*
দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : ভারতীয় ক্যানসারে আক্রান্ত মহিলাদের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশের বেশি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন। প্রথম বিশ্বে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত মহিলারা যত শতাংশ চিকিৎসার পর দ্রুত সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যান সেই তুলনায় ভারতের হার কম। অন্যতম কারণ, প্রথম অবস্থায়যে উপসর্গগুলি দেখা যায় সেগুলি ভারতীয় মহিলারা অবজ্ঞা করেন, নয়ত বুঝেও পরিবারের কাউকে লজ্জায় জানান না।সুতরাং ভারতের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশে চিকিৎসার পাশপাশি দরকার সচেতনতা । কলকাতার মেডিকা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চিকিৎসার পাশাপশি সচেতনতার কাজটি করেন নিয়মিত। চলতি অক্টোবর মাসব্যাপী এই হাসপাতাল সচেতনতা প্রকল্প নিয়েছে। হু এই বছর থিম ঘোষণা করেছে, কেউ যেন স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত না হন। শনিবার দুপুরে হাসপাতালের কনফারেন্স হলে আয়োজন করে বিজয়া সন্মেলন। হাজির ছিলেন হাসপাতালের সাইকো অঙ্কলজিস্ট অরুণিমা দত্ত। ছিলেনএই হাসপাতালে চিকিৎসায় বক্ষ ক্যানসারে জয়ী প্রায় ২৫ জন বিজয়ারা।
মেডিকা হাসপাতালের অঙ্কোলজি বিভাগের প্রধান ডা: পূজা আগরওয়াল। ডা: আগরওয়াল জানান, আমরা রোগী বিশেষে আলাদার আলাদা করে ব্যক্তির হিসেবে আমরা রোগীদের চিকিৎসার রূপরেখার পরিকল্পনা গ্রহণ করি। সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক পুষ্টি যোগানোর কাজে করি চিকিত্সায় পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত একটি যৌথ উদ্যোগে। আমরা ৪০ উর্ধ প্রতিটির মহিলাকে বলি প্রতি বছর কিছু পরীক্ষা করানোর জন্য। এমনকি যে পরিবারে আগেই ক্যানসার রোগী আছেন বা ছিলেন তাঁদের কিছু অতিরিক্ত সতর্ক থাকার পরামর্শ দিই।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিজয়া ৭৬ বছর বয়সী গৌরী ভট্টাচার্য বলেন, এই বছরই আমার স্তন ক্যানসার ধরা পড়ে। আমি ভীত হয়নি। বড় সহায়ক আমার স্বামী। কেমো চলছে। আমি এখন অনেক সুস্থ। ৮৬ বছর বয়সী বৃদ্ধার অরুণা বসাক বলেন, বয়সের কারণে শঙ্কিত ছিলাম। কিন্তু ডা: পূজার আগরওয়ালের মা বলে ডেকে যেভাবে জর্ণত নিয়ে অপারেশন করেছেন এবং অন্যান্য ডাক্তার ও সহযোগীরা আমাকে যত্ন করেছেন তার জবাব নেই। হাসপাতালের তরফে পূর্বাঞ্চলের প্রধান আধিকারিক অয়নাভ দেবগুপ্ত বলেন,বিশ্বের সবচেয়ে বেশি স্তন ক্যানসার। প্রতি বছর ২.৩ মিলিয়ন স্তন ক্যানসার রোগী আক্রান্ত। আমাদের হাসপাতালের চিকিৎসায় যে এত সংখ্যক বিজয়া হয়েছেন আমি আনন্দিত।
