তৃণমূলে থাকার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে বিজেপিতে এসেছি: তাপস রায়

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : উত্তর কলকাতার নির্বাচন নিয়ে একের পর এক সংবাদের শিরোনামে আসছেন সুদীপ বন্দোপাধ্যায় তাপস রায় এবং কুণাল ঘোষ। দলের শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বুধবার তৃণমুলের সম্পাদকমন্ডলীর পদ হারালেন, আজ তাঁকে দলের প্রচার তালিকার বক্তা পদ থেকেও সরিয়ে নেওয়া হল। তৃণমূল কার্যালয়ে যখন এমন ঘোষণা হচ্ছে কলকাতা প্রেসক্লাবে এসে হাজির হন উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়। সঙ্গে ছায়া সঙ্গী প্রাক্তন তৃণমূল নেতা ও উত্তর কলকাতা জেলা সাংগঠনিক কমিটির সভাপতি তমোঘ্ন ঘোষ। উপলক্ষ্য তাপস রায়ের বন্ধু ও অনুরাগী তাপস করের লেখা একটি নির্বাচনী গানের উদ্বোধন। গানটি সুর দিয়েছেন তাপস রায়ের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের ওপর নির্মাণ এই প্রচার গানটি বৃহস্পতিবার থেকে উত্তর কলকাতার বিজেপি কার্যালয়গুলিতে শুধু নয় পাড়ায় পাড়ায় প্রচার হবে।

এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক নির্মলচন্দ্র নাথ, দেবেন্দ্র পান্ডে, প্রমুখ। উত্তর
কলকাতা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের নির্বাচন সেনাপতি তমোঘ্ন ঘোষ বলেন, আজ যে প্রচার গান মুক্তি পেল, এই দিন থেকেই আমরা তাপস রায়কে শুধু আমাদের প্রার্থী বলব না, তাঁকে বলব ভাবী সাংসদ। ২ মে গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমুলের গুন্ডাদের হাতে হত্যা হয় কলকাতার বেলেঘাটা অঞ্চলের এক বিজেপি কর্মীর। সেই কর্মীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এদিনের অনুষ্ঠান শুরু। তাপস রায় বলেন, জীবনে বহু নির্বাচন লড়েছি । কিন্তু প্রেস ক্লাবে আসতে হয়নি। এখন প্রচারের যুগ। দলীয় নেতা কর্মীদের অনুরোধে আসতে হলো। আমার রাজনৈতিক জীবনের অনুগামী আমাকে নিয়ে গান লিখেছে। আর এক বন্ধু শ্রী দিলীপ সুর দিয়েছে। খুব ভালো গান হয়েছে। সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বে এই প্রতিবেদকের প্রশ্ন ছিল বিধানসভায় শাসক দলের উপ মুখ্য সচেতক থাকাকালীন আপনি একবার অসংসদীয় আচরণের জন্য শুভেন্দু অধিকারীকে বিধানসভা থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেন । কিন্তু মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আপত্তি থাকায় সে যাত্রায় বহিষ্কার হতে হয়নি শুভেন্দু অধিকারীকে। আপনিতখন বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর উদার মানসিকতার জন্য বেঁচে যান শুভেন্দু। এই প্রশ্নের জবাব কার্যত এড়িয়ে গেলেন তাপস রায়।

অন্য দুই প্রশ্ন ছিল , তৃণমূল যে গুন্ডাদের দল সেটা বুঝতে এতদিন সময় লাগল। জবাবে তাপস রায় বলেন, তৃণমুলের গুন্ডামি বা কেলেঙ্কারির সঙ্গে আমা প্রত্যক্ষ যোগ ছিল না। বরং আমি প্রতিবাদ করতাম। সেকথা টিভি চ্যানেলে বলেছেন উপেন বিশ্বাস। তবু ওই দলে ছিলাম এটা তো বাস্তব। এবার বিজেপিতে এসে সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছি। তাপস রায়কে প্রশ্ন করা হয় , কুণাল ঘোষ আপনার প্রশংসা করায়বহিষ্কৃত হলেন, আপনি কি তাঁকে বিজেপি তে আসার আমন্ত্রণ দেবেন? তাপস রায় বলেন, আমার জন্য বহিষ্কার এটা আপনাদের বানানো। এক অরাজনৈতিক রক্তদান অনুষ্ঠানে সামাজিক দায়বদ্ধতায় আমি গিয়েছি।কুণালও যায়। পুরানো সহকর্মী হিসেবে আমার কথা কিছুবলেছে। তৃণমূল সামাজিক সম্পর্ককে মানে না। তাই কুণালের মত দলের প্রতি অনুগত এক সৈনিকের ভুল মূল্যায়ন করল। আমি বিজেপিতে এসেছি মাত্র ৫৬ দিন। আমার কোনো অধিকারই নেই কাউকে দলে নেওয়ার। এদিনের অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিজেপি এখন আসবে আবার, এবার হবেই চারশ পার প্রচার গানটি সাংবাদিকদের দেখানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *