দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক : বাঙালি এখন দুদলে বিভক্ত। হিন্দু মুসলমান। হিন্দু ব্যবসায়ীরা গনেশ লক্ষ্মীর মূর্তি পুজো করে হাল খাতার শুভসূচনা করেন। কিন্তু নববর্ষের খাওয়া দাওয়ার উৎসবে এখনও সাম্প্রদায়িক রং লাগেনি। সাবেকি বাংলায় বছরের শেষ দিনে তিতো খেতেন পুরানো বছরের দুঃখ শোকের প্রতীক হিসেবে। বৈশাখের প্রথম দিন থেকে পান্তা ভাতের একটা আকর্ষণ আজও দুই বাংলার সাধারণ মানুষের মধ্যে আছে। তবে এপার বাংলায় সব উৎসবেই উদার বাণিজ্যের প্রভাবে কর্পোরেট ছোঁয়া লেগেছে। বাংলা খাবারের রসায়নের এত খুঁটিনাটি সময়ের অভাবে এখন আর সব ঘরে সম্ভব হচ্ছে না। ফলে রেস্তোরাঁ ভরসা। কলকাতার পাইস হোটেলের স্তর পেরিয়ে এখন পাঁচ তারা হোটেলেও মেলে বাংলা খাবার। এই প্রজন্মের চাহিদা মেনে ফিউশনও হচ্ছে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষায়। সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে কলকাতার উপনগরী নিউটাউন সেক্টর ফাইভের ফাইভ অ্যান্ড ডাইম। এবারের নববর্ষে থাকছে বৈশাখী ঘোল, কৃষ্ণকলি , কর্ন ব্রুকলি কোফতা কারি, তন্দুরি চিংড়ি, মালাই কারি, কাঁচালঙ্কা শাক মাটন মশালা। লোভনীয় এই খাবার মিলবে ১২ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল। রসেবশে থাকার জন্যও থাকছে হরেক ককটেল।