*

দিগদর্শন ওয়েবে ডেস্ক: ৫ সেপ্টেম্বর মুম্বাইতে আয়োজিত ক্যান্সার সচেতনতা শিবিরে ফুড হিলস রিপোর্ট ২০২৪ সমীক্ষা প্রকাশিত হয়। সেই সমীক্ষার রিপোর্টে বলা হয়েছে প্রাথমিক পুষ্টির অভাবে দেশে ভুগছে শিশুর সংখ্যা প্রায় ৬১ শতাংশ। গত তিনবছর ধরে এটাই ছবি। সোমবার সকালে হাওড়ার নারায়ণা হাসপাতাল ও সমাজসেবা সংস্থা ক্যানকিডসের যৌথ উদ্যোগে শিশু ক্যান্সার রোগীদের অভিভাবকদের নিয়ে একটি সচেতনতা অনুষ্ঠান ও সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে ৩০ জন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী যোদ্ধা ও তাদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে হাসপাতালের তরফে ফ্যাসিলিটি ডিরেক্টর তপানি ঘোষ বলেন, ক্যান কিডস সংগঠনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ক্যানকেয়ার প্রচার অভিযান হচ্ছে। আক্রান্ত শিশুদের প্রাথমিক রোগ নির্ণয় ও যত্নের একটি উদ্যোগ অঙ্গীকার বলা যায়। আমরা আগামীদিনে এই প্রচার চালাবো রাজ্যের প্রত্যেক জেলার বিভিন্ন স্কুলে। আমরা অভিভাবক ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের যুক্ত করব এই রোগের সচেতনা সম্পর্কে। কেননা যত দ্রুত রোগ নির্ণয় হয় তত তাড়াতাড়ি আমরা শিশুদের রোগ মুক্ত করতে পারব।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অন্যতম ক্লিনিক্যাল রেডিয়েশন অঙ্কলজি বিভাগের লিড ও সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা: সুমন মল্লিক বলেন, শিশুদের ক্যান্সার প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে আলাদা। উন্নত চিকিৎসা প্রযুক্তিতে যা অনেকবেশি ইতিবাচক। আমরা রোগীদের প্রাথমিক উপসর্গ সহজে চেনা ও দ্রুত চিকিৎসার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে। ক্যানকিডসের পূর্বাঞ্চলের সিনিয়র ম্যানেজার অরিরূপা সিনহা বলেন, আমরা এই প্রচারের মাধ্যমে শিশুদের ক্যান্সার থেকে মুক্ত রাখার এক পদক্ষেপ নিয়েছি নারায়ণা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায়। এদিনের অনুষ্ঠানে ফুটফুটে আক্রান্ত শিশুদের হাতে তাদের চাহিদামত উপহার তুলে দেওয়া হয়।
উল্লেখ করা যেতে পারে ইন্ডিয়ান ক্যান্সার সোসাইটির সমীক্ষা, বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর তিন লক্ষ শিশু শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। এরমধ্যে ভারতের শিশুর সংখ্যা প্রায় তিরিশ হাজার।শিয়াহুদীত ক্ষেত্রে ক্যান্সার প্রধানত রক্ত সংক্রান্ত, লসিকা, মস্তিষ্ক, পেশী ও হাড়ের টিস্যুতে লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও মেরুদন্ড ও স্নায়ুতন্ত্রও প্রভাবিত হয়। আমাদের দেশে শিশুদের ক্যান্সার নির্ণয় দেরিতে হওয়ার কারণ সচেতনতার অভাব।