১৯ এপ্রিল বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনগুলির আলোচনায় আগামীদিনে কিভাবে আমরা পথে আন্দোলন করতে নামব সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।