*****
দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: ভারতে ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পের অবন্তীর, দাক্ষিণাত্য, পাঁচালী ও ওড্রা মাগধী ঘরানায় নৃত্য নাটকে রূপ পেল নৃত্যের মধ্যে নাটকীয় অভিব্যক্তির প্রতীকী প্রকাশের জন্যই। মহাকাশ বিজ্ঞানী বিক্রম সারাভাইয়ের কন্যা ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পী হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছেন। একসময় বলিউড চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। রাজনীতিতেও পা রেখেছিলেন। তবে কুচিপুড়ি ও ভরতনাট্যমের সুচারু পরিবেশনা তাঁকে আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দিয়েছে।
সম্প্রতি ভারতীয় বিদ্যাভবন ও জে এল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কলকাতায় ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্য উৎসব নৃত্য গাঁথায় মঞ্চে নৃত্য পরিবেশন করতে কলকাতায় এসেছিলেন মল্লিকা সারভাই। অন্য শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন শোভনা ও অরুণা মহান্তি। তিনদিনব্যাপীএই অনুষ্ঠান ছিল নৃত্যপ্রেমীদের জন্য অবারিত দ্বার।
মল্লিকা তাঁর পরিবেশনার নামকরণ করেছেন পাস্ট ফরোয়ার্ড। ধ্রুপদী নৃত্যের ক্ষেত্রে ভরতনাট্যম যেমন তার শৈলী পাল্টেছে ভারতীয় সমাজে তেমন নারীর অবস্থান পাল্টেছে। তাঁর পরিবেশন আঙ্গিকের ছিল পৌরাণিক উপাদান, ছিল গাল্লি বয় রাগ গানের ধ্রুপদী সংস্করণ।প্রতিটির মুদ্রায় ফুটে ওঠে নারীর অসহায়তা , লাঞ্ছনা যন্ত্রণার অভিব্যক্তি।নারীর কি নারী মুক্তির অন্যতম বাধা সেই সহজ সত্যকে তিনি তুলে ধরেন। কলকাতায় মঞ্চে মল্লিকার জীবনের প্রথম অবতরণ মা নৃত্যশিল্পী মৃণালিনী সারাভাইয়ের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের চন্ডালিকা নৃত্যনাট্যে। তাই রবীন্দ্রনাথের গান তাঁর অনুপ্রেরণা। পদ্মভূষণ মল্লিকা তাই সুযোগ পেলেই আসেন কলকাতায়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনের শিল্পী শোভনা নিজেও অভিনেত্রীর। তিনি পরিবেশন করেন ভরতনাট্যম। প্রশংসিত হয় তাঁর অনুষ্ঠান। শেষদিনে শুভজিত দাসের মনসা ও জলসা চন্দ্র পারফর্মিং ট্রুপের অগ্নি দ্য বার্ড অফফায়ার ছিল উৎসবের সেতার পরিবেশনা।মাতৃত তিন বছরের প্রচেষ্টায় নৃত্যগাঁথা উৎসব এখন একটি জনপ্রিয় উৎসব হয়ে উঠেছে।