ডানদিকে হৃদয় সমস্যায় ঝাড়খণ্ডের রোগী ডিসান হাসপাতাল থেকে নতুন জীবন নিয়ে বাড়ি ফিরলেন

*******

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক :শরদিন্দুর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৭০ পাতার একটি উপন্যাস শজারুর কাঁটা। কাহিনীটি নিয়ে একটি ছবির তৈরি। হয় ৭০ ইরি দশকে। তিনতিনটি খুন। করে শজারুর কাঁটা দিয়ে খুনী। কিন্তু চতুর্থ খুনটি ব্যর্থ হওয়ায় খুনি ভেবে পেলেন না কারন্ত্যাট কি? রহস্যটা ছিল চতুর্থ ব্যক্তির হৃদয়টি ছিল ডানদিক।বিজ্ঞান বলে, বিশ্বের প্রতি ১২ হাজার মানুষ পিছু একজন। দেহের ডানদিকে হৃদয় নিয়ে জন্মান।

ডানদিকে হৃদয় নিয়ে যেসব মানুষ জন্মান, বিষয়টি বিজ্ঞানের পরিভাষায় ডেক্সট্রোকার্ডিয়া। যা বিরল এক জন্মগত অবস্থা। এটি কোনো রোগ নয়। জন্মগত জিনগত ত্রুটি। এই ধরণের মানুষের হার্ট সংক্রান্ত নানা রোগের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।আভার্ট শুধু হৃদয় বাঁদিকের বদলে ডানদিকে নয়, দেহের অনেক অঙ্গও বিপরীত দিকে থাকতে পারে।। এই ধরণের ব্যক্তির পরিস্থিতিকে সাইটাস ইনভার্সাস বলে।

ঝাড়খণ্ডের এক পুরুষ রোগী কিছু প্রতিক্রিয়ার নিয়ে কোলকাতার ডিসান হাসপাতালে আসেন।পরীক্ষার নিরীক্ষা করে চিকিৎসকদের একটি টিম আবিষ্কার করেন রোগীর হৃদয় ডানদিকে। তবে শুধু ডানদিকেই হতে। অর্থাৎ ডেক্সট্রোকার্ডিয়া। সাইটাস ইনভার্সাস নয়। অর্থাৎ অপেক্ষাকৃত জটিলতা কম। দীর্ঘদিন পর্যবেক্ষণে রেখে চ্যালেঞ্জ হিসেবে এই রোগীর অস্ত্রোপচারে হাত দেন সিনিয়র কনসালট্যান্ট সি টি ভি এস ই সার্জন ডা: সৌমজিৎ ঘোষ। সহযোগী ছিলেন সিনিয়র কার্ডিয়াক অন্যস্থেটিস্টি ডা: শুভেন্দু সরকার। চিকিৎসকদ্বয়
জানালেন ,অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত মনোসংযোগ করে রোগীর অপারেশন করেন তাঁরা । শেষপর্যন্ত রোগিকের নতুন জীবন ফিরিয়ে দিয়ে তাঁরা তৃপ্ত।
ডিসান হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও। এম ডি সজল দত্ত জানান আমরা রোগীর পরিষেবায় যে কোনো পরিস্থিতিতে যে কোনো চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মত পরিকাঠামো ও যোগ্য চিকিৎসক, ও অচিকিৎসক কর্মীরাও দায়বদ্ধ ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *