দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : মঙ্গল সন্ধায় দক্ষিণ কলকাতার এক কফি শপে মিরাকেল মিডিয়া আয়োজন করে মিঠাই মুহব্বত অ্যান্ড মুড সুইংস ছবির একটি গান সুন জরা ও পোষ্টার রিলিজ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও চলচ্চিত্র পরিচালক সংঘমিত্রা চৌধুরী। ছবিটি এমাসেই পকেট ফিল্মস ও বাজ টিউব ইন্টারন্যাশনাল ও টি টি প্ল্যাটফর্মে রিলিজ হতে চলেছে। ছবির প্রযোজক ও কাহিনীকার শ্রেষ্ঠা গাঙ্গুলি। পরিচালক অলিভিয়া ব্যানার্জি।
পরিচালক অলিভিয়া জানান, শ্রেষ্ঠা গাঙ্গুলির একটি অসাধারণ কাহিনী অবলম্বনে এই ছবি এক আলাদা মাত্রা বয়ে আনতে চলেছে।সাধারণত অবিবাহিত জুটির রোমান্টিক মুহূর্ত নিয়ে ছবির কাহিনী নির্মিত হয়। কিন্তু এই ছবির বৈশিষ্ট্য বিয়ের পর জুটির প্রেম নিয়ে। যে প্রেম শ্বাশত । সুন্দর। অন্তর্মুখী জীবন থেকে বেরিয়ে আসার কাহিনী।
বিষয়টি তর্ক সাপেক্ষ। পুরুষপ্রধান সমাজব্যবস্থায় একটি পোলিশ প্রবাদ মেয়েরা বিয়ের আগে কান্নাকাটি করে। ছেলেরা বিয়ের পর। আবার গ্রীক প্রবাদ, প্রেমিক যখন ভালো স্ত্রী হিসেবে প্রেমিকাকে পায়, তখন অবশ্যই প্রেমিকের লাভ। যদি মন্দ হয় স্ত্রী, তাহলে দেশপ্রেমিকের মধ্যে লুকিয়ে থাকা এক দার্শনিক সত্ত্বা প্রকাশ পায়। দেশ তাতে লাভবান হয়।
আবার শেক্সপিয়ার বলেছেন, বিয়ে একটা রোমাঞ্চকর উপন্যাস। প্রথম পরিচ্ছদেই নায়কের মৃত্যু হয়। কোনো এক অখ্যাত দার্শনিক মনের মানুষ বলেছেন, বিয়েটা হলো অনেকটা তিনপায়ে দৌড়ানোর মত। বাঁধা পা একসঙ্গে ফেলতে হয়। চেষ্টা করলে দৌড়ানোও যায়। কিন্তু দুজনের হাঁটার মধ্যে যদি সামঞ্জস্য না থাকে হুমড়ি খেয়ে পড়তে হয় দুজনকে।প্রযোজক, কাহিনীকার শ্রেষ্ঠা গাঙ্গুলি অবশ্য যৌথ ছন্দের এক ইতিবাচক সম্পর্কের মিষ্টি কাহিনী বর্ণনা করেই এই ছবিটি নির্মাণ করেছেন ।
মূল দুটি চরিত্রে আছেন কৃষ্ণা ভার্মা ও প্রসূন ব্যানার্জি। এই রোমান্টিক জুটিকে নিয়ে দক্ষিণ কলকাতার লেকে চিত্রায়িত একটি গান সাংবাদিকদের দেখানো হয় । গানটি গেয়েছেন প্রমিথ গাঙ্গুলি। ছবির সঙ্গীত পরিচালকও প্রমিথ । তিনি জানান, ছবির কাহিনীর সঙ্গে সংগতি রেখে ৯০ এর দশকের মেলোডি আনা হয়েছে ছবির গানে। সুন জরা তার একটি নির্মাণ।
