দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : রূপোলি পর্দায় তাঁর ‘বাঞ্ছারামের বাগান’-এর স্মৃতি, মঞ্চে ‘সাজানো বাগান’-এর অনুরণন, এবং ‘চাক ভাঙা মধু’ থেকে ‘নরক গুলজার’-এ তাঁর চরিত্রদের রসবোধের খেলা আজও মানুষের হৃদয় আলোড়িত করে। জীবনমঞ্চের প্রতি মনোজ মিত্রের এক গভীর নিবেদন, দেশভাগের করুণ স্মৃতি থেকে ব্যক্তিমানুষের বেদনা-রসিকতাকে ছুঁয়ে যাওয়ার প্রবল ইচ্ছে— নাটকে জীবনকে চিরন্তন করে তুলেছেন তিনি। যেখানে ‘বাস্তব’-এর পাশে ‘অ-সম্ভব’ বেঁচে থাকে, ‘বক্তব্য’ এক কোণে কৌতুকের আড়ালে অপেক্ষায় থাকে। তাঁর থিয়েটারের সংলাপে, ছন্দে ছড়ানো জীবনানন্দের গন্ধ আর ‘গণশত্রু’ থেকে ‘ঘরে বাইরে’-র পর্দায় দেখা তাঁর সেই অমলিন মুখের প্রকাশ থাকবে বাছাই করা অচেনা ছবিতে, সংবেদনে। এক অনন্য দৃষ্টিভঙ্গির আলোয়, জীবন-যন্ত্রণা এবং কৌতুকের এক অদ্ভুত মিশ্রণে এক নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি রেখে গেছেন মনোজ মিত্র। যেমন দেবেশ চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র বসু, সুমন মুখোপাধ্যায়ের কথায় উঠে এসেছে প্রবাদপ্রতিম মনোজ মিত্র; তেমনই সমসাময়িক বিভাস চক্রবর্তী, অরুন মুখোপাধ্যায় কিংবা জগন্নাথ বসুর স্মৃতিচারণায় উঠে এসেছে তাদের বন্ধু মনোজের কথা। শুধু তো নাটক নয়, সিনেমাজগতেও মনোজ মিত্রের বিচিত্র প্রতিভা। পরিচালক রাজা সেন মনে করালেন ‘দামু’ কিংবা ‘বন্ধ দরজার সামনে’র মনোজ মিত্রকে। তাঁদের সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে, তাঁর গড়ে তোলা দল ‘সুন্দরম’ এর সদস্যদের স্মৃতিচারণে ভাস্বর হবে তাঁর যাত্রা। তাঁর প্রযোজনাগুলি কীভাবে থিয়েটারের ধারা বদলে দিয়েছিল, কীভাবে তাঁর নাটকে থাকা রসবোধ দর্শককে নিখাদ আনন্দ ও জীবনশিক্ষা দিতে পেরেছিল, সে কথাগুলিই তুলে ধরা হবে এই নিউজ সিরিজে।
১৭ নভেম্বর, রবিবার রাত ১০ টায়