দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: কাঁটা ঘুরছে ঘড়ির। ঘুরছে পৃথিবী। একদিন , প্রতিদিন। হাজারের কোটা ছাড়িয়ে এগারশ দিন। এভাবেই আরও একমাস। তারপর এল সেই দিন। সেই ক্ষণ। কলকাতা তখন দাবদাহে বিমর্ষ। ঘড়িতে সকাল ১০ টা। অনেকটা বন্ধুর পথ পেরিয়ে আন্দোলনের তাপাগ্নিতে দগ্ধ শত শত কৌতুহলী চোখ তাকিয়ে কলকাতা উচ্চ আদালতের দিকে। মনে শঙ্কা বিচারের বাণী ভরসা যোগাবে তো? ২২ এপ্রিল।২০২৪। সোমবার। এস এস সি দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষিত হল। তারিখ পে তারিখ তারিখ পে তারিখ। এজলাস বদল। বদল বিচারপতি। বাতিল হল ২০১৬ সালের এস এস সি প্যানেল।২২ হাজারের বেশি কর্মরত শিক্কের ভবিষ্যতে নেমে এল অমাবস্যার আঁধার। প্যানেলে নাম ছিল ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। ক্যান্সারে আক্রান্ত নলহাটির সোমা দাস ছাড়া সবাইকে নতুন করে যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হবে।২৫ হাজারপরীক্ষার্থীর এই পরিণতির জন্যদায়ী কে?
দুর্নীতির ব্ল্যাকহোলে রাজ্য। শাসকদলের ৪ মন্ত্রী বিধায়ক গারদে। রেশন থেকে চাকরি চুরির অভিযোগে। রাজ্যে প্রতিদিন রেড করছে ইডি , সি বি আই। চলছে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত। আবার কি নতুন করে ঘুরবে তদন্তের মোড়? উঠে আসবে দুর্নীতি ঢাকতে প্রস্তাব করেছিল সুপার নিউমেরিক পদ? কিন্তু আজ এই দুর্নীতির পাহাড়ে প্রশ্ন উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েই। উচ্চ আদালত বাতিল করেছে প্যানেল। এখন শীর্ষ আদালতে আবার গড়িয়েছে জল। সেদিকেই তাকিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু রাজনীতির জল গড়াচ্ছে কোনদিকে?
ভোটের হাওয়ায় রায়কে নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে রায়ের নিরপেক্ষতা নিয়ে। নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গলির। দুর্নীতির দায় কি এড়াতে পারবে রাজ্যের শাসক? যোগ্যরা কি নিজেদের শিক্ষক হিসেবে দেখতে পাবেন কোনও দিন? এই রায় কী প্রমাণ করল? রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থার মেরুদন্ড কি সম্পুর্ণ ভেঙে পড়েছে? দুর্নীতির গভীরে জলের মাছেদের কী শাস্তি মিলবে? নাকি আবারও চলবে গড়িমসি? বিশিষ্টদের মতামত সহ বিভিন্ন তথ্য অনুসন্ধান করে টিভি নাইন বাংলার নতুন নিউজ সিরিজ উদোর পাপে বুধো বেকার। দেখুন রবিবার ২৮ এপ্রিল রাত ১০ টায়