*****

দিগদর্শন ওয়েব ডেস্ক: মানুষ যখন না মানব, তখন থেকেই শিকারের সাহায্যের প্রয়োজনে কুকুরকে সঙ্গী করেছিল। সময়টা সম্ভবত খ্রীষ্ট জন্মের ৩৫ হাজার বছর আগে। তবে বিড়াল মানুষের সঙ্গী হয়েছে নিজের স্বার্থে। অলসতায় হাতের নাগালে খাদ্য জুটেছে মানব সমাজে। তবে কৃষিক্ষেত্রে ইঁদুরের জ্বালাতন থেকে বাঁচতে রক্ষক হয়ে ওঠে বিড়াল। তবে এই দুই প্রাণীর তেমন সমঝোতা নেই। কিন্তু অঘটনও ঘটে । কুকুর বিড়ালের একে অপরের প্রতি অমত্য বোধেরও প্রমাণ মেলে।
কুকুর বিড়াল পোষেন এমন মানুষের সংখ্যা বিশ্বে প্রচুর। মা ষষ্ঠীর বাহন বিড়ালকে প্রথম হোয়াইট হাউসে নিয়ে আসেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন। এডওয়ার্ড লিয়রের বিড়াল প্রীতি এমন ছিল লিখে ফেলেন জনপ্রিয় কবিতা দ্য আউল এন্ড দা পুসি ক্যাট। তাঁর পোষ্য বিড়াল ফস মারা যাওয়ার পর কবরে স্মৃতিসৌধ বানান। পোষ্য হারিয়ে যাওয়ায় খবরের কাগজে পাঁচ ডলারের বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন মার্ক টোয়েন। ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী চার্চিলের মিটিংয়ে সঙ্গী হত দুটি বিড়াল নেলসন আর মার্গেট। লিওনার্দো ভিঞ্চি তো রীতিমতো ছবিই এঁকে ফেলেন ম্যাডোনা উইথ দ্য ক্যাট। বিবেকানন্দের প্রিয় ছিল লায়ন ও বাঘা নামে কুকুর। শরৎচন্দ্রের কুকুর ছিল ভেলো। তাকে কুকুর বললে তিনি রেগে যেতেন। তিনি নিজের সন্তান ভাবতেন।ভেলর্ট সমাধিতে মাঝে মাঝেই গিয়ে কাঁদতেন কথা সাহিত্যিক। তালিকা বললে মহাভারত।
কিন্তু আমাদের দেশে এই অবলা জীবের অসুস্থতায় চিকিৎসার ব্যবস্থার সীমিত। এই ধরণের প্রাণী অসুস্থ হলে যিনি পোষেন বা তাঁর বাড়ির লোকও ভয়ংকর রোগের আক্রান্ত হতে পারেন। সুতরাং পোষ্যদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য এক ছাদের নিচে বেহালার এক পশুপ্রেমী গৃহবধূ তানিয়া দত্ত দক্ষিণ কলকাতায় লর্ডসের মোড়ে যে সুপার স্পেশালিটি সেন্টার গড়ে তুলেছেন সেখানে এলেই মুশকিল আসান। ৩ হাজার স্কোয়ার ফুট এলাকার নিয়ে একটি তিনতলা বাড়িতে তানিয়া দত্ত হাজির আপনার পোষ্যদের মানসিক ও শারীরিক চিকিৎসা পরিষেবা দিতে। একতলায় পোষ্যদের খাদ্য ,হেল্থ ফুড সঙ্গে আনুষাঙ্গিক। দ্বিতীয় তআই সি ইউ, ও পি ডি, গ্রুমিং, রেডিওগ্রাফি, প্যাথলজি, এন্ডোস্কোপি, ল্যাপারোস্কপিক সার্জারি, ইন হাউস ফার্মেসি। থাকছে পোষ্যদের আড্ডা মারার ক্যাফে। একসঙ্গে ১০ টি পোষ্যকে ভর্তির সুবিধা আছে।জটিল রোগের র্যাবিশ আর ডিসটেম্পার চিকিৎসা শুধু হয় না। আগামী ১ মার্চ থেকে পিক এন্ড ড্রপ পরিষেবা মিলবে। মিলবে বার্ষিক চেকআপের সুবিধা।
সম্প্রতি এই সিয়াটেল ভেটেরিনারি হাসপাতালের উদ্বোধনে এসে মেয়র পারিষদ ও বিধায়ক দেবাশিস কুমার বললেন,এই সেন্টারের শুরুতে প্রমাণিত কলকাতা আধুনিকতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসেছিলেন সাংসদ সৌগত রায়, স্থানীয় পুরমাতা মৌসুমী দাস ।