সুজিৎ চট্টোপাধ্যায় : আবার প্রমাণ করলেন রাজনৈতিক চালে বিরোধীদের থেকে তিনি অনেক বেশি পরিণত। বিরোধী জোটের মুখ্যমন্ত্রীরা যখন নীতি আয়োগের বৈঠকে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তখন রে রে করে বিরোধীরা সমালোচনায় মুখর হলেন তখন অভিষেককে সঙ্গে নিয়ে মমতা পৌঁছে গেলেন দিল্লি। হালকা করে ভাসিয়ে দিলেন একটা খবর। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীও আসছেন। আসলে এক ঢিলে চারপাখি পাখি মারলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রথমত প্রমাণ করলেন তিনি লোকসভায় বিরোধীদের তৃতীয় শক্তি। তাঁকে আগে জানিয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। তাই তিনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দ্বিতীয় তিনি ভালোই জানতেন তাঁকে কথা বলার সুযোগ দিলেও বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের মত সম্মান তিনি পাবেন না। বিজেপি সেই ফাঁদে পা দিল। ফলে বৈঠক থেকে বেরিয়ে তিনি হাতে কলমে প্রমাণ দিলেন বিজেপি বিমাতৃসুলভ আচরণ করে। তৃতীয়ত দেশে তিনি জাতীয় স্তরে প্রচারে নজর কাড়লেন। চতুর্থত রাজ্যের মানুষের কাছে পৌঁছে দিলেন বার্তা, তিনি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় সহযোগিতা করলেও বাংলাকে কেন্দ্র বিষ নজরে দেখে বলে তাঁর মাইক বন্ধ করে দেয়। স্পষ্টই তিনি এও বলেছেন তিনি আর নীতি আয়োগের বৈঠকে আর যাবেন না। ফলে বিরোধীদের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন কূটনৈতিক চাল কাকে বলে।